নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। গতদিনের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম কার্তিক ফেলার প্ল্যান। আজকে পুরো প্রসেস বলবো। বাকি মজার মজার ঘটনা গুলো শেয়ার করব।
কার্তিক তো বাড়িতে চলে এলো। এবার কে ফেলতে যাবে। আর কখন ফেলা হবে। ভাববার বিষয় আরো বড়। ফেলবো টা কোথায়।
এই তিনটে প্রশ্ন মাথার মধ্যে প্রায় এক দু ঘণ্টা ধরে ঘুরছে। আমি আর মা কিছুতেই উদ্ধার করতে পারছিলাম না। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম বৌদিদের জানলার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে। মানে বৌদিদের বারান্দায় বেশ গ্রিল দেওয়া রয়েছে। সেখান দিয়ে ভেবেছিলাম ছোট্ট কার্তিক টা ভেতরে ঢুকিয়ে রেখে দেবো। ওমা পরে ঈশান বললো, গ্রিল গুলোতে নেট বসানো। আসলে বিড়াল ঢুকে পড়ে বলে নেট লাগানো রয়েছে।
প্ল্যান ক্যান্সেল হয়ে গেল। তারপরে এসব ভাবতে ভাবতেই পাশের বাড়ির কাকিমা এসে হাজির। কাকিমাকে বলার পর, কাকিমা বলল ওদের বাড়ির ওখান দিয়ে গিয়ে মৌসুমী বৌদিদের বাগানে রেখে আসতে। সেটা তো করা যেতই। কিন্তু বাগানের দিকে মৌসুমী বৌদিরা কখন যাবে তখন গিয়ে কাত্তিক দেখবে। তাই এই প্ল্যানটাও ঠিকঠাক খাটল না।
কাকিমা বলল কার্তিক ফেলবি পরে, আগে কার্তিকের সাথে যে নোট দিতে হয় সেটা তো লেখ। আমি তো এসব কিছুই জানতাম না। কাকিমা বলল কার্তিক ফেললে, কার্তিকের সাথে একটা কাগজে নিজের মনোবাঞ্ছা লিখতে হয়। মানে যে ফেলছে বা যারা ফেলছে, তাদের খাবারের আবদার গুলো লেখা যায়। কার্তিকের নামে সেই সমস্ত আবদার আমরা করতে পারি। সাথে ঠাকুরের বাজেট রাখতে পারি।
বেশ ভেবেচিন্তে আমি আর মা আর কাকিমা বসে গেলাম, প্রথমে ভেবেছিলাম আমি লিখব। তারপরে মাথায় আসলো আমার হাতের লেখা বৌদি বুঝে যাবে, ঈশানের হাতের লেখা ও বৌদি বুঝে যাবে। আমার মায়ের হাতের লেখা বৌদি কখনো দেখেনি। তাই আমার মাকেই লিখতে বললাম।
মা বেশ সুন্দর করে বানিয়ে সাজিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বাক্যের মধ্যে টু দি পয়েন্ট কথা লিখল। একদম স্ট্রেট ফরওয়ার্ড। তারপর কার্তিকের হাতের কাছে কাগজটা রেখে দেয়া হল।
এসব হয়ে যাওয়ার পর মোটামুটি প্রায় রাত সাড়ে দশটা পার হয়ে গেছে। বাবা তখনো জানতো না। কিন্তু বাবাকে এবার জানাতে হলো। আমাদের দ্বারা কার্তিক ফেলা যাবে না। কাকিমা, সেই মুহূর্তেই আমাদের খবর দিয়েছে যে বৌদিদের খাওয়া-দাওয়া চলছে, আর ওরা শোবার আগে গেট বন্ধ করে। সেটাও এখনো করেনি। গেটের বাইরে যে লোহার গেট আছে। সে গেট এখনো বন্ধ হয়নি। তাই যা করার এখনই করতে হবে।
বাবা শুনে খুবই আনন্দ পেল। সাথে সাথে বলল কার্তিক ফেলা নিয়ে টেনশন করছিস কেন, আমি কাজ করে দিচ্ছি। বলার সাথে সাথে কার্তিক কোলে করে নিল, আর তারপর দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল। আমার মা বাবার পেছন পেছন গেল। বাবা ঠিক গেটের সামনে কার্তিক টা রেখে দিয়ে চলে আসলো।
আর এদিকে, আমরা সবাই কান পেতে রইলাম। আমি যে ঘরে ঘুমাই, তার অপজিটে মৌসুমী বৌদিদের গেট। আর যেহেতু এখন শীতের সময়। ফ্যান চলছে না। তাই সমস্ত কিছু শুনতে পাচ্ছিলাম।
এবার আমরা সবাই অপেক্ষা করে রইলাম কখন, গেটটা বন্ধ করতে মৌসুমী বৌদি র বাড়ির লোকজন আসবে, আর গেট খুলে কার্তিক দেখবে।
আমাদের সমস্ত প্রসেস আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। তারপরের ঘটনাগুলো পরের পোস্টে জানাবো।
আমি যে বেশি ছবি তুলতে পারিনি, তার পেছনেও অনেক কারণ আছে। বাকি সব কথা পরে পোস্টে বলবো।