হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন। আমা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে ভাইরাল একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। যারা বাড়ির পাশে প্রেম করছেন, বাড়ির পাশে বিয়ে করবেন, তাদের জন্য এই নাটকটি। নাটকটি দেখলে হাঁসতে হাঁসতে অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
নামঃ- বাড়ির পাশে শ্বশুরবাড়ি।।
রচনা ও পরিচালনাঃ- মহিন খান
অভিনয়েঃ- নিলয় আলমগীর, তাসনুভা তিশা, মাসুম বাসার, সাবেরী আলম মোতাহের, শেলী আহসান, আবদুল্লাহ রানা, ইভান সহ আরো অনেকে।
মুক্তির তারিখঃ- ২৯শে অক্টোবর ২০২৪
সময়ঃ- ৫৫ মিনিট
দেশঃ- বাংলাদেশ
ভাষাঃ- বাংলা
মহিন খান কর্তৃক পরিচালিত খুবই ভাইরাল একটি নাটক হলো বাড়ির পাশে শশুর বাড়ি। এ নাটকটি খুবই সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়ির পাশে শ্বশুরবাড়ি হলে কি কি সুবিধা হয়, কি কি অসুবিধা হয় সবকিছু এই নাটকের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। এ নাটকটি গত মাসের ২৯ তারিখ রিলিজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত নাটকটিতে প্রায় ১১ মিলিয়ন প্লাস ভিউ হয়েছে। চিন্তা করেন মাত্র ১৫ থেকে ১৬ দিনে একটি নাটক ১১ মিলিয়ন ভিউ হলে কি পরিমান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একটি গ্রাম্য পরিবেশে খুবই সিম্পল ভাবে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে। নাটকটিতে অভিনয় করেছে বর্তমানে নাটকের পরিচিত মুখ নিলয় আলমগীর ও তাসনুভা তিশা। দুজনের মূল চরিত্রে অভিনীত নাটকটি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সেজন্য আপনাদের সাথে রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম।
নাটকটিতে দেখা যায় নীলয় আলমগীরের বাবা আব্দুল্লাহ রানা ও তাসনুভা তিশার বাবা মাসুম বাশার পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করে। মানে তারা একে অপরের প্রতিবেশী। কাছাকাছি বাড়ি তাদের। মাসুম বাশারের দুই মেয়ে তার মধ্যে তাশনুভা তিশা হলো সবার বড়। একদিন তাসনুভা তিশাকে বিয়ের জন্য বরপক্ষ দেখতে আসে। সেখানে মাসুম বাশারের প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ রানা ও হাজির ছিল। বর পক্ষের কাছে আব্দুল্লাহ রানা মাসুম বাশার ও তার মেয়ের এত প্রশংসা করেছে যে বরপক্ষ এক কথায় এখানে বিয়ে করানোর জন্য রাজি হয়ে গেছে। যখন বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করতে যাবে তখনই নিলয় আলমগীর এসে বাধা দেয়।
নাটকে আব্দুল্লাহ রানার ছেলে হল নিলয় আলমগীর। সে মাসুম বাশারের মেয়ে তাসনুভা তিশাকে ভালোবাসে। সে মজলিসের সবার সামনে বলে যদি তিশাকে তার সাথে বিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে সে বিষ খেয়ে মারা যাবে। কিন্তু বাড়ির পাশে নিজের ছেলেকে বিয়ে করাতে রাজি নয় আব্দুল্লাহ রানা। এমন সময় মাসুম বাশার ও এলাকার কিছু লোকজন মিলে আব্দুল্লাহ রানাকে গাছের সাথে বেঁধে নিলয় আলমগীর ও তাসনুভা তিশার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। তিশাও নীলাকে ভালোবাসে। বিয়ের পরে নিলয় আলমগীর যখন তিশাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে বাসর ঘরে যাই, তখনই প্রথম ধাক্কাটা খায়।
রাতের বেলা হঠাৎ করে তাসনুভা তিশার মা একটি ক্রিম নিয়ে হাজির হয়। কিছুক্ষণ পরে ছোট বোন এসে হাজির হয়। ছোট বোন বলে আমি বড় আপুকে ছাড়া ঘুমাতে পারবো না। আমি আপুর সাথে ঘুমাতে চাই। তখন নীলয় আলমগীর কে ফ্লোরের মধ্যে ঘুমাতে হয়। পরের দিন তিশাকে তার শাশুড়ি রান্নাবান্নার কাজ করতে বললে, সে বলে আমি কাজ কাম করতে পারি না। আমি রান্নাবান্না করতে পারবো না। তখন নিলয়ের মা তিশাকে কিছু ড়া কথা বললে, তিশা চিৎকার করে তার মাকে ডাকতে থাকে। তখন তিশার মা এসে নিলয়ের মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি করে। মানে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়।
অন্যদিকে নিলয় এলাকায় বিয়ে করেছে, তার সম্পর্কে কিছুটা পরিবর্তনে এসেছে, এলাকার ছেলেপেলে যারা তাকে চাচা ডাকতো, তারা দুলাভাই ডাকে, যারা আগে ভাই ডাকতো তারা এখন চাচা ডাকে। চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে সবাই দুলাভাই দুলাভাই বলে দোকানের এটা সেটা খেতে চাই। চায়ের দোকানে হঠাৎ করে শ্বশুর এসে হাজির হয়। এলাকার ছেলেদের সাথে তাস খেললে, শাশুড়ি দেখে তার মেয়ের কাছে বলে দেয়। মানে প্রতিদিন নিলয় আলমগীর বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা ফেস করে।
এভাবে একদিন নিলয় পাশের বাড়ির এক ভাবীর সাথে কথা বলার সময় তার শালিকা দেখে ফেলে। শালিকা গিয়ে তার বোনের কাছে উল্টাপাল্টা বানিয়ে বলে। বউ এসে নিজেকে বাড়িতে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে। মেয়ের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে অন্যদিকে তার মা-বাবা ও বোন দৌড়ে তার শ্বশুরবাড়িতে চলে আসে। শুরু হয় মহা এক ঝামেলা। একদিন কথা কাটাকাটি করতে করতে নীলয় আলমগীরের বউ তাকে রাতের বেলা না খাইয়ে বাহিরের রাখে। নীলয় সারারাত না খেয়ে সকালবেলা তার বন্ধুদের কাছে গিয়ে খিদার কথা বলে। তখন তার বন্ধুরা সবাই মিলে তাকে বুদ্ধি দেয় তারা আজকে একটি ছাগল চুরি করে খাবে। ঘটনা ক্রমে তারা নিলয়ের শ্বশুর মাসুম বাশারের ছাগল চুরি করে জবাই করে খেয়ে ফেলে।
মাসুম বাশার অনেক খোঁজাখুঁজির পরে ছাগল না পেয়ে, নিলয়ের বন্ধুবান্ধবদের ধরে ফেলে। তারপর তাদেরকে গাছের সাথে বেঁধে মারতে লাগলে তারা নিলয়ের কথা বলে দেই। আর তখনই দুই ফ্যামিলির মধ্যে প্রচন্ড রকমের ঝামেলা শুরু হয়। এমনকি নিলয় তিশার মধ্যে ডিভোর্সের ব্যাপার চলে আসে। তখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসে নিলয় ও তিশার নিকট মতামত জানতে চাই। আর তাদের দুজনের মতামত জানতে হলে আপনাদেরকে নাটকটি দেখতে হবে। নাটকটি দেখতে হলে নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে ফেলুন।
আমি নাটকটি প্রথম দেখলাম। খুব সুন্দর একটি নাটক নির্মাণ করা হয়েছে। নাটকটিতে বাড়ির পাশে শ্বশুরবাড়ি হওয়ার নেগেটিভ এবং পজেটিভ দুইটি দিক দেখানো হয়েছে। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে পজিটিভ থেকে নেগেটিভ সাইট বেশি। তাই যথা সম্ভব বাড়ির পাশে শ্বশুরবাড়ি না করাই ভালো। কিন্তু জোড়া যদি বাড়ির পাশে লেখা থাকে তাহলে দূরে যাওয়া অসম্ভব। ঝামেলা নিয়েই দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করতে হবে,হা হা হা।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server