আজ - বুধবার
০৭ জ্যৈষ্ঠ,১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১ মে,২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
photography device: Itel vision 1-8mp
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
১. | রুই মাছের খন্ড | ৭ পিস |
২. | পেঁয়াজ কুচি | ২ পিস |
৩. | রসুন কুচি | ১ পিস |
৪. | কাঁচা পাকা মরিচ | ৫ পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ৭৫ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | আধা চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | পরিমাণ মতো |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
১১. | সাজনা ডাটা | হাফ কেজি |
১২. | আলু | ৫ পিস |
প্রথমে মাছের খন্ডগুলো খুব সুন্দর করে ঝাল হলুদ এর গুঁড়া ও লবণ এর সাথে মাখিয়ে নিলাম। যেন মাছগুলোর গায়ে খুব সুন্দর ভাবে লাগতে পারে সেভাবে মাখাতে হবে।
এবার চুলার পাড়ে উপস্থিত হয়ে চুলার উপর কড়ায় বসিয়ে দিলাম। এরপর কড়াইয়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম।
গরম তেলের মধ্যে মাছগুলো ছেড়ে দিলাম। গরম তেলে মাছগুলো খুব সুন্দর ভাবে সিদ্ধ হতে থাকলো। তবে এই মুহূর্তে বেশ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় যেন তেল গায়ে না লাগে।
কিছুক্ষণ পর মাছের ব্যাপক পরিবর্তন এসে গেল। আমিও চেষ্টা করলাম এরপর ক্ষুন্তি দিয়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ভাজার জন্য। আর এভাবে কিছুটা সময় ধরে মাছ ভাজা চলতে থাকলো।
মাছ ভাজার কাজ সম্পন্ন হলে, মাছগুলো কড়াইয়ের মধ্য থেকে উঠিয়ে একটি পাত্রের মধ্যে রাখলাম। তবে চেষ্টা করলাম মাছগুলো একটু সুন্দরভাবে মুচমুচে আকারে ভেজে নিতে। কারণ যত সুন্দর মাছ ভাজা হবে তত রেসিপি সুস্বাদু হবে।
এবার আবারও দ্বিতীয়বারের মতো কড়াইয়ের মধ্যে ঝাল পিঁয়াজ রসুনের কুচি সহ বিভিন্ন মসলার উপাদান গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর আরো একটু তেল ঢেলে ভাজার চেষ্টা করলাম। তারপর এর উপর মসলার গুড়াগুলো দিয়ে দিলাম। আর এভাবে খুব সুন্দর ভাবে মসলা ভেজে নিলাম।
একটি পর্যায়ে মসলাগুলো খুব সুন্দর ভাবে ভাজা হয়ে গেল। এরপর মসলার উপরে আলুর ফালি গুলো দিয়ে দিলাম। একদিকে চুলায় জ্বাল চলতে থাকলে, আর একদিকে আমি মসলাগুলোর সাথে আলুর ফালি ভালোভাবে মিক্সচার করতে থাকলাম। আর এভাবে দ্বিতীয় ধাপে আমার রান্নার কার্যক্রম চলতে থাকলো।
এবার মসলাযুক্ত আলুর ফালির উপর সাজেনা ডাটা দিয়ে দিলাম। এরপর আবারও সুন্দর ভাবে রান্না করতে থাকতাম। ধীরে ধীরে সবজিগুলো সিদ্ধ হতে থাকলো। আর এভাবে কিছুটা সময় ধরে চামচ দিয়ে নাড়তে নাড়তে সময় অতিবাহিত হতে থাকলো পাশাপাশি রান্নার পরিবর্তন আসতে থাকলো। একটি পর্যায়ে হাফ কাপ পরিমাণ পানি দেওয়া হল একটু ঝোল ঝোল ভাবে রান্না করার জন্য। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হলো।
এরপর মাছ ভাজা গুলো সবজির মধ্যে দেওয়া হল। তারপর ঢাকনা দিয়ে আবার ঢেকে দিলাম। এভাবে সবজির সমন্বয়ে মাছ রান্নার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে এসে গেল। ঢাকনা তুলে দিয়ে রেসিপি চেক করে দেখলাম ঝাল লবণের গুণগত মান ঠিকঠাক আছে কিনা।
একটি পর্যায়ে রান্নার কার্যক্রম শেষ হয়ে গেল। এরপর রেসিপি নামিয়ে একটি গামলার মধ্যে রাখলাম। অতঃপর সুন্দরভাবে পরিবেশন করার জন্য একটি প্লেটে উঠিয়ে নিলাম। আর এভাবে আমার সবজির সমন্বয়ে মাছের রেসিপির কাজ সম্পন্ন হল।
পরিবেশন
খাবার খাওয়ার সময় আমার এই রেসিপি পরিবারের সবার মাঝে খুব সুন্দর ভাবে বন্টন করে দিলাম। আর এভাবে আমার রেসিপির কার্যক্রম সম্পন্ন হল। খাবার খাওয়ার মধ্য দিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে বেশ প্রশংসা শুনতে পারলাম আমার এই রেসিপি নিয়ে। আর এভাবেই আমার সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলো।
Photo device | Itel vision 1-8mp |
বিষয় | সুস্বাদু মাছের রেসিপি |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
Comments