AI অ্যাপ্লিকেশন। প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে টিক ট্যাক টো গেম বানালাম। এখন খেলবার অপেক্ষা।

kausikchak123 -

AI পদ্ধতিতে প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে টিক ট্যাক টো গেম বানালাম

☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️



সোর্স

🙏🙏সকলকে স্বাগত জানাই🙏🙏

আজ একটি ভিন্নধর্মী পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে এলাম। পুজোর ছুটিতে ঘরে বসে কি করব ভাবতে ভাবতে সময় কাটছিল। প্রতিদিন বিকেলে বেরোলেও সকালগুলো খালি বসে ছিলাম ঘরে। তাই সময়টিকে কিছুটা কাজে লাগানোর কথা ভাবছিলাম প্রথম থেকেই। যে দুটি কাজ আমি সব থেকে সাবলীল ভাবে করি তা হল একটি কবিতা লেখা এবং দ্বিতীয়টি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করা। কবিতা তো লিখিই বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু প্রোগ্রামিং নিয়ে বসা হয় না বিভিন্ন কাজের চাপে। ছাত্র পড়ানো বা স্কুলের কাজ নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে যাই যে আলাদা করে নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রোগ্রাম করার সুযোগ আজ আর মেলে না। আগে একটা সময় ছিল সারাদিন ধরেও প্রোগ্রাম নিয়ে ভেবে গেছি ঘন্টার পর ঘন্টা। কখনো বিভিন্ন ওয়েব প্রজেক্ট বা কখনো কোন সফটওয়্যার দাঁড় করানোর জন্য খেটেছি অনেক। কিন্তু আজ আর সেই সময় হাতে নেই। তাই পূজোর ছুটিতে ঠিক করলাম কয়েকটি প্রোগ্রামিং নিয়ে একটু ভাববো।

বর্তমান যুগে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স এর দুনিয়ায় প্রোগ্রামিংকে অন্যভাবে ভাববার প্রয়োজনীয়তা প্রচুর। যতটা ক্ষমতা কম্পিউটারের হাতে সঁপে দেওয়া যায়, ততই প্রোগ্রামিং স্কিল এ আই ডিপেন্ডেন্ট হয়ে ওঠে। আসলে এ এক ডাটাবেসের খেলা। সম্পূর্ণ পৃথিবীটাই দাঁড়িয়ে আছে ডাটাবেসের উপর। যেমন গুগল ডাটাবেস। আজকের পৃথিবীতে গুগল ডাটাবেস অন্যতম একটি ডাটা স্টোরেজ প্লাটফর্ম। আর এ আই টেকনোলজিটি দাঁড়িয়ে আছে এমনই রিচ ডাটাবেসকে নির্ভর করে। আসলে এ আই এর পিছনে যে বিশাল ডেটা স্টোরেজ থাকে তাকে টেকনিক্যালি 'নলেজ বেস' বলা হয়। এই নলেজ বেস কম্পিউটারকে সম্ভাব্য সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে বিবেচনা করতে সাহায্য করে। আর তাই সেগুলি থেকে অ্যানালিসিস করে সবথেকে ভালো সিদ্ধান্তটি প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে বিচার করা হয়।

সম্প্রতি এই এ আই মেকানিজমকে কাজে লাগিয়ে আমি একটি টিক ট্যাক টো গেম তৈরি করলাম। যে গেমে একজন মানুষ যেমন আর একজন মানুষের সঙ্গে এই খেলাটি খেলতে পারবে ঠিক তেমনি এ আই এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গেও খেলতে পারবে। কম্পিউটার নির্দিষ্ট চালটি দিয়ে একজন মানুষের সঙ্গে এই খেলাতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আবার তেমনি আরেকটি অপশনে কম্পিউটার কম্পিউটারের সঙ্গেই খেলাটি খেলতে পারবে। এই গেমটিতে তাই আমি বিভিন্ন ধরনের অপশন রেখেছি ডায়নামিক করবার জন্য।

এই গেমটি তৈরি করতে আমি পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কোডিং ব্যবহার করেছি। পাইথনে প্রয়োজনীয় মডিউলগুলি যুক্ত করে নির্দিষ্ট নলেজ বেসকে ব্যবহার করে আমি এই টিক ট্যাক টো গেমটি ডিজাইন করেছি। আসুন গেমটির প্রাথমিক কোডিং এবং প্রথমের কয়েকটি স্ক্রিনশট দেখে নেওয়া যাক -

গেমটি চালু করলেই ইউজার তিনটি অপশন পাবেন। প্রথমটি মানুষের সঙ্গে মানুষের খেলা, দ্বিতীয়টি মানুষের সঙ্গে কম্পিউটারের খেলা এবং তৃতীয়টি কম্পিউটারের সঙ্গে কম্পিউটার খেলার অপশন। সেখান থেকে পছন্দমত অপশনটি বেছে নিয়ে গেমটি চালু করা যাবে।

তারপর ইউজারকে 0 এবং X এর মধ্যে পছন্দমত চিহ্নটি বেছে নিতে হবে। খেলাকে সেই চিহ্নের মাধ্যমেই পরিচালনা করতে হবে শেষ পর্যন্ত।

এরপর সঠিক চাল দেওয়ার মাধ্যমে ইউজার বা কম্পিউটার জয় লাভ করবেন। এবং কম্পিউটার জয়ীর নামটিও ঘোষণা করে দেবেন।

পাইথন বর্তমান আই টি দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেওয়ার মত একটি ল্যাঙ্গুয়েজ। ১৯৮৯ সালে এই প্রোগ্রামিং আবিষ্কার করেন আই টি বিজ্ঞানী গুইডো ভ্যান রসাম। সবদিক থেকে এই প্রোগ্রামিং যেমন ইউজার ফ্রেন্ডলি, ঠিক তেমনই বিভিন্ন কঠিন মডিউল সহজে তৈরি করে ফেলায় পারদর্শী। তাই বর্তমানে এ আই থেকে শুরু করে মেশিন লার্নিং বা ডাটা সায়েন্সের বিভিন্ন কাজ পাইথন দিয়েই করা হয়। তাই আমার গেমটি তৈরি করতে আমি নির্দ্বিধায় এটি ব্যবহার করেছি।

আমার একটি নতুন সৃষ্টি কে আপনাদের সামনে তুলে আনলাম। সামনেই স্কুলে অ্যাকাডেমিক এক্সিবিশন আছে। আমার প্রজেক্টটি আমি কোনো ছাত্রের হাতে দিয়ে সেই এক্সিবিশানের উদ্দেশ্যেই দান করব ঠিক করে রেখেছি। সেইমতো দুজন ছাত্রের সঙ্গে কথা হয়ে গেছে। এখন শুধু প্রজেক্টটি প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায়। বর্তমানে আমি আরো দুটি এ আই প্রজেক্ট এর সঙ্গে কাজে ব্যস্ত রয়েছি। সেই কাজ শেষ হলেই আবার আপনাদের সামনে তুলে আনবো তার সমস্ত ডিটেইল।

আমার সৃষ্টি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে আপভোট করে ও মন্তব্যের মাধ্যমে নিশ্চয় আমায় সাপোর্ট দেবেন।


💐 পোস্ট সম্বন্ধীয় তথ্যাদি 💐


পোস্ট
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
স্থান
হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ
ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং
পাইথন
অপারেটিং সিস্টেম
উইন্ডোজ ১১


🙏 ধন্যবাদ 🙏


(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)





--লেখক পরিচিতি--

কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।