ভ্রমণ :- বিকেলবেলা নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

jamal7 -

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বিকেল বেলা নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। কিছুদিন আগে বিকেল বেলা আমার খালাতো ভাইয়ের সহ নদীর ধারে ঘুরতে গেলাম। মূলত খালাতো ভাই আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলো। এই কারণে সেই বলতেছে নদীর ধারে ঘুরতে যাবে। তবে আগের নদীর ধারে ঘুরতে গেলে যেরকম ভালো লাগতো সেরকম ভালো এখন লাগে না। কারণ মুসাপুর গ্রেট ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আমাদের নদী পাশের লোক গুলোর জন্য অনেক বিপদ। কারণ দিনে রাত্রে দুইবার করে নদীতে জোয়ার আসে। আর এই জোয়ারে মানুষের ঘরবাড়ি পর্যন্ত পানি চলে আসে।

আগে নদীর ধারে ঘুরতে গেলে নদীর দুইপাশ শুকনো এবং বড় বড় জমির চর ছিল। আর এখন ঘুরতে গেলে নদীর পাশে কাদামাটি আর মাঠগুলোর মধ্য কাদামাটি থাকে। এই কারণে ঘুরতে গেলে তেমন ভালো লাগেনা। আর মুসাপুর গেট নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর থেকে অনেক জনের বাড়ি ঘর নদীতে ভেঙে গেছে। আর মানুষের হাহাকার দেখলে খুব খারাপ লাগে। আগে এই নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যেত। আর এখন তেমন মাছ পাওয়া যায় না। বিশেষ করে নদীর পানি গুলো এতই কাদামাটি তা বলে বোঝানো যাবে না। তবে এই নদী দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ এবং ফেনীর লোক এদিক থেকে অধিক চলাফেরা করে।

যেহেতু খালাতো ভাই অনেক দূরের মানুষ এবং দূরে বাড়ি। কিছুদিন আগে দুপুরে আমাদের বাড়িতে আসলো খাওয়া দাওয়ার পর যখন বলতেছেন নদীর ধারে ঘুরতে যাবে। তখন আমি সাথে করে তাকে নিয়ে গেলাম নদীর ধারে। তবে যেইখানে নৌকা ওই পাশের রাস্তাটির দুই পাশে সরকারিভাবে গাছ রোপন করেছে এই কারণে দেখতে বেশ ভালই লাগে রাস্তাটি। যদিও রাস্তাটি কাঁচা তবে পরিবেশ অন্যরকম গাছগুলোর কারণে। তবে আমরা যে সময় নদীর ধারে গেলাম ওই সময় নদীতে জোয়ার ভাটা ছিল না।

আর যখন নদীতে জোয়ার ভাটা আসে তখন শব্দ করে। আর নদীতে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আবার পানি বৃদ্ধি হয়ে যায়। তবে নদীর ওই পাশে ছোট্ট একটা মসজিদ আছে দেখতে চমৎকার লাগে। তবে জোয়ারের পানির কারণে মসজিদটিও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আগের নদীর পাশে মানুষগুলো অনেক চাষবাস করতেন। এবং শীতকালীন সবজিও করতে এখানে মানুষগুলো। আর এখন মুসাপুর গেট ভেঙে যাওয়ার কারণে অনেকে চাষ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে ঐদিন খালাতো ভাইকে নিয়ে ভালোই সময় কাটিয়েছি। এবং নদীর ধারে বসার জন্য ছোট্ট একটা সরকারি ঘর আছে। ওইখানে বৃষ্টির সময় মানুষ বসে নৌকার জন্য অপেক্ষা করে। তবে নদীর নিচে যতটুক পানি ওঠে ওই জায়গাগুলো এখনো পানিতে ভিজা আছে।

আর বিকেল বেলা নদীর ধারে ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। বিশেষ করে আবহাওয়া মানুষকে মুগ্ধ করে। এই নদীর ধারে চর এলাকায় দূরদূরান্ত থেকে লোক আছে ঘুরতে। তবে আমি যেদিন ঘুরতে গেলাম সেই দিন কিছু ইয়াং ছেলে ছিল ঘোরার জন্য আসলো দূর থেকে। এবং তারা জোয়ার দেখার জন্য বসে রইল। একটি ছেলে আমাকে জিজ্ঞেস করতে লাগল নদীতে জোয়ার কখন আসবে। তখন আমি লোকটিকে বলেছি রাত্রেবেলা জোয়ার আসবে। তবে আমার খালাতো ভাই নদীতে পানি জোয়ার দেখার জন্য বলতেছে।

তখন আমি তাকে বললাম রাত্রে অনেক রাতে জোয়ার আসবে। আসলে দুই খালাতো ভাই মিলে ভালো সময় উপভোগ করেছেন নদীর ধারে। যদিও নদীর ধারে এখন থেকে গেলে ঠান্ডা লাগে। তারপরও এসব জায়গাতে ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়ে যায় সময় ভালো যায়। তাই নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার পোস্টের পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

device : Huawei

লোকেশন

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।

ধন্যবাদ সবাইকে