"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফুচকা পার্টি করেছিলাম।যখন শহরে ছিলাম ফুচকা খেতে মন চাইলেই রেস্টুরেন্টে যেতাম বা বাসায় বসে অর্ডার করতাম।কিন্তু গ্রামে এমন ব্যবস্থা নাই।তাই চাইলেই ফুচকা খেতে পারিনা।বাসায় বানিয়ে খেতে হয়।আমার ছেলে ফুচকা পাগল। সে ভিষন পছন্দ করে ফুচকা খেতে তাই বাসায় মাঝেমধ্যে তাকে ফুচকা বানিয়ে খাওয়াই।আমার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে শহরে থেকে পড়াশোনা করে।ছুটিতে বাড়িতে আসছে।
আজকে আমার সেই ভাইয়ের মেয়ে সন্ধ্যায় বলছিলো ফুফি আঝকে কিছু একটা খাবার বানান।বাসায় ফুচকা আছে তাই সন্ধ্যায় সবার জন্য ফুচকা বানিয়ে ফেললাম।যদিও একদমই ইচ্ছে করছিল না রান্নাঘরে যেতে কেননা শরীরটা প্রচুর খারাপ খুবই ঠান্ডা লেগেছে। গলাও ব্যাথা করছে খুব।কিন্তু কি আর করার সবাই খেতে চাইছে তাই সবকিছু উপেক্ষা করে সবার জন্য ফুচকা বানিয়েছি।
বাসায় চটপটির ডাল শেষ হয়ে গেছে তাই শুধু আলু ভর্তা দিয়ে ফুচকা বানিয়েছি। অনেকগুলো ফুচকা বানিয়েছিলাম কেননা আমরা অনেকজন ছিলাম।যদিও রেস্টুরেন্টের মতো হয়নি তবে বাসায় তৈরি যে কোনো খাবারই মজার এবং স্বাস্থ্যকর হয়।আমরা সবাই খুবই মজা করে খেয়েছি।বিশেষ করে আমার ছেলে খুবই মজা করে খেয়েছে।আর সবাইকে দেখলে নিজেরও অনেক ভালো লাগে।
যাইহোক সবাই মিলে এমন খাওয়া দাওয়া করলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটে এবং সবার মধ্যে আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। আমরা সবাই মিলে খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি এবং সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।