নাটক রিভিউ || "গহনা"

isratmim -

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।

আপনাদের সাথে আরো একটি ভিন্ন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে অনেকদিন পর আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। পোস্টে ভিন্নতা আনার জন্য একেক সময় একেক ধরনের পোস্ট করা হয়। আজকে যে নাটকের রিভিউ টি শেয়ার করবো সেই নাটকের নাম হচ্ছে "গহনা"। নাটকটি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। নাটক টি আজকে সকালেই দেখেছিলাম। তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে রিভিউ টা শেয়ার করি। আমি চেষ্টা করেছি পুরো নাটকের গল্পটা সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার। আশা করছি রিভিউটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।


নাটক রিভিউ
নাটকের নামগহনা
গল্পরাকায়েত রাব্বি
পরিচালনাশাহ মোহাম্মদ রাকিব
প্রযোজকনাজমুল হক ভূঁইয়া
অভিনয়েইয়াস রোহান, তানজিন তিশা সহ আরো অনেকে।
সময়কাল৪৯:০৫
কাহিনী সংক্ষেপ

নাটকের প্রথমেই দেখা যায় ইয়াশ রোহান বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে। সে দেশে এসেছে তার বোনের বিয়ে উপলক্ষে। তার আপন বোন নয় চাচাতো বোনের বিয়ে। তবে সে তার চাচাতো বোনকে নিজের বোনের মতোই দেখে। বোনের বিয়ের সব খরচ নিজে করে। বিদেশ থেকে সে বোনের বিয়ে উপলক্ষে অনেক গহনা নিয়ে আসে। সে বাড়িতে আসায় সবাই বেশ খুশি। তিশার সাথে তার আগে থেকে বিয়ে ঠিক করা। তিশাও তাদের আত্মীয়।

তার চাচী হঠাৎ একদিন বলে বিয়ের গহনা গুলো যেন তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হয়। পরে ইয়াশ রোহান তার ব্যাগ থেকে কখনো গুলো বের করতে গিয়ে দেখে সেখানে গহনা নেই। এয়ারপোর্টে তার ব্যাগটা এক্সচেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। অন্য একজন এর ব্যাগ কার কাছে চলে এসেছে। দুটো ব্যাগ দেখতে সেম হওয়ার কারণে সে আগে এটা খেয়াল করেনি। পরে সে সবাইকে জানায় যে তার ব্যাগ এক্সচেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। তবে পরিবারের কেউ তার কথায় বিশ্বাস করে না। সবাই বলে সে গহনা আনে নি। কেউ তাকে বিশ্বাস করতে চায় না। সবাই ভাবে সে তার বোনের বিয়ে ভাঙার জন্য এগুলো করেছে। তবে সে তাদেরকে কথা দেয় সে গহনার ব্যবস্থা করবে।

তার কাছে এত টাকাও ছিল না যে এতগুলো গহন একসাথে কিনবে। অনেক জায়গায় খোঁজ করে তারপর অনেক বিদেশীদের কাছে খোঁজ করে গহনা পাওয়া যাবে কিনা। বেশি টাকা দিয়ে কিনতেও রাজি ছিল। তবে সেভাবে কোন কিছুই ম্যানেজ করতে পারেনি। এটার জন্য সে অনেক বেশি আপসেট হয়ে পড়ে। এরপর তিশা তার কাছে থাকা সবগুলো গহনা তাকে দিয়ে দেয় এবং বলে এগুলো যেন সে তার বোনের বিয়েতে দেয়। তবে ইয়াশ রোহান কোনভাবেই রাজি হয়না গহনা নেওয়ার জন্য। অনেক অনুরোধ করার পর তারপর সে গহনাগুলো নেয় এবং তার চাচীকে গহনা গুলো দেয়।

তবে সে সিদ্ধান্ত নেয় সে খুব তাড়াতাড়ি এখান থেকে বিদেশ চলে যাবে। সে প্লেনের টিকিট কাটে এবং রওনা দেয়। এমন সময় একজন লোক তার সাথে দেখা করতে আসে। সেই লোকটার সাথে ব্যাগ এক্সচেঞ্জ হয়। লোকটা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তারপর ব্যাগটা দিয়ে গিয়েছে।

সকল ছবি মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নিজস্ব মতামত

আসলে অনেকদিন পর নাটক দেখলাম। এখন সেভাবে সময় করে উঠতে পারি না। তবে সেদিন একটা কারণে নাটক দেখতে বসলাম। গত রবিবার আমাদের ভার্সিটির এরিয়া তে ইয়াশ রোহান এবং তটিনী এসেছিলো শুটিং এর কাজে। অনেকেই তাদের সাথে দেখা করেছে তবে আমি দেখি নি। নিচে নেমে দেখলাম শুটিংয়ের লাইট ক্যামেরা সবকিছু রয়েছে তবে তারা কেউ নেই। তারপর বাসায় এসে ভাবলাম তাদের একটা নাটক দেখি। তবে বেশিরভাগ নাটক দেখা হয়েছে এই নাটকটা দেখা হয়নি। তাই এবার নাটকটা দেখলাম। নাটকের গল্পটা খুব সুন্দর। বিপদের সময় আসলে পরিবারের মানুষগুলোর আচরণ কেমন হয় সেটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যদিও নাটকের শেষটা অন্যরকম ছিল। বাস্তবে এরকম আসলে হয় নাকি জানি না। এতগুলো গহনা পাওয়ার পর কেউ সেটা ফিরিয়ে দেয় কিনা আমার জানা নেই। তবে যাই হোক বেশ ভালো লেগেছে নাটকটা আমার কাছে।

রেটিংস
৯/১০

নাটকের ইউটিউব লিংক

Loading iframe

THANKS FOR WATCHING

ধন্যবাদান্তে
@isratmim


🤍আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🤍


আমি ইসরাত জাহান মিম। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।