সিমেন্টের চুলা কেনার অনুভূতি

jannatul01 -


আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম


কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। হাট-বোয়ালিয়া বাজারে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয়েছিলাম। আজকে সেই কেনাকাটার কিছু অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

photography device: Infinix

[What 3 word's location](https://w3w.co/assigned.rocketed.flies)




রান্না করার জন্য আমরা বিভিন্ন রকম চুলা ব্যবহার করে থাকি। অনেকে গ্যাসের চুলা বেশি ব্যবহার করি। আবার অনেকে রয়েছে আমাদের মত মাটির চুলা, পাশাপাশি সিমেন্টের চুলা ও গ্যাসের চুলা ব্যবহার করে থাকে। বর্তমান সময়ের সবাই চেষ্টা করে থাকে মাটির চুলা টাকে এভয়েড করে সিমেন্টের চুলা ব্যবহার করার। বিশেষ করে যারা গ্রামে বাস করে আর খড়ি ব্যবহার করে তাদের মধ্যে বর্তমান সিমেন্টের চুলার প্রচলন বেড়ে গেছে। ঠিক দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমরাও মাটির চুলার পরিবর্তে সিমেন্টের চুলা ব্যবহার করি। তবে আমাদের সিমেন্টের চুলা প্রায় ভেঙে যাওয়া অবস্থায় চলে গেছে। তাই আমরা যখন কেনাকাটা করতে গেলাম তখন সিদ্ধান্ত নিলাম বাজারে সুন্দর একটি সিমেন্টের চুলা কিনতে পারা যায় কিনা দেখব। ঠিক তেমনি কেনাকাটা শেষ করে চলে আসলাম যেখানে চুলা তৈরি করে বিক্রয় করে সেই দোকানে। এসে আমি দেখে অবাক হলাম, এখানে বিভিন্ন রকমের চুলা বিক্রয় করে। প্রথমে উপস্থিত হয়ে, ফটোগ্রাফিতে বাম সাইডের যেই চুলাটা রয়েছে সেটা আমার পছন্দ হল। তবে বিক্রেতা বললেন আগে সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখে নিন তারপরে চয়েজ করেন। এখানে বিভিন্ন মডেলের বিভিন্ন দামের চুলা রয়েছে। কথা শুনে একটু হাসি আসলো, চুলার আবার মডেল।


তখন আমাকে বিভিন্ন রকমের চুলা গুলো দেখাতে থাকলেন আর দাম বলতে থাকলেন। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম সত্যি বিভিন্ন সাইজের বিভিন্ন ডিজাইনের চুলা রয়েছে সেখানে। কিছু চুলা রয়েছে একসাথে দুইটা। বাচ্চাদের জন্য বড় সুবিধা। দেখা যাচ্ছে একদিকে রান্নাবান্না আর একদিকে বাবুদের খাবার রান্না দুইটাই সম্ভব হবে খুব সহজে। তবে বাড়িতে গ্যাসের চুলা থাকায়, দুই আকার প্রয়োজন মনে করিনা। এখানে যে শুধু চুলার রয়েছে তা কিন্তু না, বিভিন্ন সাইজের নানদা রয়েছে। যেগুলো পুকুরে মাছের খাবার ভিজিয়ে রাখার জন্য প্রায় কিনে থাকে। সমস্ত জিনিসগুলো আমরা দেখতে থাকলাম। এর সাথে দাম জানতে থাকলাম। এক পর্যায়ে আমি ভাবতে থাকলাম এগুলো তৈরি করে কিভাবে। তার কিছুক্ষণ পর দেখলাম একজন বৃদ্ধ মহিলা ঘরের মধ্য থেকে বের হয়ে আসলেন এবং চুলা তৈরি করার কাজ শুরু করলেন। ঘরের মধ্যেও বেশ অনেক তৈরি করা রয়েছে দেখলাম। তখন দেখলাম এবং জানতে পারলাম এই বৃদ্ধ মহিলাটা সহ আরো অনেকেই এই কাজ করে থাকেন।


চুলা দেখে আমার একটা বেশ পছন্দ হলো। তখন আমরা দুইজনার সিদ্ধান্ত নিলাম একটা নানদা নিয়ে যাওয়া হোক। আমাদের দুইজনার প্রয়োজনে কাজে লেগে যাবে। এরপর আমাদের বাড়ির পাশের একটা ভ্যান গাড়িকে ডাকা হল। আমরা কোন কিছু কিনলে আমাদের বাড়ির পাশের এক বড় ভাইয়ের বড় ছেলেকে নিয়ে যেতে বলি। ছেলেটা বাজারের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে বেড়ায়। তবে ছেলেটা ওই মুহূর্তে বাজারে ছিল না। তার গাড়িটা রিজার্ভ কোন এক দূরে ভাড়ায় গেছে। গরিবের ছেলে, দীর্ঘদিন আমাদের কি জিনিস বহন করে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোন গাড়িতে যদি জিনিস নিয়ে যায় তাহলে মন খারাপ হতে পারে। ছেলেটা বলল আমার আসতে একটু দেরি হবে, তাহলে পরবর্তী দিন নিয়ে এসে দি। আমরাও রাজি হয়ে গেলাম। কারণ পরবর্তী দিন বাজারে বাবুর আব্বা যাবেন।


যাইহোক কাঙ্খিত দিন আমাদের চুলা কিনে আনা হলো না। তবে আমি বাবুর আব্বাকে বলে রেখেছিলাম আমার পছন্দের চুলাটা যেন নিয়ে আসা হয়। এটার দাম আবার সাড়ে ৫০০ বলেছিল। তবুও আমার কাছে ভালো লেগেছিল। যাইহোক পরবর্তী দিন আমাদের শেষ ছেলেটা সেখানে উপস্থিত হয়ে চুলা ও সিমেন্টের নানদা এনে দিয়েছে। চুলাটা আমার রান্নাঘরের মধ্যে রেখে দেওয়া হয়েছে। এখনো ঠিকঠাকভাবে স্থাপন করা হয়নি। তবে নিজের ভালোলাগার চুলাটা কিনতে পেরে অনেক খুবই আনন্দিত।



সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ


পোস্ট এর বিবরণ


বিষয়হট-বোয়ালিয়া বাজার থেকে কেনাকাটা
What3words LocationGangni-Meherpur
মোবাইলInfinix
ক্রেডিট@jannatul01
ব্লগারআমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি


আমার পরিচয়


আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।