ভার্সিটি তে ভর্তি হওয়ার কিছু মুহূর্ত

isratmim -

আসসালামু আলাইকুম


সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে আমার ভার্সিটি তে অনার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করছি। যেহেতু এখানে আমরা সবাই একটা পরিবার তাই লাইফের বিভিন্ন জিনিস গুলো শেয়ার করতেও ভালো লাগে। প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে আমার। তবে কোথাও সেভাবে চান্স পাই নি। আর চান্স পেলেও পছন্দ মতো সাবজেক্ট হয় না। তবে এখনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তে অ্যাডমিশন পরীক্ষা বাকি। ছাত্র আন্দোলন এবং প্রত্যেকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি পদত্যাগের কারণে আটকে রয়েছে এই পরীক্ষা টা। কবে হবে এখনো জানানো হয় নি। আর এদিকে সময় নষ্ট হচ্ছে। প্রাইভেটে ভর্তি হলে এতদিনে দুই সেমিস্টার শেষ হয়ে যেত। তাই এসব দিক ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। এবার ভর্তি হয়ে যাওয়া উচিত। এরপর বিভিন্ন ভার্সিটি গুলো তে খুঁজ খবর নিলাম। যেহেতু আমি গাজীপুর থাকি তাই উত্তরা পর্যন্ত যাওয়া আসা করাটা কিছুটা সহজ। ঢাকার অন্যান্য জায়গা গুলো তে ভর্তি হলে সেখানে আলাদা ভাবে থাকার দরকার হতো। এরপর শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি তে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর সেখানে আমাদের পরিচিত একজন সিনিয়র ম্যাডাম ও রয়েছে। উনার সাথে কথা বলে সেখানে ভর্তি হলাম।

আজকে গিয়েই ভর্তি হয়েছি। আমার এসএসসি এবং এইচএসসি ছিল সাইন্স থেকে তবে ভার্সিটিতে গিয়ে ইংলিশ সাবজেক্ট চুজ করেছি। আমরা বাসা থেকে আট টার দিকেই বের হই। আব্বু এআর আমি গিয়েছিলাম। উনাদের আগে যেই ক্যাম্পাস টা ছিল ওইটা চিনতাম। তবে পার্মানেন্ট ক্যাম্পাস চিনতাম না। আমরা হাউজ বিল্ডিং গিয়ে এরপর অটো তে করে ক্যাম্পাসে গেলাম। ক্যাম্পাসের কোনো ছবি সেভাবে তুলা হয়নি। প্রথম ওরিয়েন্টেশন ক্লাস হলে সেদিন ক্যাম্পাসের ছবি তুলে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমরা গিয়েই সেই ম্যাডামের সাথে দেখা করলাম এবং ম্যাডাম আধা ঘন্টার মধ্যেই পুরো ভর্তির প্রক্রিয়াটা শেষ করেছেন। আমরাও সব ধরনের ডকুমেন্ট নিয়ে গিয়েছিলাম। যার কারণে খুব বেশি দেরি হয়নি। এরপর সেখানে বসে ম্যাডাম এর সাথে কিছু কথা বললাম। এরপর ম্যাডাম আমাদের হালকা কিছু নাস্তা দিলো। আসলে আমার ছোট কাকা সেখান থেকেই পড়াশোনা করেছে যার কারণে ওইভাবে ম্যাডামের সাথে আমাদের পরিচিত। এরপর আমরা ভার্সিটির বাসের কথা জিজ্ঞেস করলাম। যেহেতু ভালোই দূরে তাই ভার্সিটির বাস থাকলে যাতায়াতের সুবিধা আর অনেকটা সেফটি থাকে। ভার্সিটির বাস আগে ছিল না তবে এখন নতুন করে তারা বাস সার্ভিস দিচ্ছে। আর সেটা একদমই ফ্রিতে। তাই আমার জন্য বেশ ভালো হয়েছে। অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু হবে। সম্ভবত অক্টোবরের 14 তারিখে ওরিয়েন্টেশন ক্লাস। সেরকম কিছু জানায় নি ভার্সিটি থেকে। বলেছে মেইল করে জানানো হবে। পুরো টাকাটা পেমেন্ট করার পর তারা আমাকে ভার্সিটির আইডি কার্ড সাথে সাথেই দিয়ে দেয়। এরপর একটা ফাইল এবং একটা কলম দেয়।

আজকে আর ভার্সিটি ঘুরে দেখা হয়নি। প্রথম দিন গেলে পুরো টা অবশ্যই ঘুরে দেখবো। তবে বাহির থেকে দেখে যা মনে হলো পরিবেশটা খুবই সুন্দর। আর বেশ নিরিবিলি একটা পরিবেশ। ভার্সিটিগুলো এরকম নিরিবিলি পরিবেশে থাকলে ভালোই হয়। আর যেহেতু এখন শরৎকাল শুরু হয়েছে তাই দেখলাম পুরো এরিয়াটাতে অনেক কাশ ফুল রয়েছে। আমার কাছে ভার্সিটির এরিয়াটা ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন আমি ভালো করে পড়াশুনা করে আমার স্বপ্ন গুলো পূরুন করতে পারি। এবং জীবনে সফল হতে পারি।

এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕

THANKS FOR WATCHING

ধন্যবাদান্তে
@isratmim


🤍আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🤍


আমি ইসরাত জাহান মিম। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।