রথ যাত্রার ঝলক || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য

isha.ish -

জয় জগন্নাথ। সকলকে জানাই শুভ রথযাত্রার আন্তরিক শুভেচ্ছা।ছোটবেলায় রথের ভেতরে রাখা মূর্তিগুলো নিয়ে বড়ই কৌতূহল হত ।আর মাথার মধ্যে কিছুতেই ঢোকাতে পারতাম না জগন্নাথ দেব আসলে কে? দাদু অর্থাৎ আমার ঠাকুর দাদা রথের মূর্তিগুলো নিয়ে নানান কাহিনী, ছোটবেলায় গল্প করতেন । এখনও রথের সামনে দাঁড়ালে প্রথম চোখে ভাসে আমার ঠাকুর দাদার মুখটা ।দাদুর সাথেই হাত ধরে রথ দেখতে যেতাম ছোটবেলায় ।

আমার বাড়ি থেকে মাত্র পাঁচ মিনিট দূরত্বে অর্থাৎ বাবার সো রুমের সামনে রথের মেলা বসে ।ওখানে রথের গাড়ি আছে ।ওখানে পুজো হয় ।মেলা বসে ।বেশ ছোটখাটো মধ্যে একটা জমজমাট ব্যাপার।

চারিদিক জুড়ে খালি খাবার দোকান আর বাচ্চাদের খেলনা পাতি ভর্তি। রথের মজা ছোটবেলায় যতটা পেতাম, এখন যে কেন আসে না। আজ অব্দি রথের দড়ি টেনে রথ এগোতে পারিনি ।তবুও সবাই একবার হলেও দড়ি টানতে যায় । রথের দড়ি টেনে রথের গাড়ির পাশে বসে থাকা দাদা বা কাকুর কাছ থেকে চরণামৃত খাই প্রত্যেকবারই ।একই ঘটনা ঘটে প্রতিবার, এবারে আমি জানতাম না রথের সময় বাড়ি থাকতে পারবো।

গতকাল হঠাৎ বাড়ি এসেছি। বাড়ি এসেছি বেশ কিছুদিনের জন্য। পরীক্ষা যেহেতু শেষ হয়েছে বাড়িতে একটা লম্বা রেস্ট করব ।তারপর আবার কলকাতায় ফিরে ডেইলি লাইফের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যাবে। কালকে আসলাম আর আজকেই রথ। ব্যাপারটা অনেক জমজমাট ছিল।

বিকেল হতে না হতেই মা তারা দিতে লাগলো। যদিও ছোটবেলায় কাউকে এত তাড়া মারতে হতো না। আমি নিজেই রেডি হয়ে বসে থাকতাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য ।রাতের বেলায় পাপড় ভাজা খাওয়ার জন্য ।কিন্তু এখন যেন সময়টা বদলে গেছে। ঘুমের ঘোরে চোখ ডলতে ডলতে ফ্রেশ হলাম। রেডি হলাম। তারপর বাবা আর ভাইয়ের সাথে আমাদের দোকানে গেলাম ।

রথ যাত্রার কথা মাথায় আসলেই প্রথমেই মনে পড়ে আমার পছন্দের মিষ্টান্ন অর্থাৎ জিলাপির কথা। আমি জিলাপি খেতে খুব ভালোবাসি ।যবে থেকে কলকাতায় গিয়েছি জিলাপি খাইনি। আর সত্যি বলতে কৃষ্ণনগরের মিষ্টির মত কলকাতার মিষ্টি নয়। কৃষ্ণনগরের মিষ্টি স্বর্গ ।আজ গরম গরম জিলাপি খেতে পাবো এই নিয়ে সকাল থেকে মনটা বেশ ভালো ছিল।

যাই হোক রথের দড়ি টানলাম । সেখানে গিয়ে কিছুটা ছবি তুললাম। কত ছোট ছোট বাচ্চারা মজা করছে দেখে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ল ।দই ফুচকা খেলাম ,আইসক্রিম খেলাম ,আর বাদাম ভাজা ও গরম গরম জিলাপি বাড়িতে নিয়ে চলে আসলাম।

বেশ ইচ্ছা আছে এই রথের সময় পুরি অথবা নবদ্বীপ যাওয়ার। নাকি অনেক সুন্দর করে সাজায় ।আমার এক বন্ধু পরীক্ষা দিয়েই পুরি রওনা হয়েছে ।সেখানকার ছবি সে মাঝে মধ্যে পোস্ট করছে হোয়াটসঅ্যাপে। দেখেই মন ভরে উঠছে ।

ভগবান চাইলে অবশ্যই রথের সময় সেসব জায়গাতেও যাওয়া হবে। আশা করছি আমার আজকের রথযাত্রা উপলক্ষে পোস্টটা আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
@isha.ish