নাটক রিভিউ || "ফুল হাতা শার্ট "

isratmim -

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।

আপনাদের সাথে আরো একটি ভিন্ন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। পোস্টে ভিন্নতা আনার জন্য একেক সময় একেক ধরনের পোস্ট করা হয়। আজকে যে নাটকের রিভিউ টি শেয়ার করবো সেই নাটকের নাম হচ্ছে "ফুল হাতা শার্ট"। নাটকটি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। নাটক তো অনেকদিন আগেই দেখেছিলাম। তবে রিভিউ শেয়ার করা হয়নি। তাই আজকে করলাম। আমি চেষ্টা করেছি পুরো নাটকের গল্পটা সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার। আশা করছি রিভিউটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।


নাটক রিভিউ
নাটকের নামফুল হাতা শার্ট
গল্পমিজানুর রহমান আরিয়ান
পরিচালনামিজানুর রহমান আরিয়ান
প্রযোজকতানভীর মাহমুদ অপু
অভিনয়েইয়াশ রোহন, সাদিয়া আয়মান সহ আরো অনেকে।
সময়কাল১:০৩:০১
কাহিনী সংক্ষেপ

নাটকের প্রথমেই দেখা যায় ইয়াশ এবং তার ফ্যামিলি একটি বোটে উঠছে। তারা এই বোটে করে একটা হাওরে কয়েকদিন ঘুরবে। তাদের সাথে আরও একটা গ্রুপ বোটে ওঠে। সেটা ছিল গার্লস গ্রুপ। কয়েকজন মেয়ে একসাথে ঘুরতে এসেছে। সেটা ছিল সাদিয়াদের গ্রুপ। বোটে ওঠার সময় তাদের দেখা হয়। উঠার পর সাদিয়া গান গাইতে শুরু করলো। গান শুনে ইয়াশ বোটের ছাদে উঠে গেলো। সেখানে গিয়ে দেখল গার্লস গ্রুপের সবাই একসাথে গান গাচ্ছে। ইয়াশের ফ্যামিলি ছিল অনেক স্ট্রিক। বিশেষ করে তার বাবা এসব একদমই পছন্দ করে না। কয়েকজন মেয়ে এক সাথে ঘুরতে এসেছে এই জিনিসটাও তারা পছন্দ করেনি। তবে একই বোটে থাকার কারণে তাদের সবার মধ্যেই কথোপকথন হয়। ইয়াশ মেয়েদের গ্রুপের সাথে মিশে যায় তবে অন্যদিকে তার বাবার ভয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে মেয়েরা তাকে বিভিন্ন বিষয়ে হেল্প করে। এভাবেই তাদের ভ্রমণ চলছিল।

কথা বলতে বলতে একসময় তাদের একজন আরেকজনকে ভালো লাগে। ইয়াশ সব সময় ফুলহাতা শার্ট পড়ে। সাদিয়া এজন্য তাকে ফুল হাতা শার্ট বলে ডাকে। এভাবেই চলছিল তাদের। সেখান থেকে আসার পরেও তারা বিভিন্ন সময় দেখা করতো। সাদিয়া ব্র্যান্ড প্রমোটার ছিল। আর ইয়াশ গ্রাজুয়েশন শেষ করেছে তবে কোন জব করেনা। এজন্য তাকে বাসায় কিংবা আত্মীয়-স্বজনের কাছে অনেক কথা শুনতে হয়। সাদিয়া বেশ কয়েকটা জায়গায় চেষ্টা করে ইয়াশের জব এর জন্য। তবে সব জায়গায় তাকে রিলেটিভ বলে পরিচয় দেওয়ার কারণে সে ইন্টারভিউ বোর্ড থেকে চলে আসে।

কিছুদিন পর তারা সাদিয়ার একজন ফ্রেন্ডের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। সেখানে গিয়ে সাদিয়ার পুরাতন একজন ছেলে ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা হয়। সেই ফ্রেন্ড সাদিয়ার সাথে একটু ক্লোজ ছিল যার কারণে এসব দেখে ইয়াশের রাগ উঠে যায়। এগুলো দেখে সে খুব রাগ করে সাদিয়ার সাথে। সাদিয়া তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে বুঝতে চায় না। এভাবে তাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তার দুই দিন পর ইয়াশ দেখে সাদিয়া আবারও সেই ফ্রেন্ড এর সাথে একটা রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া দাওয়া করছে। এটা দেখে ইয়াসের আরো রাগ উঠে যায়। আসলে সাদিয়া সেখানে একটা জবের ব্যাপারে কথা বলছিল। তবে ইয়াশ কোন কিছু না শুনেই সেই ছেলেটাকে মারতে শুরু করে। তারপর সাদিয়া তাকে সব জায়গা থেকে ব্লক করে দেয়। ইয়াশ সবকিছু জানার পর অনেক চেষ্টা করে তাদের সবকিছু ঠিক করে ফেলার জন্য তবে সাদিয়া রাগ করে থাকে। অন্যদিকে জব না হওয়ার কারণে ইয়াশের বাবা একটু বকা দেয়। এসব কিছু সহ্য করতে না পেরে ইয়াশ বের হয়ে চলে যায়। সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তারপর তার বাবা মা সাদিয়াকে সবকিছু জানায়। সাদিয়া অনেক চেষ্টা করে তাকে খুঁজে বের করে। এভাবেই নাটকটা শেষ হয়।

সকল ছবি মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নিজস্ব মতামত

নাটকটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে নাটকের মধ্যে প্রথম দিকে হাওরের অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা যাচ্ছিল। এই জিনিসটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। তাছাড়া নাটকের নামটাও একটু অন্যরকম ছিল। আর নাটকের মধ্যে যেই শিক্ষনীয় দিকটা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেটা হলো, আমাদের কাছের মানুষগুলোকে অকারনে সন্দেহ করা ঠিক না। সন্দেহজনক কিছু দেখলে আগে এটা দিয়ে কথা বলা উচিত। রাগ করে থাকলে উল্টা সম্পর্কে ভাঙন দেখা যায়।

রেটিংস
৮/১০

নাটকের ইউটিউব লিংক

Loading iframe

THANKS FOR WATCHING

ধন্যবাদান্তে
@isratmim


🤍আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🤍


আমি ইসরাত জাহান মিম। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।