ধূমপান ছাড়া নিয়ে কিছু অজুহাত।

hasnahena -

Pixabay

একটি কথা প্রচলিত যে মানুষ অভ্যাসের দাস কিন্তু মানুষের ইচ্ছা শক্তির কাছে এই অভ্যাস ও হার মেনে যায় ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তাহলে আপনার ইচ্ছা শক্তি চেষ্টা করে দেখুন আপনি অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।

মূলত এখানে নিকোটিন উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। ধূমপান নার্ভ ও পেশি কোষ গুলো ব্লক করে দেয় ।ফলে এরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। আর এই নিকোটিন হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।

Pixabay

ধূমপান নিষিদ্ধ করা, স্বাস্থ্য সতর্কতা, এমনকি বৈজ্ঞানিকভাবে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো প্রমাণ হওয়ার পরও মানুষ ধূমপান করেই যাচ্ছে। ধূমপানজনিত বিভিন্ন ভুল ধারণাও মানুষের মধ্যে বিদ্যমান আছে। চলুন দেখি নি কি কি ভুল ধারণা মানুষ পোষণ করে। যার কিছুটা অবশ্য অজুহাতও।

১। মাইল্ড সিগারেটে ঝুঁকি কম:

ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে না পেরে অনেকেই কড়া সিগারেট ছেড়ে মাইল্ড সিগারেট ধরেন। ভাবেন এতে ঝুঁকি কম। কিন্তু লাইট বা মাইল্ড শুধুই নামের স্ট্র্যাটেজি। বস্তুত, এতে ক্ষতির পরিমাণ একই।

২। যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে:

যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করছেন তাঁরা ভাবেন যা ক্ষতি হওয়ার এতদিনে হয়ে গিয়েছে। আর নতুন করে কিছু হওয়ার নেই। এটা অজুহাত ছাড়া কিছুই নয়। প্রতিটা সিগারেটের সঙ্গে আপনার ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। সিগারেট ছাড়লে এক বছরের হৃদরোগের সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ কমে যাবে।

Pixabay

৩। ধূমপান ছাড়লে ওজন বাড়বে:

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ধূমপান ছাড়লে ৬.৩৫ কিলো পর্যন্ত ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সেই কারণে ধূমপান না ছাড়া সম্পূর্ণ অজুহাত। ওজন বাড়া নিশ্চয়ই আপনার শারীরিক ক্ষতির থেকে বড় সমস্যা নয়?

৪। কম সিগারেট:

অনেকে মনে করেন সিগারেট খাওয়া কমালেই চলবে। ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এতে কিন্তু ক্ষতি হয়ই। কারণ সংখ্যা কমিয়ে দিলে আপনি একটা সিগারেট থেকেই অনেক বেশি সুখটান পেতে চান। ফলে ক্ষতি বাড়ে বৈকি কমেনা।

৫। আগে চেষ্টা করেছিলাম:

অনেকেই বলেন তার পক্ষে সিগারেট ছাড়া সম্ভব নয়। কারণ আগে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই দ্বিতীয়বার চেষ্টা করতেই চান না। মনে রাখবেন সিগারেটের নেশাও কিন্তু আপনার একদিনে ধরেনি। দীর্ঘদিনের অভ্যাস, নেশা সহজে ছাড়া যায় না। সময় লাগবে।

Pixabay

ধূমপান ছাড়ার এই অজুহাত শুধু আপনার ভোগান্তি বাড়াবে। আপনার যে চরম ক্ষতি করবে তা আপনি জেনে শুনেও যদি না মানেন তাহলে অপর পক্ষের তেমন কিছুই করার থাকবে না। কারো জন্য না হোক অন্তত নিজের সুস্বাস্থ্যের জন্য হলেও ধূমপান পরিত্যাগ করা অতি জরুরী।