পাকিস্তানের সাথে টানা তিন ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ সিরিজ জয়।।

joniprins -

আমার বাংলা ব্লগ
বাংলা ভাষার কমিউনিটি-


Screen Short Form

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত সিরিজ হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টি-টোয়েন্টি খেলা গুলো সবাই দেখার আগ্রহ প্রকাশ করে। কারণ অল্প সময়ের মধ্যে এ খেলাগুলো শেষ হয়ে যায়। তাছাড়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার ছক্কার ফুলঝুরি দেখা যায়। সে কারণে টিকেট বিশ্ব বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোর দিকে বেশি ফোকাস করছে। পৃথিবীর অনেক দেশ এককভাবে টি-টোয়েন্টি লিগের আয়োজন করছে। টি-টোয়েন্টি খেলা গুলি দেখে দর্শকরা খুবই আনন্দ উপভোগ করে থাকে।

আজকে ক্রিকেট বিশ্বের দুই পরাশক্তি পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ এবং তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সমাপ্তি হলো। ওডিআই সিরিজের মধ্যে পাকিস্তান খুবই ভালো খেলেছে। তিন ম্যাচের মধ্যে তারা দুই ম্যাচ জয় পেয়ে সিরিজ জয় করেছিল। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান এত বাজে খেলবে সেটা আমরা কখনো কল্পনাও করি নাই। ওডিআই খেলা গুলো দেখে ভেবেছিলাম পাকিস্তান হয়তো টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিততে পারবে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো দেখে আমরা সবাই হতাশ হয়ে গেলাম। তিন ম্যাচের তিন ম্যাচই অস্ট্রেলিয়া জয় লাভ করেছে। টি-২০ সিরিজের তিনটি ম্যাচেই পাকিস্তানের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। যাই হোক আমি আজকে আপনাদের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। যে খেলাটি মাত্র কিছুক্ষণ আগে শেষ হয়েছে।


Screen Short Form

অস্ট্রেলিয়ার ভেলোরে প্রবাল স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় দুপুর ২ টার সময় অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের সর্বশেষ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে পাকিস্তান টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পাকিস্তানের পক্ষে খেলা শুরু করে সাহেবজাদা ফারহান ও আলোচিত বেটার বাবার আজম। নতুন ব্যাটসম্যান ফারহান খেলার শুরুটা তেমন ভালো করতে পারেনি। মাত্র সাত বলে নয় রান করে স্পেনসার জনসনের বলে জেভিয়ার হাতে কেচ দিয়ে মাঠ ছাড়ে। অপর পাশে বাবুর আজম কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করেছিল। সে ২৮টি বল মোকাবেলা করে ৪১ রান করেছিল। বাউন্ডারি হিসেবে মাত্র চারটি চারের মার ছিল। বাবর আজমের এই রান দলের সর্বোচ্চ রান হবে সেটা আমরা তখন কল্পনাও করতে পারি নাই। বাবর আজমের সাথে কিছুটা পার্টনারশিপ করেছিল উইকেট কিপার হাসিবুল্লাহ খান। সে ১৯ বল মোকাবেলা করে ২৪ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিল।

পাকিস্তানের পক্ষে তৃতীয় উইকেট যাওয়ার পরে আর কাউকে মাঠে দাঁড়াতে দেখি নাই। একেক জন এসেছে আর দুই চারটি বল করে টেস্ট করে চলে গেছে। এখানে দেখা যায় ওসমান খান চার বলে তিন রান, ক্যাপ্টেন সালমান নয় বলে মাত্র এক রান। সে অ্যারন হার্ডির এল বি ডব্লিউর শিকার হয়েছিল। তারপর ইরফান খান ৮ বলে ১০ রান, আব্বাস আফ্রিদি ৮ বলে এক রান, জাহানদাদ খান ১০ বলে পাঁচ রান, শাহীন আফ্রিদি ১২ বলে ১৬ রান। সম্পূর্ণ ম্যাচের মধ্যে একমাত্র শাহিন আফ্রিদি একটি ছয় মেরেছিলেন। তারপরে সুফিয়ান মুকিম তিন বলে এক রান করে আউট হয়ে যায়। সর্বশেষ দেখা যায় ১৮ ওভার ১ বল খেলে ১০ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র ১১৭ রান।


Screen Short Form

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস রিভিউ করে দেখতে পাই, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ওপেনিং হিসেবে খেলা শুরু করেছিলেন ম্যাথিউ শর্ট ও জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। এই দুজনের খেলা আমি আগে কখনো দেখি নাই। সম্ভবত তারা নতুন খেলোয়ার । এখানে ম্যাথিউ শর্ট নেমেই শাহিন আফ্রিদির বলে হোঁচট খাই। মাত্র চার বলে দুই রান করে বিদায় নেয়। কিন্তু ম্যাকগার্ক ১১ বল খেলে ১৮ রান করেছে। অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৩০ রানে 2 উইকেট হারিয়ে ফেলার কারণে ভেবেছিলাম হয়তো পাকিস্তানের মতোই হবে। কিন্তু ক্যাপ্টেনও উইকেট কিপার জোস এসে খেলাটা ধরার চেষ্টা করেন। তার সাথে জুটি বেঁধে খেলেছে মাকার্স স্টয়নিস। মার্কাস এসে সবকিছু এলোমেলো করে দিলো। সে মাত্র ২৭ বলে ৬১ রান করে অপরাজিতা থেকে দলকে জয়ের বন্ধরে পৌঁছে দেয়। সে পাঁচটি চার ও পাচঁটি ছয় মেরেছিল। একজনের কাছেই পাকিস্তান হেরে গেছে। তার সাথে জোস ইংলিশ ২৪ বলে ২৭ রান করেছিল। সর্বশেষ টিম ডেবিড এসে তিন বলে একটি ছয় মেরে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

অস্ট্রেলিয়ার বোলিং এবং ব্যাটিং দুটোই খুবই ভালো হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যারন হার্ডি খুবই ভালো বল করেছে। সে মাত্র চার ওভারে ২১ রান দিয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেছে। তার চার ওভারের মধ্যে একটি ওভার ছিল রান শুন্য। এছাড়াও ঝাম্পা এবং জনসন দুইটি করে উইকেট পেয়েছিল।

সব মিলিয়ে বলতে চাই টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্যে সবগুলো খেলাই পাকিস্তানের খারাপ হয়েছে। পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাট হাতে কেউ জ্বলে উঠতে পারে নাই। বলার হিসেবে কেউ নিজেকে মেলে ধরতে পারে নাই। যাইহোক সব মিলিয়ে মোটামুটি ভালো একটি খেলা উপভোগ করলাম।

💖💖💖সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖

আল্লাহ হাফেজ

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

Click Here For Join Heroism Discord Server