আমি @kalidsyfulla,আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। প্রিয় বন্ধুরা শেষ পর্যন্ত সবাই আমার সাথেই থাকবেন।( ধন্যবাদ)🌹
প্রতিদিনের ন্যায় আজও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি।পাক পবিত্রতা অর্জন করে মসজিদে গিয়ে আজান দিয়েছি। তারপর নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষ করে বাড়িতে চলে এসেছি।তারপরে বাড়িতে এসে কিছু কাজ করি। কাজ শেষ করে গোসল করি এবং সকালের খাবার খাই।
আমার স্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। মাসখানেক আগে তাকে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। ওষুধ খাওয়ার পরেও তেমন কম হয়নি। আজ আবার ডাক্তার দেখাবো তাই যশোর হসপিটালে যাচ্ছি। গতমাসে ডাক্তার বলেছিল কিছু রিপোর্ট করানোর জন্য। আজকে রিপোর্টগুলো করাবো এবং ডাক্তার দেখাবো। বাড়ি থেকে বের হয়ে একটা ভ্যানে করে নতুন বাজার আসি।তারপর নতুন বাজার থেকে বাসে করে যশোর এসে পৌছাই।
আমার স্ত্রী শশুর বাড়িতেই ছিল।আমার মেয়েকে সাথে করে যশোরে নিয়ে আসে ডাক্তার দেখানোর জন্য। গতবার বাড়িতে রেখে আসছিলাম তখন মেয়েটা অনেক কান্না করে। আমার স্ত্রী আসার পর, আমরা প্রথমে রিপোর্ট করানোর জন্য যায় ইবনে সিনা হসপিটালে।
ইবনে সিনা হসপিটালে এসে রিসিপশনে গিয়ে ডাক্তারের দেওয়া পেসক্রিপশন গুলো দেখায়। তারপর রিপোটগুলো করানোর জন্য ৫৩০০ টাকা জমা দিই।তারপর আমরা রিসিভ মেমো নিয়ে প্রথমে ১০১ নম্বর রুমে যাই। এটা মহিলাদের রুম, আমি বাইরে চলে আসি আমার স্ত্রীর ভিতরে থাকে। রক্ত দিয়ে তারপর বাইরে আসে ততক্ষণে আমরা বাইরে অপেক্ষা করি। তারপর আবার চলে যাই ২০৪ নাম্বার রুমে, দোতালায় এক্সরে করার জন্য।রিসিভ মেমো জমা দিয়ে রুমের বাইরে অপেক্ষা করি। তারপর সিরিয়াল অনুযায়ী আমাদেরকে ডেকে নেয়।আমাকে ভেতরে যেতে দেয়নি। মেয়েদের এক্সেরে মেয়েরাই করায় তাই আমি আর ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করিনি। আমি আর আমার মেয়ে বাইরে অপেক্ষা করতে থাকি।বেশ কিছু সময় পর এক্সরে করা হয়ে গেলে আমার স্ত্রী বাইরে আসে। আমাদের আগে থেকেই বলে দিয়েছিল রিপোর্ট ৩:৩০ পরে দিবে।
রিপোর্টের জন্য এখন বসে থাকতে হবে। আমার স্ত্রী বাসা থেকে খাবার নিয়ে এসেছিল। কারণ এখানে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে হবে।তাই সাথে করে খাবার এনেছে। আমর দোতলা থেকে লিফটে করে ১০ তলায় উঠি।১০ তালার উপরে হসপিটালের স্টাফদের খাওয়ার জায়গা রয়েছে। সেখানে গিয়ে আমরা ১২ টার দিকে খাবার খাই। খাবার খেয়ে আবার নিচে নেমে আসি।তারপরে যাই জেস্ টাওয়ারে, একটা মোবাইলের সমস্যা ছিল তাই ঠিক করাতে।তারপর মোবাইল ঠিক করে এসে ইবনে সিনা হসপিটালে জোহরের নামাজ আদায় করি। তারপর আড়াইটার দিকে গিয়ে বলি যে রিপোর্টটা হয়েছে কিনা। তারা বলে সাড়ে তিনটার আগে আর হবে না।
তারপর রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।হসপিটালে গেলে মানুষ অসহায় হয়ে যায়। ডাক্তার হসপিটালের লোকজনের কাছে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। তারা যা বলে আমাদের মেনে নিতে হয় কিছু করার থাকে না। তারপর অপেক্ষা করতে করতে প্রায় ৪ টার দিকে রিপোর্ট দেয়।রিপোর্টটা নিয়ে চলে যাই কুইন্স হসপিটালে।
কুইন্স হসপিটালের ডাক্তার এ আর রহমান শিমুলকে রিপোর্টগুলো দেখাতে হবে।এ আর রহমান শিমুল ডাক্তার বিকাল ৪ঃ০০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত রোগী দেখেন।আমরা গিয়ে দেখি এখনো ডাক্তার আসেনি।৫ টার পর ডাক্তার আসে। প্রায় এক ঘন্টা বসে থাকি। এর ফাঁকে আসরের নামাজটা আদায় করি।ডাক্তার দেখানো হয়ে গেলে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে পড়ি। সন্ধ্যা হয়ে আসছে তাই দ্রুত একটা ইজিবাইকে উঠে পড়ি।
যশোর থেকেই সন্ধ্যা হয়ে গেছে।বাড়ি পৌছাতে অনেক রাত হয়ে যাবে। তাই আমি বাড়ি না এসে আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির দিকে রওনা করি।শ্বশুরবাড়ি পৌঁছাতে প্রায় রাত ৮টা বেজে যায়।আর গাড়িতে থাকা অবস্থায় আমি বাড়িতে ফোন করি আজ বাড়ি আসতে পারবোনা।
প্রিয় বন্ধুরা,ব্লগটি আজ এ পর্যন্তই। আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সকল বন্ধুদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।