দীর্ঘদিন পর নানু বাড়িতে || ২য় পর্ব
3 comments
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। কিছুদিন আগে আমি নানু বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানকার কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্তের প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যাই হোক আপনাদের ভাইয়া দুপুরে খাওয়া দাওয়া সেরে আমাদের রেখে বাসায় চলে এসেছিলেন। এরপর আমরা মা ছেলে মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি সারাটা দিন এবং যে দুটো দিন সেখানে ছিলাম সেই মুহূর্তগুলো খুব ভালো কেটেছে। যেহেতু আমরা ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে সেখানে গিয়েছিলাম তাই রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে প্রথমে আগে গিয়েছিলাম মাহফিলের মেলায়। আমাদের গ্রাম এলাকাতে মাহফিল হলে তার পাশাপাশি ছোটখাটো মেলা বসে।
সব খালাতো ভাই-বোনরা মিলে গিয়েছিলাম মেলায় ঘুরতে। আমার খালা মনিরাও সবাই ছিল সাথে। কিন্তু উনারা কিছুক্ষণ থেকেই চলে এসেছিলেন আমি বাবুকেও আমার মায়ের সঙ্গে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম কেননা বাহিরে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা পরছিল আর বাবুকে এই কুয়াশায় রাখা মোটেই ঠিক না। এরপর আমরা সব খালাতো ভাইবোনেরা আর সাথে আমার মায়ের চাচাতো ভাইয়ের ছেলেরা মানে আমার মামাতো ভাইয়েরাও ছিলো।হলে বুঝতেই পারছেন সবাই মিলে আমরা কতটা মজা করেছি।
প্রথমে পুরো মেলা ঘুরে দেখেছি। ছোট ছোট কসমেটিক্স কিনেছি। যেহেতু আমি সবার বড় ছিলাম তাই সবাইকে টুকটাক কিছু কেনাকাটা করে দিয়েছি। এবার জন্য বেশ কয়েকটি খেলনা নিয়েছি যদিও এই খেলনাগুলো ওর কাছে কিছু সময়ের জন্য। হয়তো প্রত্যেকটা বাচ্চাই এমন কিছুক্ষণ পর তাদের খেলনার অবস্থা বারোটা বাজিয়ে দেয়। মেলায় ঘোরাঘুরি পর নানু বাড়ির জন্য বেশ কিছু খাবার কিনেছিলাম। এরপর ভাই-বোনেরা বায়না ধরল তাদেরকে মেলায় খাওয়াতে হবে। কি আর করার সবাই মিলে চলে গেলাম খাবারের স্টলগুলোতে। আমরা সেই মেলায় কি কি খেয়েছি সেগুলো পরের পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করব।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Comments