বাবুর পুরনো দিনের খেলাধুলার কিছু মুহূর্ত।

hiramoni -

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

কখনো কখনো পোস্ট লিখতে বসলে মাথায় কোন কিছুই আসে না যে কি লিখবো। ভাবতে ভাবতে ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যায়। আবার অনেক সময় খুব দ্রুত লেখা হয়ে যায় কোন চিন্তাই করতে হয় না। আমার সাথে আজ তাই হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে চিন্তা করছি কি লিখবো কি লিখব। গতকাল রেসিপি দিয়েছি দুদিন আগে ফটোগ্রাফি পোস্ট তারপর জেনারেল পোস্ট। যদিও ফোনে রেসিপি করা আছে বেশ কয়েকটি কিন্তু যেহেতু গতকালকেই রেসিপি পোস্ট করেছি তাই আজকে আবার রেসিপি পোস্ট করলে কেমন একটা হয়ে যায়। সেই ভেবে গ্যালারি ঘাটা শুরু করে দিলাম যে পুরনো কিছু পাই কিনা।

ফোনের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে বাবুর কিছু পুরনো ছবি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো যেগুলো শীতের মধ্যে তোলা ছিল। তো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যই তুলেছিলাম বা বাবুর সুন্দর মুহূর্তগুলো রাখার জন্য তুলেছিলাম। তো কোনো কারণে হয়তো শেয়ার করে উঠতে পারিনি। সময় কত দ্রুত চলে যায় তাই না।এইতো সেদিন বাবুর পৃথিবীতে আসার খবর পেলাম। আস্তে আস্তে বেড়ে উঠতে লাগলো আমার শরীরের ভিতর আর একটা শরীর।আবার দেখতে দেখতে সে পৃথিবীর আলো দেখল। এভাবেই দিন চলে গেছে এবং বছরও চলে গেছে। আর ছেলেটা আমার বেশ বড় হয়ে গেছে।

আধো আধো কথা বলা হাঁটাচলা সবকিছুই আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে। তবে আমার ছেলের বিশেষ একটা গুন আছে।এটা হচ্ছে ও কোন খেলনা পাঁচ মিনিটের মধ্যে লন্ডভন্ড করে ফেলে। 😄কোন একটা গাড়ি কিনে দিলে সেই গাড়িটা চাকা খুলে আবারো লাগানোর চেষ্টা করবে এবং যে কোন খেলনা দিলেই সেটা নিয়েও গবেষণা শুরু করে দেয়। এটা তো বিশেষ গুনই তাইনা।😀এভাবে ও অনেক দামি দামি খেলনা নষ্ট করে ফেলেছে। এরপর থেকে আর বেশি দামি জিনিস ওকে আমি কিনে দেই না। যখন খেলা বুঝবে তখন কিনে দিবো।আপনারা যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলোতে ওর খেলাধুলা সম্পর্কে বুঝতে পারছেন যে ও কেমন ভাবে খেলাধুলা করে।দেখতেই পাচ্ছেন টেন্ড হাউজের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে।

তবে এই বয়সে আমার ছেলের ভালো ভালো কিছু অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে সেগুলো আমি আপনাদের সাথে আরেকদিন শেয়ার করব। শেষে একটা কথা না বললেই নয় সেটা হচ্ছে আমি যখন বাবুকে নিয়ে বাহিরে যাই বা কারো বাসায় যাই তখন আমাকে সবাই বলে যে আপনার ছেলেটা এত শান্ত আর এত মিষ্টি আর লাজুক। তখন আমি শুধু মনে মনে হাসি আর ভাবি যে ও কতটা শান্ত সেটা শুধু আমিই জানি। এই ভেবে একটু মুচকি হেসে সায় দেই তাদের কথায়।

তো এই ছিল আমার ছেলের দুষ্টু মিষ্টি খেলার কিছু মুহূর্ত। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর কার কার বাসায় এমন দুষ্টু মিষ্টি বাবু সোনা আছে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। দোয়া রাখবেন সবাই।

সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।