কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। শীতের উষ্ণতায় সময়গুলোকে আরো বেশী উপভোগ্য রাখার চেষ্টা করছি। যদিও সেটা সব সময় সম্ভব হয় না, কারন শীত বেড়ে গেলেই আমাদের নানা ধরনের সমস্যাও বেড়ে যায়। কিন্তু তবুও সঠিক অবস্থা ধরে রাখার জন্য চেষ্টার কোন বিকল্প নেই। এদিকে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলার পর ভয়টা যেন আরো বেড়ে গেছে, এমনিতেই বেশ ঠান্ডা তারপর আবার যদিও বৃষ্টিপাত হয় তাহলে তো বাসা হতে বের হওয়াটাই কষ্টকর হয়ে যাবে।
যাইহোক, প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে চলবে সেটা চাই আমাদের জন্য ভালো হোক কিংবা খারাপ হোক, এটাই স্বাভাবিক বিষয় আর তাই সেটাও আমাদের মেনে নিতে হবে। আজকে অবশ্য আমার সবজি বাগানের শেষ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ইতিপূর্বে তিনটি পর্ব শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে। আজ শেষ পর্বে বাকি সবগুলোর দৃশ্য একত্রে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যদিও আমি এর আগে বলেছিলাম বাড়ির ফাঁকা জায়গাগুলোকে আমি চারটি ভাগে ভাগ করেছিলাম, যাতে সবজি চাষে কিছুটা সুবিধা হয়। এখন এক পাশে, লাউ গাছ, অন্য পাশে ডাটা শাক। শেষের অংশের এক পাশে শিম গাছ আর অন্য পাশে পুঁইশাক গাছ, তবে এর বাহিরেও মাচার নিচে অন্য কিছুও রোপন করার চেষ্টা করছি।
যেহেতু মাচার নিচের অংশগুলো ফাঁকা থাকে সেহেতু সেখানে অন্য কিছু রোপন করা যায় খুব সহজেই। এর মাঝে একটা হলো কাঁচা মরিচ গাছ, আর আমি সেগুলো রোপন করেছি সেগুলোকে বারোমাসি গাছ বলা হয়, ছোট ছোট মরিচ হয় কালো রংএর কিন্তু বেশ ঝাল হয় খেতে। লাউ গাছ এবং শিম গাছের মাচার নিতে অনেকগুলো মরিচ গাছ লাগিয়েছি এবং সেগুলো বেশ বড় হয়েছে। প্রায় দশ থেকে পনেরটি গাছ লাগিয়েছিলাম। অবশ্য বেশ কিছু বোম্বে মরিচ গাছও ছিলো কিন্তু বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেগুলোও মরে গেছে। কিন্তু কালো মরিচের এই গাছগুলো এখনো টিকে আছে এবং এখনো মরিচ ধরছে।
এছাড়াও লাউ গাছের মাচার নিয়ে বেশ কিছু বেগুন গাছের চারা রোপন করেছিলাম, অনেক গুলো কেটে ফেলেছি কিন্তু এখনো তিন চারটে গাছ আছে এবং সেগুলোতে এখনো বেগুন ধরছে। গাছগুলো অনেক বড় হয়ে গিয়েছিলো, তারপর সেগুলোকে ছেটে দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম মরে গেছে সেখানে বরবটি গাছের বীজ রোপন করবো কিন্তু না উল্টো দেখছি এখনো ফুল আসছে এবং বেগুনের ছোট ছোট দৃশ্য ভেসে উঠছে। দেখা যাক আর কতদিন এগুলো বেগুন দেয়। তবে বন্ধ হলেই সেগুলোকে উঠিয়ে ফেলবো এবং বরবটি বীজ রোপন করবো। বরবটি বীজ অবশ্য এনে রেখেছি বাড়িতে। এছাড়াও পেঁপে গাছের পাশে কিছু গাছ আলু লাগিয়েছি, সেখানেও ছোট ছোট আলু ধরতে শুরু করেছে।
সত্যি বলতে বাড়িতে ফাঁকা জায়গা থাকলে সাধ ও সাধ্যের মাঝে অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়, তবে জাস্ট একটু সময় দিতে হয় আর কিছু না। পুঁই শাকের মাচাটিও বেশ বড় ছিলো, এখন অবশ্য একটু ছোট হয়ে গেছে। তবে এখনো বেশ বড়ই আছে এবং গাছে বেশ সুন্দর ফুলও এসেছে। যেহেতু আমি পুই গাছের এই ফুলগুলো খেতে ভীষণ ভালোবাসি এবং কয়েক দিন আগেও একটা রেসিপি করেছিলাম। সেহেতু এগুলোকে রেখে দিয়েছি, যত দিন বাঁচে এবং যতটা সম্ভব পুই ফুল খাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় সেই আশায়, হি হি হি। এমনিতে পুঁই গাছ খুব সহজেই কিন্তু মরে না, অনেক দিন পর্যন্ত এগুলো বেঁচে থাকে। তার সাথে ভালো লাগার অনুভূতিও জাগ্রত থাকে।
তারিখঃ ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ সাভার, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।