সোহাগের স্বপ্ন পূরণের গল্প ( অষ্টম পর্ব)

heartwarming -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


প্রথম ম্যাচ খারাপ খেলার পরে সোহাগ মনে করেছিল সে আর সুযোগ পাবে না। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই প্লেয়ারের ইনজুরির কারনে সোহাগ সুযোগ পেয়ে যায়। এবার আর সোহাগ কোনো ভুল করে না। দ্বিতীয় ম্যাচে সোহাগ ব্যাটে বলে দারুন পারফরম্যান্স দেখায়। তার অলরাউন্ড পারফরমেন্সে ম্যাচটা তার ক্লাব জিতে যায়। ম্যাচটা সোহাগদের ক্লাবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সেটা ছিলো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ম্যাচ। তাই ম্যাচ শেষে সবাই সোহাগকে কোলে করে মাঠ থেকে বের করে। সেদিনের পরে সোহাগের জন্য ক্লাবের পরিবেশ চেঞ্জ হয়ে যায়।

সবাই এরপর থেকে সোহাগকে বেশ গুরুত্ব দিতে থাকে। কয়েকদিন পরের ফাইনাল ম্যাচেও সোহাগ দলে থেকে যায়। ফাইনালেও সোহাগ দারুন পারফরম্যান্স করে সেমি ফাইনালের মতো। ফাইনাল ম্যাচেও সে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়। এরপর থেকে সোহাগ ক্লাবের সেরা প্লেয়ারদের ভেতর একজন বলে বিবেচিত হতে থাকে। কিন্তু ক্লাবে যতোই গুরুত্ব পাক সোহাগের স্বপ্ন তখনও অধরা রয়ে গিয়েছে। কারণ সোহাগের মূল স্বপ্ন দেশের হয়ে জাতীয় দলে খেলা। তাই সে চিন্তা করতে থাকে কবে সে জাতীয় দলে বা এ দলে খেলার সুযোগ পাবে?

এইভাবে সোহাগ তার ক্লাবের হয়ে খেলতে থাকে। আর জাতীয় দলের ঢোকার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। পরবর্তী বছর সোহাগ পুরো লীগ ধরে দারুণ পারফরম্যান্স করে। সেবার সোহাগকে নিয়ে অনেকেই কানাঘুষা করতে থাকে যে সোহাগ হয়তো দ্রুত জাতীয় দলে ঢুকে যাবে। সোহাগ মনে মনে সেই আশায় বসে থাকে। কিন্তু সেই সুযোগ তার কাছে সহজে আসে না। এভাবে দেখতে দেখতে দুটো বছর পার হয়ে যায়। সোহাগের প্রতীক্ষার প্রহর দীর্ঘ হতে থাকে। দুই বছর পর সোহাগ হঠাৎ করে এ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পায়। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ