আপনারা কেমন আছেন? আশা করি, মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ' কে ভালোবেসে এবং সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থিত হলাম মজাদার এক রেসিপি তৈরি করে দেখাতে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সুস্বাদু ভাপা পিঠা তৈরি করে দেখাবো। আশা করবো আমার এই পিঠা তৈরি করা দেখতে আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কার্যপ্রণালী শুরু করি।
ব্যবহারিত উপাদান সমূহ
ক্রমিক নম্বর
উপাদান
পরিমান
১.
চিনি
হাফ কেজি
২.
চাউলের ময়দান
হাফ কেজি
৩.
প্যাকেট ময়দা
এক পোয়া
৪.
খেজুরের পাটালি
এক পিস
৫.
পানি
পরিমাণ মতো
৬.
লবণ
পরিমাণ মতো
৭.
নারিকেল
দুই পিস
কার্যপ্রণালীর ধাপসমূহ:
ধাপ :-১
প্রথম আস্ত খেজুরের পাটালি টাকে একটি প্লেটের মধ্যে কুচি কুচি করে কেটে নিলাম। পাটালি টুকরা গুলো যেন অনেক ছোট ছোট হয় সেদিকে নজর রাখলাম।
ধাপ :-২
দ্বিতীয় পর্যায়ে কিছুটা পানির মধ্যে চিনি আর লবণ গুলিয়ে নিলাম। এবার সেই তিনি লবণ মিশ্রিত পানি সমস্ত ময়দা গুলো সাথে একটি প্লেটের মধ্যে ভালোভাবে ঝুরঝুরিভাবে মেশাতে থাকলাম। যেন পানির পরিমাণটা বেশি না হয়ে যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। আর এভাবেই প্লেটের মধ্যে এরপর গামলার মধ্যে সমস্ত ময়দার সাথে সুন্দর করে মিশিয়ে নিই।
ধাপ :-৩
তৃতীয় পর্যায়ে এসে আমি যেই ছোট সারা ব্যবহার করব ভাপা পিঠা তৈরি করার জন্য, প্রথমে সেই মাটির তৈরি সারা এর মধ্যে প্রথমে ময়দা মেশানো এরপর নারিকেলের ঝুরি ও পাটালীগুড়ের টুকরা মাঝখানে দিয়ে দিলাম। এরপর আবারো উপরে চিনির লবণের ময়দা মিশ্রণ দিয়ে দিলাম। এভাবে সারাটা পরিপূর্ণ করে নিলাম।
ধাপ :-৪
এরপর পাশাপাশি দুইটা খোড়ির আগুন চুল জ্বাল শুরু করে দিলাম। এর উপর মাটির ঝাজুর পাত্র বসিয়ে দিলাম। সে পাত্রের উপরে ভাপ দেওয়ার জন্য একটি রাইস কুকারের প্লেট বসলাম। এবার দুইটা চুলাতেই নিজের সুবিধার্থে সরা এর মধ্যে দেওয়া উপাদান নেট জালের উপরে রেখে উল্টা করে দিয়ে দিলাম।
ধাপ :-৫
একটাতে রুটি তৈরি করার তাওয়া ব্যবহার করেছি। আরেকটাতে রাইস কুকারের পাত্র।কিছুটা সময়ের জন্য ভাব দেয়া হতে থাকলো এভাবেই ভাপা পিঠা তৈরি শুরু করে দিলাম পর্যায়ক্রমে। কিছুক্ষণ ধরে ভাব দেওয়া এরপরে দলা বেঁধে গেলে নামিয়ে নেওয়া। এভাবে আমি আমার কাজ।
শেষ ধাপ:
যখন ভাপা পিঠাগুলো জমাট বাধা শুরু হয়ে যাচ্ছিল তখন উপর থেকে সারা নামিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ঠিক এভাবেই দুইটা আকাতে আমি আমার ভাপা পিঠা তৈরি করতে থাকলাম। যখন একটি একটি করে পিঠা তৈরি হয়ে যাচ্ছে তখন পিঠাগুলো প্লেটের মধ্যে নামিয়ে নিতে থাকলাম। এভাবে একটি পর্যায়ে আমার ভাপা পিঠা তৈরির কাজ শেষ হয়ে আসলো।
পরিবেশন
পিঠা তৈরির পর রান্নাঘর থেকে সেগুলো রুমে নিয়ে আসলাম। এরপর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খাওয়ার আহবান করলাম। সকলে গরম গরম ভাপা পিঠা খেয়ে বেশ খুশি হয়েছিল। তার এভাবেই পরিবারের সদস্যদের মাঝে পিঠা পরিবেশন করলাম এবং একত্রে খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করলাম। আর এভাবেই আমার ভাপা পিঠা তৈরির কাজ হোক সবার মাঝে বিতরণ শেষ হয়।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।