খাওয়া দাওয়ার সময় প্রকৃতির খেলা।।
16 comments
স্টিমিট প্লাটফর্মের এক অনন্য কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একদিন খাওয়া দাওয়ার সময় প্রকৃতির খেলা নিয়ে ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি সবাই মনযোগ সহকারে ব্লগটি পড়ে মতামত শেয়ার করবেন।
প্রায় বিশ দিন যাবৎ আমাদের দেশে অসহ্য গরম অনুভব করতেছি। গরমের কারনে খাওয়া-দাওয়া কাজ-কর্ম কিছু্ই ভালো লাগে না। বসে শান্তি নেই,শুয়ে শান্তি নেই। একবার খাটে শুতে যায়,একবার ফ্লোরে শুতে যায় আবার মাঝে মাঝে বারান্দায় শুয়ে থাকি। মানে কখন কি করছি সেটা নিজেও বুঝতেছি না। রাতের বেলা ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত বারান্দায় শুয়ে থাকি। কারন এই সময়টাতে ছাদের গরমের তাপ রুমের ভিতরে প্রবেশ করে। যার ফলে ভাপসা একটি গরম করে। তখন ফ্যানের বাতাসও গরম লাগে। রাত দুইটার সময় শরীরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে আবার খাটের উপর এসে ঘুমায়। এই গরমের মধ্যে আবার আছে মশা মামার উৎপাত। তাদের অত্যাচারে মন চাই তাদের কাছে বাসা ছেড়ে দিয়ে আমরা বনবাসে চলে যায়। কিন্তুু শুয়ে শুয়ে চিন্তা করি বাংলাদেশে তো গাছই নেই বন-জঙ্গল পাবো কোথায়। সুতরাং লজ্জা শরম ভুলে তাদের সাথে আপোষ করেই বাচঁতে হবে। মশাদের ও তো প্রাণ আছে। তারা আমাদের রক্ত না খেলে বাঁচবে কিভাবে। কি সুন্দর চিন্তা ভাবনা করি। কিন্তুু কামড় দিলে তপাস করে থাপ্পর দিতে ভুল করি না,হা হা হা।😜
এই তো গেলো রাতের ইতিহাস। দিনের কথা বলতে গেলে চোখ দিয়ে জল পড়ে আর শরীর দিয়ে ঘাম জড়ে। মন চাই ফ্রিজের ভিতরে ঢোকে বসে থাকি। কিন্তুু সেটা তো আর সম্ভব না। সারারাত তো গরম আর মশার সাথে যুদ্ধ করেই চলে যায়। সকাল চারটা বা সাড়ে চারটার দিকে তাপমাত্র কমে আসে আর তখনই ঘুমটা চেপে ধরে। কিন্তুু ঘুম চাপলেও ঘুমাতে পারি না। সকাল সাতটায় মোবাইলের এলার্মে ঘুম ভাঙ্গে, উঠতে মন না চাইলেও উঠতে হয়। অফিসে যাওয়ার আগে কত কাজ করতে হয়, সেটা একমাত্র তারাই বুঝবে যাদের বাসায় কোলের বাবু আছে। আর তাদের বাসায় মাত্র দুইজন মেম্বার থাকে। সব কিছু শেষ করে ভালো ভাবে নাস্তা করার সময়ও পায় না। হালকা পাতলা নাস্তা করেই অফিসে চলে যায়। চিন্তা করি লাঞ্চে এসে ভালো ভাবে খাবো। কিন্তুু কপালে ভালো ভাবে খাওয়া থাকতে হবে তো......।
যেদিন একটু ভালো খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়। সেদিন আবার খাওয়ার সময় কারেন্ট চলে যায়। এটা আমার সাথে শুধু একদিন ঘটেনি, অনেকদিন ঘটেছে। দুপুর দেড়টার সময় আটত্রিশ থেকে চল্লিশ ডিগ্রী গরম মাথায় নিয়ে হেটে বাসায় যায়। তারপর তিনতলার তিন বিষ ষাটটা সিড়ি বেয়ে উপরে গিয়ে যদি দেখি কারেন্ট নাই,বাসায় পানি নাই। তখন কেমন লাগে। আবার কারেন্টর জন্য যে অপেক্ষা করবো, সেই সুযোগও নেই। সব মিলিয়ে সর্বউচ্চ ১ ঘন্টা বিশমিনিট লাঞ্চ বিরতি কাটাতে পারবো। শরীরের ঘাম মুছে বালতিতে সংরক্ষন করা পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে গরমের মধ্যেই খেতে বসলাম। বালতির পানিও গরমে আগুন হয়ে থাকে। সামনে আমার ফেবারিট খাবার,ঢেড়শ ভাজি,শুটকি ভুনা,চিংড়ি মাছ ভুনা। শষা লেবু কেটে খেতে বসলেও খেয়ে মজা পাচ্ছি না। কারন লোডিং আনলোডিং দুইটি একসাথে হচ্ছে। একদিক দিয়ে খাবার খাচ্ছি অন্য দিক দিয়ে ঘাম জড়ছে।
গরমের কারনে আর বসে থাকা যাচ্ছে না। সামনে হাঁসের মাংস,মাছের মুন্ড দিয়ে মুগ ডাল ভুনা। খেতে মন চাচ্ছে কিন্তুু খেতে পারছি না। এক হাতে খাবার খেলেও অন্য হাতে হাত পাখা চালাচ্ছি। সব কিছু থেকে অল্প অল্প করে খেয়ে তারাতারি উঠে গেলাম। প্রকৃতির এই নিয়মটা আমি অস্বীকার করতে পারি না। যেদিন ভাল মন্দ রান্না হবে সে দিন হয়তো বাসায় কারেন্ট থাকবে না,অথবা অফিসের সমস্যা থাকবে। অনেকে বলতে পারবেন,রাতে এসে খাবেন। ভাই খিদা যদি বিকালে থাকে রাতে এসে খেলে কি হবে। রাতেও তো গরম থাকে। আর রাতে বেশি কিছু খেতে নেই। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বারান্দায় গিয়ে বসলাম শরীর দিয়ে ঘাম জড়ছে। আড়াইটার দিকে অফিসের উদ্যেশ্যে বাসা থেকে বের হলাম। আর ২.২৮ মিনিটে কারেন্ট আসলো। তখন কেমন লাগে চিন্তা করেন। নিজের কপালে নিজে থাপ্পর দিতে মন চাই।
এই যে প্রকৃতির নিয়মটা আমার সাথে অনেক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। বৃষ্টির সময় যেদিন আমার সাথে ছাতা থাকবে না,সেদিনই বৃষ্টি হয়। বাসায় কোন সবজির দরকার হলে। যদি অফিসের সামনে থেকে কিনে ফেলি তখন বাসার সামনে গিয়ে দেখি এর থেকে ভালো সবজি কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। আর যেদিন অফিসের সামনে থেকে না কিনি তাহলে সারা রাস্তায় আর কোথাও পাওয়া যায় না। যেদিন আমি কোথাও যাওয়ার জন্য বের হয় সেদিনই রাস্তায় জ্যাম পড়ে। অন্য সময় তেমন জ্যাম পড়ে না। বাস্তবতা আমার সাথে এভাবেই খেলা করে। আপনাদের সাথে কেমন হয়,সেটাও জানতে চাই।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | খাওয়া দাওয়ার সময় প্রকৃতির খেলা।। |
স্থান | নিজ বাসা,নারায়নগঞ্জ,ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৮ /০৪ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Comments