নমস্কার সকলকে, প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই যিনি এই কনটেস্টটি আয়োজন করেছেন,তাকে।এত সুন্দর একটি কনসেপ্ট যে কোন মানুষকে আকৃষ্ট করবে। ভূত এর এই টপিককে কেন্দ্র করে আমাদের পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ ভীষণ কৌতূহলী। আমি নিজেও বিশ্বাস করি , আত্মা আছে। এনার্জি যেখানে আছে। আত্মা থাকাটা স্বাভাবিক। কারণ এনার্জি কখনোই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় না।
কন্টেস্টের টপিক হল হ্যালোইন। যেহেতু আমি পশ্চিমী দেশের বাসিন্দা নই, তাই হ্যালোইন আমি কখনো সেলিব্রেট করিনি ।তবে বিভিন্ন সিনেমা এবং অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় আমি এই হ্যালোইন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। হ্যালোইন যে একটা উৎসবের মতো পালিত হয় পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে, তা প্রচুর জায়গায় দেখতে পাওয়া গেছে।
বেশ কিছুটা ঘাঁটাঘাটি করে যেটুকুনি বুঝেছি, হ্যালোইন হলো একটি উৎসব। যে উৎসবটি একচুয়ালি কোন উৎসব নয়, উৎসবের আগের দিন আসলে হ্যালোইন পালিত হয়। এই দিনে নাকি আত্মারা তাদের দুনিয়া থেকে আমাদের মনুষ্য দুনিয়ায় হাজির হয়। সমস্ত আত্মারা সেইদিন ফিরে আসে, এ কারণে সেই দিন আসলে কালো রাত্রি।
আমাদের হিন্দু ধর্মে যেমন কালী পূজার আগে ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। আমার মনে হয় সেরকমই হল হ্যালোইন। হ্যালোইনের দিন সকলে বিভিন্ন প্রকার ভূতের রূপ ধারণ করে, বিদঘুটে এবং পৈশাচিক সাজ সেজে ঘুরে বেড়ায়। সবাই আনন্দ করে উৎসব পালন করে। এরকম কালো রাতে এরকম উৎসব পালন করার যুক্তি খুঁজতে গিয়ে যেটুকু জানতে পেরেছি। আত্মারা ফিরে এসে যাতে পৈশাচিক রূপ ধারী মানুষগুলোকে দেখে কোনরকম ক্ষতি করবার ইচ্ছা প্রকাশ না করে, এ কারণেই এই রূপ ধারণ করা।
আমি যেগুলি হ্যালোইন সম্পর্কে বললাম, সেগুলো ভুলও হতে পারে ,কারণ সবকিছুই আমার দেখে এবং পড়ে যেটুকু বুঝেছি, সেখান থেকেই লেখা। আমি হ্যালোইন এর এই কনটেস্ট উপলক্ষে একটি ছবি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করছি। এই ছবিটি আমি জল রং দিয়ে এঁকেছি এবং সাথেই পুরো ছবি আঁকার ওপর একটি ভিডিও আমি তৈরি করেছি।
আশা করছি আপনাদের সকলের এই ছবিটি ভালো লাগবে এবং আপনারা একটু হলেও ভয় পাবেন।হাহাহা।
প্রথমেই পেন্সিলের সাহায্যে একটি ড্রয়িং সিটের ওপর আমি ভয়ংকর মুখটি আঁকা শুরু করেছি । আমি ভয়ংকর একটি সিনেমার একটি ক্যারেক্টারের ছবি বাছাই করেছি। 'নান' সিনেমার এই ভয়ংকর ক্যারেক্টারটির নাম 'valak'.
মুখটা করার পরে চোখ এর জায়গাটা এঁকে নিলাম।
এবারের লম্বা মত কিন্তু বাঁকা নাকটা একে নিচ্ছি। এই ক্যারেক্টারের নাকটাই সবথেকে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
তারপর আমি জলরং ব্যবহার করছি। জলরঙের জন্য আমি ক্যামেল কোম্পানির জল রং ব্যবহার করেছি। প্রথমেই কালো রঙের জল রং ইউস করে আমি চোখের জায়গাটা করে নিচ্ছি।
ক্যারেক্টারটির কস্টিউম রং করে নিচ্ছি। এর সাথেই হলুদ রং দিয়ে চোখটা রং করে নিচ্ছি।
হালকা স্কিন কালার দিয়ে মুখের জায়গাটা রং করে নিচ্ছি। কিন্তু পুরোপুরি তিন কালার হচ্ছে না। একটু ময়লাটে ব্যাপার বোঝাতে , কালো রংটাকে মিশিয়ে নিয়েছি।
নাক মুখের জায়গা গুলো একটু অন্ধকার করে নিলাম কালো রং দিয়ে।
ব্যাকগ্রাউন্ড এর কালার টা কালো এবং নেভি ব্লু দিয়ে করে নিয়েছি। যাতে একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ছবি তৈরি হয়।
এভাবেই তৈরি হয়ে গেছে, বিখ্যাত একটি ভয়ংকর ক্যারেক্টার valak.
আমি ভূতের সিনেমা সেরকম দেখতে পছন্দ করি না। আমার নিজের ভূত বিষয়ের ওপর কৌতুহল থাকলেও আমি ভীষণ ভয় পাই। ছবিটা আঁকার পর নিজেই ছবিটার দিকে তাকাতে পারছিলাম না।। এই সিনেমার একটা সিন রয়েছে। যেখানে এই ক্যারেক্টারটি জলের মধ্যে থেকে উঠে আসছে। জায়গাটি এখনো অব্দি যতবার দেখেছি, চোখ বন্ধ করে ফেলেছি।
সবশেষে এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি আমার কিছু বন্ধুদের অনুরোধ জানাচ্ছি -@pinki.chak,@mou.sumi,@sampabiswas