জেনারেল রাইটিং :- অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মত ভাবে।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের চারপাশে এবং বাস্তবে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় ঘটে যেগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আমাদের সবার উচিত ঐসব কিছু শিক্ষার বিষয় থেকে নিজেদেরও কিছু শিখা। আপনাদের সবাইকে দেখি এরকম বিভিন্ন রকম শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে। তাই আমিও চেষ্টা করতেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য। আপনাদেরও আমার পোস্টে আশা করি খুবই ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে সুন্দর একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব। আমার পোস্ট হচ্ছে অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মত ভাবে। আসলে মানুষের মধ্যে দুই ধরনের লোক আছে। কিছু লোক হচ্ছে সৎ মানুষ আবার কিছু মানুষ হচ্ছে অসৎ মানুষ। সৎ মানুষের চিন্তা ভাবনা থাকে ভালো। আর অসৎ মানুষের চিন্তা ভাবনা থাকে সব সময় খারাপ। সৎ মানুষ সব সময় মানুষের ভালো কাজ করার চেষ্টা করে। আর অসৎ মানুষ সব সময় নিজে যেরকম খারাপ অন্যকেও সেরকম ভাবে। ধরেন একজন অসৎ মানুষ চোর। তাহলে রাত্রেবেলা সেই কাউকে দেখলে মনে করবে সেও চোর। কারণ তার চিন্তা ভাবনা হচ্ছে অসৎ।

আর অসৎ মানুষ কারো সাথে বন্ধুত্ব করে সুবিধার জন্য। কারণ তারা সুবিধা ছাড়া কিছুই বুঝে না। তারা সব সময় নিজের স্বার্থ বেশি দেখে। অসৎ মানুষ সব সময় মনের মধ্যে খারাপ চিন্তা ভাবনা থাকে। তাদের এই চিন্তা ভাবনার কারণে তারা অন্যান্য মানুষকেও তাদের মত মনে করে। অশোক মানুষ যদি কখনো বড়লোক হয়। তারা কাউকে বিশ্বাস করে না। কারণ সে একজন অসৎ মানুষ। এই কারণে মনে করে সবাই অসৎ। আর সব মানুষ সব সময় মানুষকে ভালবাসে বিশ্বাস করে। সৎ মানুষ সব সময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করে। তারা সত্যের পথে সব সময় কথা বলে সৎ মানুষগুলো। আর অসৎ মানুষ নিজের চিন্তা করে। কিভাবে নিজে নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং মিথ্যা কথা বেশি বলে।

অসৎ মানুষের পিছনে চলার চেয়ে একা চলা ভালো। কারণ অসৎ মানুষ সব সময় খারাপ পরামর্শ দিবে এবং খারাপ চিন্তা ভাবনা দিবে। কারণ তাদের সবকিছু পরিকল্পনাই হচ্ছে অসৎ। অসৎ মানুষ সবসময় নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বুঝে না। আর অসৎ মানুষ নিজের বাবা কেও বিশ্বাস করে না। সে মনে করে সে যেই রকম মানুষ সবাই একই রকম। কারণ তাদের চিন্তা ভাবনা সম্পূর্ণ অসৎ। আর তারা সব সময় নিজের চিন্তা বেশি করে অসৎ মানুষগুলো। কিভাবে অন্যকে ঠকিয়ে নিজে লাভবান হতে পারে সেটাই চিন্তা করে। আর সত্যকে মিথ্যা মিথ্যা কে সত্য বানানোর চেষ্টা করে। অসৎ মানুষ যেমন নিজের জন্য বিপদ তেমনি সমাজের জন্য বিপদ।

একজন সৎ মানুষ যেমন মানুষকে মূল্যায়ন করে ইজ্জত করে। আর অসৎ মানুষ মানুষকে ইজ্জত করে না এবং মূল্যায়ন করে না। তারা সব সময় মানুষকে কটাক্ষ করে কথা বলে। এবং তাদের কথাগুলো হচ্ছে বিষাক্ত সাপের চেয়ে ভয়ঙ্কর। আর তারা সব সময় নিজের চিন্তা বেশি করে অসৎ মানুষগুলো। বিশেষ করে কিভাবে মানুষকে ঠকিয়ে তারা নিজের উন্নতি করতে পারে সেটা চিন্তা করে। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অসৎ মানুষ বেশি দেখা যায় এখন। তারা সামান্য কাজে মানুষের থেকে টাকা পয়সা এবং সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। আর অসৎ মানুষ যে কোন প্রতিষ্ঠানে গেলেও ওই প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে। অসৎ মানুষ সব সময় চেষ্টা করে অসৎভাবে টাকা উপার্জন করতে। এবং তাদের চিন্তাভাবনা সবসময়ই খারাপ তাকে বেশি।

তবে অসৎ মানুষ টাকা পয়সা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে সামনের দিকে। কারণ অসৎ মানুষ সব সময় স্বার্থ ছাড়া কিছুই বোঝেনা। কোন একজন লোক অসৎ মানুষের কাছে গেলে সে প্রথমে তার সুবিধার কথা চিন্তা করবে। এবং মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে অসৎ মানুষগুলো। আমাদের এইখানে একটি লোক মাদ্রাসায় প্রিয়নের চাকরি করবে। এবং ওই মাদ্রাসা সভাপতি ছিল অসৎ লোক। সেই এই লোক থেকে টাকা চেয়েছে। টাকা দিলে তার চাকরি ঠিক করে দেবে। এখানে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি লোকটি হচ্ছে অসৎ। সেই সামান্য একজন গরীব মানুষের থেকে চাকরি দিবে বলে টাকা নিয়েছে। আসলে তার চিন্তাভাবনা ছিল খারাপ।

এই কারণ অসৎ লোক কখনো মানুষের উপকার করে না। অসৎ লোক সব সময় চিন্তা করে নিজের স্বার্থটা। অসৎ লোক মনে করে নিজে যেরকম খারাপ পৃথিবীর সব মানুষ তার মত। কারণ শুরু থেকে তার চিন্তাভাবনা ছিল খারাপ এ কারণে চিন্তা আসতেছে খারাপ। অসৎ লোক যে কোন প্রতিষ্ঠানে বা সমাজে কোন দায়িত্ব থাকলে ওখানে অকারেন্স হবে। কারণ তার চিন্তাভাবনা অসৎ। সৎ মানুষ এভাবে মানুষের ভালো দিক চিন্তা করবে। আর অসৎ মানুষ সবসময় মানুষের খারাপ দিক নিয়ে চিন্তা করবে। কারণ অসৎ মানুষ কখনো মানুষের উপকার করে না। তারা কথা দিয়ে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে তারা সৎ মানুষ। এই হচ্ছে আমার আজকের টপিক।