ভ্রমণ পর্বঃ০৩ | ঢাকা টু বান্দরবান

haideremtiaz -
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এলাম বান্দরবান ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করার জন্য।

২য় পর্বের পর

নীলগিরি গিয়ে তো পুরাই অবাক! যেদিকে তাকায় সেদিকেই পাহাড়! যেহেতু এখন শীতকাল পাহাড়ের উপরে মনে হচ্ছিল কুয়াশার মতো মেঘ জমে আছে। নীলগিরিতে অনেক মানুষ এসেছিল। শুক্রবার যেহেতু সাপ্তাহিক ছুটির দিন তাই মানুষের উপচে পড়া ভীড় ছিল। একটা বিষয় খেয়াল করলাম অনেক আঙ্কেল এসেছিল এখানে। সব বন্ধু একসাথে। আমরা যেহেতু একটা গ্রুপ করে ছিলাম। স্পটের বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম মানুষজন ছবি তুলতেছিল। অনেকেই ক্যামেরা নিয়ে এসেছে। কারণ এমন জায়গায় ক্যামেরা না নিয়ে আসলে জমে না! কারণ ফটোগ্রাফি করার জন্য বেস্ট জায়গা এটা! আর যাদের ফোনের ক্যামেরা ভালো তাদের তো কথায় নেই!

আমাদের কোচিং এর সবাই দেখলাম ছবি তুলায় ব্যস্ত! আমাদের সাথে সিনিয়র বড় ভাইয়েরাও ছিল। তারা সবাই দেখি ডিএসএলআর দিয়ে ফটোগ্রাফি করায় ব্যস্ত। সদ্য ডুয়েটিয়ান আমরা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে ভাইদের দেখি। তবে আমার ফোন দিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। স্পটের যত ভিতরে যাওয়া যায় ততই চমৎকার সব জায়গা চোখে পরে। ফটোগ্রাফি করার জন্য দেখলাম ওয়েলকাম নীলগিরি ফ্রেম আকারে বানিয়ে রাখা এটা অবশ্য কয়েক জায়গায় দেখলাম আমি। অনেক মানুষ সেখানে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করছিল। আমি চারপাশের প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করছিলাম। আমাদের হাতে সময়ও বেশি ছিল না। কারণ আরও দুইটা স্পটে যেতে হবে। নীলগিরি স্পট ভালো করে ঘুরে দেখলে একদিনে সম্ভব না আসলে। তাড়াহুড়োর মধ্যে এতোকিছু দেখাও যায় না ।

আমাদেরকে আগেই ইন্সট্রাকশন দিয়ে দিয়েছিল যে নীলগিরিতে দুই ঘন্টার মতো সময় অতিবাহিত করতে পারবো। তারপর আমরা দেখতে চলে যাবো ডাবল হ্যান্ড ভিউ দেখার জন্য। আসলে দেখার কিছু নেই। তবে তোলার জন্য পারফেক্ট একটা জায়গা শুনেছিলাম আমি। তো আমরা দুপুর একটা অবধি সেখানে সময় কাটিয়েছিলাম। সময় কাটানোর পর নীলগিরির গোল চত্বরে আমরা সবাই চলে গেলাম। সেখানে আমাদের গ্রুপ ফটো তোলা হবে। যেহেতু ছবিগুলো ডিএসএলআর এ তোলা হয়েছিল তাই কালেক্ট করতপ পারেনি। ফটোগ্রাফি শেষ হলে আমরা সবাই বের হতে থাকলাম। পাহাড় অনেক ঢালু হওয়ায় এক মেয়ে দেখলাম ঠাস করে রাস্তায় পরে হাত পায়ে ব্যথা পেল! আসলে পাহাড়ে উঠার সময় হাই হিল জুতা পরে উঠাটা রিস্কি। যারা পাহাড়ে ঘুরতে আসবেন আমি সাজেস্ট করবো নরমাল জুতা পরে আসার জন্য! আরামছে উপরে উঠা যাবে।

আমরা বাহিরে এসে দেখি গাড়ি নেই। কিছুক্ষণ খোজার পর গাড়ির ড্রাইভারকে দেখতে পেলাম। আমাদের আটটা গাড়ির মধ্যে তিনটি গাড়ি ডাবলহ্যান্ড ভিউ দেখার জন্য অনেক আগেই রওয়ানা দিয়েছিল। আমাদের গাড়ির মেম্বারদের আবার খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তারপর গাড়ির ড্রাইভার বললো সবাইকে খুঁজে নিয়ে আসতে। আর গাড়ি পার্কিং করা ছিল একটু দূরে। যেহেতু এখানে অনেকগুলো গাড়ি দাড়ঁ করানো ছিল। তারপর ফোন দেয়ার ট্রাই করলাম কিন্তু কল যাচ্ছিল না। আমাদের বলেছিল রবি সিম ব্যবহার করার জন্য। তারপর গেইটে অনেক্ষন দাঁড়িয়ে রইলাম। সবাইকে নিয়ে চলে এলাম আমাদের গেইটের সামনে। গাড়িতে আবারো আমরা রওনা দিলাম ডাবল হ্যান্ডভিউ দেখার উদ্দেশ্যে।

চলবে,,,,

DeviceOppo A12
Locationw3w


10% beneficary for @shyfox ❤️

PUSS COIN:BUY/SELL

ধন্যবাদ সবাইকে



আমি কে?

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।