The November #1 contest by @sduttaskitchen|Let's play with shadow!
3 comments
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি ছায়ার খেলা। দিদি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর কনটেস্ট নিয়ে হাজির হন। এবারেও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। একদম ইউনিক একটা কনটেস্ট। যেখানে ছায়ার খেলা দেখাতে হবে। আমি তাই আমার মন মতো লেখা নিয়ে এবং ছায়ার খেলা নিয়ে হাজির হয়েছি।।
হ্যাঁ অবশ্যই । আমি ছোটবেলায় ছায়া নিয়ে অনেক খেলা করেছি। ছোটবেলায় মানে আমি যখন ক্লাস ওয়ান টু তে পড়ি, তখন আমাদের বাড়িতে ইনভার্টার ছিল না। তাই কারেন্ট চলে গেলে চারিদিক অন্ধকার হয়ে যেত। এমনকি মামার বাড়িতেও তাই। আমার মনে আছে আমার দাদু বাইরের ঘরে বসে থাকতো। আর বারান্দায় হেরকিন আর মোমবাতি জ্বালানো হতো। বারান্দায় আমি হাঁটাচলা করলে অথবা যে কেউ হাঁটাচলা করলে বারান্দার দেয়ালে ছায়া পড়তো। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমার প্রচুর কৌতূহল ছিল। ছোটরা প্রথমবার যখন ছায়া ব্যাপারটা বুঝতে পারে। তখন একটা বাচ্চাদের কাছে ছায়া খেলার সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। আমার কাছেও তাই হয়েছিল। আমি নানান রকম অঙ্গী ভঙ্গি করতাম। আর ছায়াতে সেটা দেখতে পেতাম। সেটা দেখতে পেয়ে আরও মজা পেয়ে আরো বেশি বেশি করে করতাম।
তখন ছোটবেলায় বাড়িতে দাদা দিদিরা ভর্তি থাকতো। ছোটবেলাকার দিনগুলো একটা অন্যরকম ছিল। আমার ছোড়দা দেওয়ালে দিকে তাকাতে বলতো। আর ও নিজে হাতে অনেক অঙ্গী ভঙ্গি করত। হাতের সাহায্যে অনেক রকম ডিজাইন করতো আঙুল দিয়ে। আর দেওয়ালে আমি দেখতে পেতাম পাখি, প্রজাপতি, হরিণ, আরো কত কিছু। দাদার কাছ থেকে শিখে আমিও আমার বাড়িতে ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে, ওরকম বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাদার মতন করতাম। আর এগুলো ওই সময় আমার কাছে সত্যিই অনেক মজার ছিল।
আর এটাও আমার মনে আছে , আমার মা আর ঠাকুমা খুব বকাবকি করত। ওরা বলতো ছায়া নিয়ে খেলতে নেই। শরীর খারাপ করে । এটা যে কেন বলতো তা আমি এখনও বুঝলাম না । এতদিনেও এর কারণ খুঁজে পেলাম না । তবে তখন ছায়া নিয়ে বেশি খেললে ,বাড়ির লোকের কাছে বকাও শুনতে হতো।
ছায়া নিয়ে অনেক কিছুই করা যায়। হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে বিশেষ করে অনেক রকম কিছু বানানো যায়। আমি একটু অন্যরকম করার চেষ্টা করছিলাম। তাই প্রথমেই যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন। সেটা আমি একটু ডেসক্রাইব করছি ।
সকালবেলায় সূর্যের আলো পড়লে উল্টো দিকের দেয়ালটা, আলোকিত হয়ে থাকে। তার মাঝখানে রাখার ডাইনিং টেবিল । আর ডাইনিং টেবিল এর পাশে চেয়ার। চেয়ারের সামনাসামনি করে আমি একটি বোতল রেখে দিয়েছিলাম। আর জানলার গ্রিলের গোল জায়গার মধ্যে গুঁজে দিয়েছিলাম কিছু কাগজ। তাই রিফ্লেকশনে অর্থাৎ ছায়াতে এটা একটা মানুষের মতন দেখাচ্ছিল।
পরের ছবিতে সেম প্রসেসে আমি আমার নিজের হাতের ওপর বল এর একটা চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ছায়ার মাধ্যমে।
অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি আমাদের প্রত্যেকের সৃজনশীলতা রয়েছে। শুধু শিল্পী মানুষদের সৃজনশীলতা আছে এটা বলা একেবারেই ভুল। আমরা মানুষ মাত্রই একে অপরের থেকে ভিন্ন। আমাদের মনভাবনা ভিন্ন। স্বাভাবিকভাবে একটি জিনিস কে এক একটা মানুষ কিভাবে দেখে তার দেখার ধরন ভিন্ন হয়ে থাকে। এ কারণে প্রত্যেক মানুষের ভেতরে যেটুকুনি সৃজনশীলতা রয়েছে তা একে অপরের থেকে অনেক আলাদা হয়ে থাকে। প্রত্যেক মানুষ যদি একটু ভাবতে বসে। অথবা নিজের ভেতরের আত্মাকে বোঝার চেষ্টা করে। সেও তার ভেতরের সৃজনশীলতাকে খুঁজে পেতে পারে। নিজেকে সময় দিলে আমরা আমাদের ভেতরের সৃজনশীলতা আরো ভালোভাবে খুঁজে বার করতে পারি।
সৃজনশীলতার ফর্ম অবশ্যই আছে। আপনি যদি মনে করেন আপনি শুধু ছবি আঁকতে পারেন তা ভুল। আপনার ভেতরে সৃষ্টিশীলতার কতটা ভাবনা আছে তা আপনি যতক্ষণ না কাজ করবেন, যতক্ষণ আপনি বুঝতে পারবেন না। এ কারণেই আমাদের নিজেদের সময় দেওয়া বেশি উচিত। সৃজনশীলতার নানান রকম প্রকারভেদ থাকে। আর সবথেকে গর্বের বিষয় হলো , প্রত্যেক সৃজনশীল বিষয়বস্তু সকলের কাছে আকর্ষণীয়।
ধরুন এই ছায়ার খেলাতেই। কত রকম কারুকার্য করে, আমরা আলাদা আলাদা বৈচিত্র্যপূর্ণ চিত্রকল্প তৈরি করছি।। আমি যেমন লেখালেখি করি। আমার প্রত্যেকটা কবিতায় আলাদা আলাদা সৃজনশীলতা ফুটে ওঠে। আমার গাওয়া প্রত্যেকটি গানে আলাদা আলাদা সৃজনশীলতা রয়েছে। আমি ছবি আঁকতেও পারি। আঁকার মধ্যেও আমার কতটা সৃজনশীলতা প্রকাশ পায় তা আমি দেখতে পারি। আমার এক একটা ছবি একেকরকম হয়।। এবং কারো সাথে কারোর তুলনা করা যায় না।। সৃজনশীল বিষয়বস্তুগুলো একে অপরের থেকে একেবারেই ভিন্ন হয়ে থাকে।
সবশেষে আমি আমার বন্ধুদের এই কন্টেস্টে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি - @mou.sumi,@sri.manta,@papiya.halder
Comments