কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি ভিডিও পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের দেখাতে চলেছি রেনডম ভিডিওগ্রাফি। যেখানে ছোট ছোট তিনটা ভিডিও একত্রিত করে একটি ভিডিওতে রূপদান করেছি। আশা করবো আমার এই ভিডিওটা আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে এবং দেখে মুগ্ধ হবেন।
শরৎকাল আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু আমাদের মন থেকে এখনো শরৎকাল বিদায় নেয়নি। আমরা শরৎকালসহ যে সময় আকাশের সুন্দর সুন্দর মেঘগুলো দেখেছিলাম সেই সময়ে ফটো ধারণ করে রাখার চেষ্টা করেছি, ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করেছি। আর এভাবেই মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করেছি অনেক রকমের চিত্র। আমি মনে করি এগুলোর অবদান আমার বাংলা ব্লগের। আমি এর আগে এমনিতে ফটো ধারণ করে মোবাইলে রাখতাম ভালো লাগতো। তবে অতিরিক্ত ভালো লাগার মাত্রা এবং প্রয়োজনের তাগিদে এখন যেন ফটো ভিডিও বেশি ধারণ করা হয়। ঠিক তেমনই আজকের এই ভিডিওটা। একদিকে আকাশের যেমন ভিডিও ধারণ করেছিলাম। ঠিক তেমনি বাড়ির পুকুরগুলোতে যখন জেলেরা এসেছিল মাছ ধরতে তখনও অনেকগুলো ফটো ও ভিডিও ধারণ করেছিলাম।
Photography device:Huawei P30 Pro-40mp
এমনিতে আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের পরিবারসহ এখানে বেশিরভাগ মানুষ মাছ চাষের সাথে সম্পৃক্ত। ঠিক তেমনি আমাদের বাড়ির মানুষরাও মাছ চাষ করে থাকেন। এজন্য যেকোনো মুহূর্তে মাছ ধরা পুকুরে মাছ ছাড়া আবার মাছ ধরতে যাওয়ার বিভিন্ন সুযোগ এসে থাকে। এবার তো আমাদের বাড়ির দুইটা পুকুরের মধ্যে একটা পুকুর বেশ কয়েকটা দিন ধরে পানির নিষ্কাশন করছিল। সেখানে মাছ ধরতে দেখেছিলাম ফটো ভিডিও ধারণ করেছিলাম। আবার আমাদের বাড়ির সামনের পুকুরটাতে পাঙ্গাস মাছ ধরার জন্য অনেক জেলে আসতেন। আর সে থেকে সুযোগ করে ফটো ভিডিও ধারণ করতে পেরেছি। আমরা জানি বর্ষার সময় মাটিতে যে সমস্ত বীজ পড়ে থাকে না কেন সেই বীজ থেকে গাছ জন্মায়। যাদের বাড়িতে অনেক জায়গা আছে বা আনাচে-কানাচে বীজ পড়ে থাকে তারাই জানে এমনিতেই অনেক রকমের গাছ জন্মিয়ে বড় হয়ে যায়।
ঠিক তেমনি আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে গেটের সম্মুখে এবার অনেকগুলো চাল কুমড়া মিষ্টি কুমড়ার গাছ হয়েছিল। পাশের সারগত্র রয়েছে। রান্নাবান্না করার জন্য যে সমস্ত তরী-তরকারি কোটা হয় তার খোসা ও আঁটিগুলো সর্বত্রের দিকে ছুড়ে ফেলা হয়। হয়তো সেই বীজগুলা পাশে পড়েছিল। আর সেই থেকে বৃষ্টির পানিতে এমন গাছ হয়ে গাছগুলো বেঁধে উঠেছিল। তাই এখানে দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর ভাবে ভিডিওর মধ্যে ক্যাপচার করা হয়েছে চাল কুমড়ো মিষ্টি কুমড়ার গাছগুলো। আর সেই গাছে প্রজাপতি সহ বিভিন্ন রকমের কীটপতঙ্গের আবির্ভাব। যেমন চমৎকার ফুল ফুটেছে তেমনি মনমুগ্ধকর ভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলেছে চারপাশে। এই সমস্ত ভিডিও গুলো একত্রিত করে আমি সুন্দর সাউন্ড যুক্ত করেছি। আর এভাবেই এডিটিং এর মধ্যে দিয়ে আমার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে আপনাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছি।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।