ছাদ থেকে সংগ্রহ করা কিছু ফটোগ্রাফি 📸

hiramoni -

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ফটোগ্রাফি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি বেশ কিছু গ্রামীণ ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করব। যেগুলো আমাদের বাসার ছাদ থেকে করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে প্রতিযোগিতার জন্য আম পোড়া শরবত বানিয়েছিলাম সেই আম পারতে উঠেছিলাম ছাদে সেখান থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। সেদিন প্রচন্ড রোদ ছিল। কোনভাবেই সাহস করে উঠতে পারছিলাম না যে এ ছাদে উঠবো। আমাদের বাসার ছাদে উঠতে গেলে কাঠের মই বেয়ে উঠতে হয়। নতুন বাড়ি করা হয়েছে এখনো শিরি করা হয়নি। আমি তো খুবই ভয় পাচ্ছিলাম সে কাঠের সিঁড়িতে উঠতে।

আমার ছোট বোনকে দেখলাম সে সোজা কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উঠে চলে গেল। আমি অনেকটা সাহস করেই তার পিছন পিছন উঠতে লাগলাম। ছাদে ওঠার পর অনেকটা ভালো লাগছিল কারণ আশেপাশের গাছে প্রচুর পরিমাণে আম ধরেছিল। মন চাচ্ছিল ইচ্ছামতো আম পেড়ে নেই।কিন্তু আম গুলো এখনো অনেকটাই ছোট।শুধুমাত্র যে কয়টা প্রয়োজন ছিল সে কয়টাই পেরেছিলাম।

এরপর আমি ছাদে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম।ছাদের এক কোনায় চোখ পড়লে দেখলাম অনেক বড় একটা কলার কাদি।কলাগুলো এখনো অনেকটাই ছোট তবে দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগছিল। একটা ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।ছাদের অপর পাশে দেখলাম একটা কাঁঠাল গাছে অনেকগুলো কচি কাঁঠাল। কাঁঠাল গুলো দেখে আমার তরকারি খেতে ইচ্ছে করছিল। আমাদের গ্রামের অঞ্চলে কাঁঠালকে কিন্তু বাঘের গোস্ত বলা হয়। লোভ হলেও করার কিছু নেই কারণ গাছটা আমাদের নয়।

বেশ কিছু ফটোগ্রাফির সাথে দেখলাম আমার ছোট বোন আমারও কিছু ছবি তুলেছে। যখন আমি গাছ থেকে আম পারছিলাম। যাইহোক দুই বোন মিলে অনেকটা সময় ছাদে কাটিয়েছিলাম।যাইহোক আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।