আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব।।

joniprins -

হ্যালো @amrbanglablog পরিবার
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।

হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,

কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো। আজকে জাদুঘরের ভিতরে কি কি দেখলাম সে গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন শুরু করি।

আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে মোটামুটি অনেক কিছু দেখেছি। তখনকার আমলের নবাবদের ব্যবহৃত অনেক জিনিষ পত্র রয়েছে জাদুঘরে। তাদের সৈন্যদের ব্যবহৃত জিনিষ পত্র, পোষাক,যুদ্ধের সরঞ্জাম গুলো খুব সুন্দর ভাবেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আহসান মঞ্জিলের সব থেকে সুন্দর হলো ভবনটা। ভবনটা দেখার মত। ভবনের ডিজাইন,কারুকার্য খুবই সুন্দর। আর একটি বিষয় হলো পিংক কালার আমার খুব প্রিয়।

সব দর্শনার্থীদেরই আহসান মঞ্জিলের পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে সমস্ত জাদুঘর ঘুরে তারপর সামনের দরজা দিয়ে বের হতে হয়। ভিতরে অনেক সিকিউরিটি রয়েছে, সি সি ক্যামেরা রয়েছে। একটা জিনিষ একবার দেখে চলে গেলে দ্বিতীয় বার আর আসা যায় না। আর ফটো তুলাও নিষেধ। তারপরও আমি সিকিউরিটিদের চোখ ফাকিঁ দিয়ে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছি। চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যাক।

এই তিনটা ফটোগ্রাফি মূল ভবনের তিন পাশের দৃশ্য। এরিয়াটা অনেক বড়। উত্তর দক্ষিণ আর পূর্ব তিন পাশের দৃশ্য। আমরা এখন পূর্ব পাশের পিছনের দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করবো।

এখানে প্রথম দুইটা ফটোগ্রাফি হলো আহসান মঞ্জিলের মূল ভবনের চিত্র। প্রথম ভবনটা তৈরী করে ফটোগ্রাফি করে দেয়ালে লাগিয়েছিলো। আর দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন মূল ভবনের নকশাটা। এই নকশাটা পিতল দিয়ে করা হয়েছে। অনেক বছরের পুরনো। আর তৃতীয় ফটোগ্রাফিটা হলো সীমানা পিলার। আহসান মঞ্জিলের চতুর পাশে এই পিলার গুলো দিয়ে সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে।

তখনকার আমলে সৈন্যদের লোহার তৈরী পোষাক। এগুলো পড়ে সৈন্যরা যুদ্ধ করতো। সমস্ত বডি লোহার পোষাক দিয়ে ডেকে তারপর যুদ্ধে অংশগ্রহন করতো। যেন তীর,তলোয়ারের আঘাত তাদের শরীরে না লাগে।

এখানে দেওয়া আছে সৈন্যদের লোহার অর্ধ পোষাক। এগুলো পড়েও সৈন্যরা যুদ্ধ করতো। কত বছরের পুরনো এখন অক্ষত অবস্থায় আছে। জাদুঘরে গেলে অনেক অজানা জিনিষ দেখা যায়। অনেক অজানা ইতিহাস জানা যায়।

এগুলোর হলো লোহার তৈরী তলোয়ার,বল্লম,ঢাল। এই তলোয়ার,বল্লম,ঢাল গুলোও যুদ্ধের সময় এবং নবাবদের নিরাপত্তার সময় ব্যবহৃত হতো। সব কিছু সুন্দর ভাবেই জাদুঘরে সংরক্ষন করা হয়েছে।

এখানে প্রথমটি লোহার ঢাল, দ্বিতীয়টি মহিষের মাথা এবং শিং। আর সর্বশেষটি হলো নবাবদের পালিত হাতির মাথা ও শিং। এগুলো যুগ যুগ ধরে এখানে সংরক্ষন করে রাখা হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগুলো দেখবে। ইতিহাস জানবে পড়বে।

বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। আহসান মঞ্জিলের ভিতরে যা কিছু দেখলাম আজকে সেগুলোর অল্প কিছু শেয়ার করলাম কেমন হলো আজকের পোষ্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা নতুন কোন বিষয়ের আপডেট নিয়ে।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
জাদুঘরের নামআহসান মঞ্জিল জাদুঘর
স্থানআহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা ।
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@joniprins
তারিখ২১-০২-২০২৩

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

Click Here For Join Heroism Discord Server