কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে একটা ব্যতিক্রম পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। কেউ কখনো বাগান নিয়ে পোস্ট করেছে কিনা জানিনা। তবে ফলের সময়ে ফল বিষয়ে বাগান নিয়ে অনেকে পোস্ট করে থাকে। তবে আজকে কোন ফল বিষয় নয় তবে একটা নারিকেল বাগান নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গেছি।
photography device: Infinix Hot 11s/Huawei P30 Pro-40mp
আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের বেশ অনেকগুলো পুকুর রয়েছে,সেখানে মাছ চাষ হয়। পুকুর পাড়ে অনেক রকমের শাকসবজি উৎপাদন করে থাকে। এইজন্যই মাঝে মধ্যে সুযোগ হয় আমার শাকসবজি উত্তোলন করতে, আর তাদের সাথে মাছ ধরার জন্য পুকুর পাড়ে যাওয়ার। আর এখন তো আর একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ফটো সংরক্ষণ করতে পারি পুকুর পাড়ে গেলে। আর এভাবেই বিভিন্ন সময়ে পুকুরপাড়ে উপস্থিত হয়েছি এদিক সেদিকে ফটো ধারণ করেছি। এমন বেশ কিছু ফটো আমার মোবাইলের মধ্যে রয়ে গেছে। বেশ কয়েকটা দিন কমেন্ট করতে গিয়ে আমি লক্ষ্য করে দেখছি আমাদের গ্রামের সবচেয়ে বড় নারিকেল বাগানটা আমাদের গ্রামের ইউজাররা ফটো ধারণ করে শেয়ার করে থাকে। কিছুদিন আগে দেখলাম আমাদের ফাতেমা শেয়ার করেছে নারিকেল বাগানের একটা ফটো। তার আগে দেখলাম ছোট ভাইয়া শেয়ার করেছেন নারিকেল বাগানের ফটো। এরও অনেক আগে একদিন লক্ষ্য করে দেখেছিলাম তুহিন ভাইয়া শেয়ার করেছেন নারিকেল বাগানের ফটো। কিন্তু আমি যে পুকুরপাড়ে উপস্থিত হলে ফসলের মাঠের দিকে ফটো ধারণ করলেন নারিকেল বাগান আমার ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায় এটা আমার খেয়াল থাকে না।
এই কয়টা দিন আমি মনে মনে করছিলাম ফাতেমা কত সুন্দর করে নারিকেল বাগানের পিকচার শেয়ার করেছে। এদিকে আমার মোবাইলে তো বেশকিছু রয়েছে সে নারিকেল বাগান এর চিত্র। ফাতেমার পোস্ট দেখার পর থেকে মনে মনে করি কিন্তু পোস্ট করার বেলায় আর স্মরণে থাকে না। গতকাল পুকুরপাড়ে মাছ ধরতে গিয়ে চোখে পড়ল নারীকেল বাগানটা। হঠাৎ মাথায় আসলো এ বাগানের আর কয়েকটা ফটো ধারণ করবো এবং পোস্ট শেয়ার করব। কিন্তু ফটো ধারণ করতে কখন জানি ভুলে গেছি মাছ ধরার আনন্দে। তবে মোবাইলের গ্যালারিতে তো অনেকগুলো ফটো রয়ে গেছে। তাই আজকে ভেবেই বসলাম বাগানের যে কয়টা চিত্র আমার মোবাইলে রয়েছে, সব আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আমাদের পুকুরপাড়ে তার জাল পার হওয়ার মুহূর্তে বারবার ফসলের দিকে একটু চোখ পড়ে, আর তখনই ফটো ধারণ করা হয়ে ওঠে। ধান লাগানোর সময় ফটো ধারণ করেছিলাম। পুকুর পাড়ের পাশের জমিতে ধানগুলো যখন একটু বেড়ে উঠেছে তখনও যেন সৌন্দর্য খুঁজতে ফটো ধারন করেছিলাম।
এখানে এই ফটো দুইটা ধারণ করেছিলাম সবজি উত্তোলন করার পর দাঁড়িয়ে থাকা মুহুর্তে। রাজের আব্বু ছোট পুকুরটাতে ছোট পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার খাবার দিয়েছিল ওই মুহূর্তে আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না তখন হঠাৎ মাথায় এসেছিল মোবাইলে একটু জুম করে রাস্তা দেখি। গাছের পাতার ফাক দিয়ে রাস্তার দিকে ক্যামেরা ধরলাম রাস্তায় চলমান মানুষ আর নারিকেল বাগান। সবকিছুই যেন বন্দি হয়ে গিয়েছিল ফটোতে। ব্লগের জন্য ফটো ধারণ করতে হবে এমন চিন্তা নাই, এমনিতেই যেন আমার ফটো ধারণ করতে ভালো লাগে। আর সে ভালোলাগার অনেক ফটো মোবাইলে এভাবেই জমা পড়ে থাকে। আর এখন তো ব্লগিং শুরু করে আরও একটু বেশি ভালোলাগা জাগ্রত হয়েছে ফটো ধারণার জন্য। তাই এভাবে কবে কখন নারিকেল বাগান এর ফটো অনেকগুলো হয়ে গেছে।
কিছুদিন আগে হঠাৎ দেখলাম পুকুরপাড়ের সেই ধানের জমিতে ধান গাছে শিশ বের হয়েছে এমনকি জায়গায় জায়গায় পানির মধ্যে ধান গাছ পড়ে গেছে। দেখে বেশ খারাপ লাগছিল। ওই মুহূর্তে কয়েকটা ফটো ধারণ করেছিলাম। আর এই ফটোর মধ্যেও যেন নারিকেল বাগানটা ক্যামেরাবন্দি হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে রাজের আব্বুর সাথে এ নারিকেল বাগান নিয়ে আমার ঝগড়া হয়ে ওঠে। আমাদের বাবার গ্রামটায় নারিকেল গাছ খেজুর গাছ হয় না। খুব কম সংখ্যক নারিকেল গাছ খেজুর গাছ রয়েছে
আমাদের সেই গ্রামে। তাই বিভিন্ন পিঠা তৈরি করতে হলে হয় বাজার থেকে কিনতে হয় অথবা আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যেতে হয় নারিকেল। তাই পুকুর পাড়ে এসে নারিকেল বাগান দেখে নারিকেল গাছ নিয়ে কথা বলতে বলতে যেন কথা কাটাকাটি হয়ে গেছিল সেদিন। শশুরের গ্রামের বললে ভুল হবে। শশুর আব্বার গ্রামের নারিকেল বাগান। ইয়া বড় নারিকেল বাগান। পাঁচ গ্রামের মধ্যে নাই। এই নারিকেল বাগানটা যেন এই গ্রামের গৌরব। তার বক্তব্য ধারাভাষ্যতে এমনটাই মনে আসছিল। ইদানিং ব্লগাররা নারিকেল বাগানটা ফটোগ্রাফিতে শেয়ার করে থাকে। এমন গৌরবের নারিকেল বাগান আমি কেন শেয়ার করব না।
হালকা মজা করলাম। আমার কাছে নারিকেল বাগান টা ভালই লাগে। কাশফুলের ফটোগ্রাফি করার মুহূর্তে আমি নারিকেল বাগানটাকে ফটোর মধ্যেই রেখেছিলাম। যেন এক্সট্রা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটো ধারণ করার মুহূর্তে। আর এই জায়গায় দাঁড়িয়ে তো আমি অনেক ফটো তুলেছি এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। কৃষকের ধান লাগানোর মুহূর্ত। ফাঁকা মাঠের দৃশ্য। ফসলের দৃশ্য। কাশফুলের দৃশ্য। জেলে ভাইদের মাছ ধরা দেখার মুহূর্তেও এ বাগানের ফটো ধারণ করেছিলাম। যাইহোক গ্রামে এমন ফলের গাছ থাকা সত্যি সৌভাগ্যের বিষয়। তবে আগেকার মতো এখন আর মানুষের এভাবে নারিকেল গাছ লাগায় না। তাইতো ডাবের এত বেশি দাম।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।