হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ভাশান মৎস্য বিল ভ্রমণের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য সমূহ এবং এখানকার মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
নোয়াখালী দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি মানুষের কাছে এই বিলটি সুপরিচিত।মাঝে মাঝে লক্ষ্য করা যায় গ্রীষ্মকালে যখন কিছুটা পানি শুকিয়ে আসে। তখন আশেপাশের জেলা থেকে এ বিলে মাছ ধরার জন্য মানুষ আসে।কারণ এই বিলে সকল প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় এবং এ বিলে মাছ ধরার জন্য কোন নিষিদ্ধ সময় নেই।এটি মেঘনা নদীর পাশে অবস্থিত। বিলটি ছিল অনেক বড় বিলটির আশেপাশে রয়েছে বিভিন্ন ঘরবাড়ি।যদিও এসব ঘরবাড়িগুলোতে বসবাস করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যে কোন সময় এসব ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে যেতে পারে। কারণ এসব ঘরবাড়ির পাশে রয়েছে মেঘনা নদী।আসলে এখানে জায়গা গুলোর দাম খুবই কম। মানুষ অনেক ঝুঁকি নিয়ে এসব জায়গাতে ঘরবাড়ি করে বসবাস করে থাকে। কারণ এদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে।
বর্তমানে এই বিলটির পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।এদিকে ধীরে ধীরে পানি কমে যাওয়ার কারণে, বিলের মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এবং জেলেরা এসে বিলে মাছ ধরার জন্য বিড় করতেছে।কারণ এ সময় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। ছোট্ট বড় অনেক প্রজাতির মাছ রয়েছে এই বিলের মধ্যে। এই কারনে অনেক মানুষ এসে ভিড় করতেছে ধীরে ধীরে মাছ ধরার জন্য।বর্তমানে শত শত নৌকায় দেখা যাচ্ছে এই বিলের ভিতর, যেহেতু পানি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, এই কারনে নৌকাগুলো দিয়ে মাছ ধরা অনেক সুবিধা বলে নৌকার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
আমরাও একটি নৌকার মধ্যে চড়েছিলাম, ঐ নৌকাতেও আমাদের সাথে কয়েকজন ছিল তারা একটি জাল নিয়ে এসেছিল মাছ ধরার জন্য।আমরা মূলত বিলটির মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম, বিলের সৌন্দর্য এবং মানুষের মাছ ধরা দৃশ্য উপভোগ করার জন্য।
উপরে ছবিগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এখানে অনেকগুলো নৌকা রয়েছে সবগুলো নৌকায় বিলের ভিতরে এবং প্রত্যেকে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।যতই বিলের পানি ধীরে ধীরে নিচের দিকে কমতে থাকবে, ততই মাছ পাওয়ার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।বিলের আশেপাশের খালগুলো প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে সেখানে প্রচুর মাছ পাওয়া গিয়েছিল।উপরের একটি ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যেসব আশেপাশে খাল গুলো ছিল সেগুলোর পানি কিভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে দেখা যায় এই বিলের উপর দিয়ে কিছু মালবাহী নৌকা যাতায়াত করে। কারন এই নৌকাগুলো মেঘনা নদীর উপর দিয়ে অনন্য জায়গায় চলে যায়।আজকের জন্য এখানে সমাপ্ত। ধন্যবাদ সবাইকে।আল্লাহ হাফেজ।
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | সদর উপজেলা,নোয়াখালী |
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন