জেনারেল রাইটিং : মান-সম্মান

jannatul01 -


আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম


Photography device: Infinix Hot 11s-50mp

Photography device: photo editing by PicsArt app



জেনারেল রাইটিং পোস্ট


মানসম্মান জিনিসটা কিনতে পাওয়া যায় না, এ কথায় চিরন্তন সত্য। আমার টাকা পয়সা দিয়ে অনেক কিছু কিনতে পারি। কিন্তু টাকা পয়সা দিয়ে কখনো মানসম্মান কেনা যায় না। হয়তো টাকা পয়সা যার অনেক বেশি রয়েছে তাকে মান সম্মান অনেকে দিয়ে থাকে কিন্তু সে মান সম্মান স্থায়িত্ব লাভ করে না। সামনে থেকে সম্মান দেখানো এবং পিছন থেকে ঢিল শাসানোর মত। যে মান সম্মান স্থায়িত্ব লাভ করে সে মানসম্মান প্রকৃত মান সম্মান। আরে প্রকৃত মান সম্মান অর্জন করতে হলে মানুষের নিজস্ব কিছু গুণাবলী থাকা প্রয়োজন। ছোট থেকে সারা জীবন মানুষ কিছু কিছু গুণাবলীর জন্য এই সমস্ত মান-সম্মান অর্জন করে থাকেন। আর এই মান-সম্মান অর্জনের পেছনে বেশ কিছু বিষয় থাকে তা সত্য কথা বলা, সত পথে চলা, মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা, মানুষের বিপদে-আপদে কাজে আসা, নম্র ভদ্র ব্যবহার, নৈতিক শিক্ষার পরিচয় দেওয়া, সুশিক্ষার পরিচয় দেওয়া, সমাজের বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা কে খুব সহজে দূর করে দেওয়া, এক কথায় সুশীল সমাজ যেমন দৃষ্টিতে আপনাকে দেখতে চাই সে ব্যবহারটাই হচ্ছে মান সম্মান অর্জন করার অন্যতম মাধ্যম।


আমরা সমাজে লক্ষ্য করে দেখি অনেক মানুষের অনেক টাকা পয়সা রয়েছে কিন্তু মান সম্মান নেই। আবার অনেক মানুষের টাকা পয়সা রয়েছে মানসম্মান রয়েছে কিন্তু সে মান-সম্মান দীর্ঘস্থায়ী হয়। কারণ টাকা পয়সা উপার্জন করেছে বেপথে। কিছুদিনের জন্য অনেক মানুষ প্রভাবশালী হয়ে ওঠে হঠাৎ করে এমন মান সম্মান হয়ে যায় তার পূর্বের খারাপ কার্যকলাপ গুলো টাকা পয়সার জন্য ঢাকা পড়ে যায়। তার ক্ষমতার দাপটের জন্য ঢাকা পড়ে যায় অতীতের কুকীর্তিকলাপ। কিন্তু দেখা যায় তাদের সেই ক্ষমতা দাপট টাকা পয়সা দীর্ঘস্থায় লাভ করে না কারণ বিপথে অর্জন করা। তাই আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পারি যে সমস্ত মানুষগুলোর মান-সম্মান অনেক বেশি স্থায়িত্ব লাভ করেছে, তার পেছনে তার সুনাম রয়েছে। তার পেছনে তার ভালো কাজকর্ম রয়েছে।


তবে এখানেও একটা বিষয় আমরা লক্ষ্য করে থাকি। অনেক ভালো মানুষের ভালো সুনাম রয়েছে মানসম্মান রয়েছে কিন্তু তার সন্তান আত্মীয়-স্বজনের জন্য সেই মানসম্মান নষ্ট হতে থাকে তিলে তিলে। কারণ মানুষ তো ভুল করে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এমন এমন জায়গায় ভুল থেকে যায় যে ভুলগুলো সারা জীবনের জন্য মানসম্মানটা ধ্বংস করে দিতে পারে। সমাজে এমন মানুষকে দেখা যায় মহৎ ব্যক্তির কোলে জন্ম নিয়েছে কুলাঙ্গার সন্তান। যে সমস্ত কুলাঙ্গার সন্তানের চরিত্র খারাপ কার্যক্রম খারাপ চলাচল খারাপ তাদের এই সমস্ত কারণে পিতা-মাতার মান-সম্মান ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। তাই একটা বিষয় সবসময় মাথায় রাখতে হবে, মান সম্মানটাকে কিভাবে ধরে রাখা যায়, আর কিভাবে চললে মান-সম্মান বজায় থাকে। আমারও জানি ছোট থেকে যদি সন্তানদের সুশিক্ষা দেওয়া যায় তাহলে বড় হলে অবশ্যই তারা শু পথে চলবে। আর এ মান সম্মানের ভয় আলা পিতা মাতারা যদি এ বিষয়টা মাথায় রেখে নিজের সন্তানকে মানুষ করে তাহলে অবশ্যই মান সম্মান বজায় থাকবে। আবার নিজের আত্মীয়-স্বজন যারা রয়েছে যারা সুপথে চলে, তাদের সাথেই সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে উঠবস করতে হবে। যারা খারাপ পথে চলে সে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনদেরকে সুন্দর করে বুঝাতে হবে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ কোনটার কারণে মান-সম্মানের ক্ষতি হচ্ছে। যখনই সে সমস্ত আত্মীয়-স্বজন আপনার কথা বুঝবে না অবশ্যই তখন ইচ্ছে আত্মীয়-স্বজনকে এড়িয়ে চলতে হবে বা ত্যাগ করতে হবে। কারণ আপনার মান সম্মান আপনার কাছে।


তাই আমাদের সব সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে চলতে হবে। কারণ মানুষের জীবনটা ক্ষণস্থায়ী। এখনো স্থায়ী জীবনের মধ্যে সুন্দরভাবে বসবাস করতে হলে অবশ্যই সবার সাথে ভালো ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে সুনাম অর্জন করতে হবে মানসম্মান অর্জন করতে হবে। কিন্তু ক্ষণিকের জন্য টাকা পয়সা অহংকার ক্ষমতা দিয়ে অর্জন করা মান-সম্মান কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয় না পূর্বে কোন ব্যক্তির হয়নি এখনো হবেনা যেগুলো আমরা লক্ষ্য করেছি সরকার পতনের মধ্য দিয়ে। যারা ভুলের মধ্যে রয়েছে তাদেরকে ভুল সংশোধন করতে দিতে হবে। কারণ মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু বারবার ভুল তো মেনে নেওয়া যায় না। আর তাই তাদের প্রথম অবস্থায় সঠিক পথ দেখানো আপনার আমার সকলের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ মানুষ যখন ভুলের পথে চলে যায় তখন মান সম্মান আর তো মর্যাদা বলে কোন কিছুই মাথায় থাকে না। তবুও মানুষ বুদ্ধি জ্ঞান সম্পন্ন এবং বিবেকবান হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই তার ভুল ত্রুটি গুলো যদি সুন্দরভাবে বোঝানো যায় সে অবশ্যই সঠিক পথে ফিরে আসতে পারবে। তাই নিজের মান সম্মান অন্যের মান সম্মান যেন ঠিক থাকে এজন্য নিজেদের সজাগ সচেতন হতে হবে ও সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে।



পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ




পোস্ট এর বিবরণ


বিষয়জেনারেল রাইটিং
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix Hot 11s-50mp
ক্রেডিট@jannatul01
দেশবাংলাদেশ
ব্লগারআমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি


আমার পরিচয়


আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।