মায়ের কান্না || বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে আজকের গল্পটি-১ম পর্ব

hiramoni -


সোর্স

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে এসটি গল্প শেয়ার করব। মাঝেমধ্যে আমাদের নিজেদের সাথে কিংবা আমাদের আশেপাশের কিছু মানুষের সাথে এমন সব ঘটনা ঘটে যা কাল্পনিক গল্পকে হার মানায়। আজ এমনই এক দুঃখিনী মায়ের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যে কিনা খেয়ে না খেয়ে তার সন্তানদেরকে বড় করেছে কিন্তু দিনশেষে তাদের কাছ থেকে অবহেলা ছাড়া কিছুই পায়নি। আসলেই কি এটা তার প্রাপ্য ছিল। মাঝেমধ্যে এসব ঘটনাগুলো স্বচক্ষে দেখে অনেক আফসোস হয়।ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে সব সময় আমি আমার বাবা-মা শ্বশুর-শাশুড়ির মন রাখার চেষ্টা করি। তারা কিভাবে ভালো থাকবে সেটা দেখার চেষ্টা করি। যেটুকু সম্ভব পারি চেষ্টা করি তাদেরকে ভালো রাখার।আর অন্যরা কিভাবে তার বাবা মাকে কষ্ট দেয় বুঝে উঠতে পারি না। যাইহোক গল্পটি শুরু করছি আশা করছি ভালো লাগবে।

সাহেরা বেগমের খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয় রফিক মিয়ার সাথে। রফিক মিয়া গ্রামে গ্রামে ফেরি করে চুড়ি বিক্রি করে। সারাদিন বিক্রি করে যে টাকা পায় সেটা দিয়ে তাদের সংসার চলে। কিছুদিন পর তাদের সংসারে প্রথম ছেলে সন্তান হয়। অভাবের সংসারে ছেলেকে দুমুঠো ভালো মন্দ খাওয়ানোর জন্য রফিক মিয়া আরো পরিশ্রম করে। এভাবে কিছু বছর কেটে যায় তাদের সংসারে এখন তিন ছেলেমেয়ে দুই ছেলে একটা মেয়ে। খুব কষ্ট করে তাদের সংসার চলে কখনো একবেলা খেয়ে কখনো না খেয়ে। সাহেরা বেগম মানুষের বাড়িতে কাজ করে এক মুঠো ভাত এনে সন্তানদের মুখে তুলে দেয়।

হঠাৎ একদিন রফিক মিয়ার বুকে ব্যথা ওঠে। এবং সে দুনিয়ার মায়া ছেড়ে পরপারে চলে যায়। সাহেরা বেগমের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। সে কিভাবে তিন ছেলে মেয়েকে মানুষ করবে। তখন সে কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে কিছু সাহায্য চায়।চেয়ারম্যান তাকে ছোট্ট একটা গরু কিনে দেন। যেটা পেয়ে সাহেরা বেগমের কপাল ফিরেছিল। অন্যের বাড়িতে কাজ করার পাশাপাশি সে গরুর খুব ভালো করে দেখাশোনা করত। বড় ছেলেটা অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। অনেক কষ্ট করে বাজারে ছোট্ট একটা দোকান করে দেয় ছেলেকে। এরপর থেকে তাদের কষ্টের দিন শেষ হয়ে গিয়েছিল। একটা গরু থেকে সাহেরা বেগমের পাঁচটি গরু। ছেলেও দোকান থেকে বেশ ভালো আয় করে।

ছেলেটা কলেজে পড়ছে, মেয়েটা স্কুলে পড়ে। সাহেরা বেগমের জীবনে সুখ ফিরে এসেছিল। এবার সাহেরা বেগম মনে মনে ভাবছিল বড় ছেলেকে বিয়ে করাবে। মেয়েও দেখাশোনা করছিল। এরমধ্যে একটা ভালো মেয়ে দেখে সাহেরা বেগম তার বড় ছেলের বউ করে আনে। ছেলেকে বিয়ে করানোই যেনো কাল হয়ে দাঁড়ায় সাহেরা বেগমের।

(চলবে)

তো বন্ধুরা গল্পটি অনেক বড় হবে তাই আমি পর্ব আকারে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। সাহেরা বেগমের সঙ্গে কি ঘটবে সেটি আমি দ্বিতীয় পর্বে শেয়ার করবো। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।