কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং যথারীতি জীবনের সময়গুলোকে দারুণভাবে উপভোগ করছেন। আসলে একটা বিষয় একটু গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত আমাদের আর সেটা হলো সময়। আমরা হয়তো মাঝে মাঝে এটা মনে করি যে, এই সময়টা উপভোগ করার জন্য না, এই সময়টা এটা করার জন্য না, এই রকম অসংখ্য বাহানা আমরা দেখানোর চেষ্টা করি এবং উপভোগ্য সময়গুলোকে নিরামিষে পরিণত করি। দেখুন যে সময়টা এখন আপনি উপভোগ করতে পারছেন না, সেই সময়টা আগামীকাল উপভোগ করতে পারবেন তার কি গ্যারান্টি আছে আপনার কাছে? একটু চিন্তা করুন, না হলে আরো একটু চিন্তা করুন, তা না হলে বড় করে চিন্তা করুন এবং উত্তরটা বুঝার চেষ্টা করুন, হয়তো কিছুই হবে না আবার হয়তো অনেক কিছু হয়ে যাবে।
আমরা অনেক সময় এই রকম চিন্তা করি কিন্তু তার কোন ফলাফল আমাদের জন্য ভালো হয় না, বরং মাঝখান হতে মূল্যবান কিছু সময় নষ্ট হয়ে যায়। যা হয়তো আরো বেশী উপভোগ্য হতে পারতো, যা হয়তো হয়তো আরো সুন্দরভাবে আমাদের জীবনকে রাঙাতে পারতো। কিন্তু আমাদের ভুল মানসিকতা এবং ভুল চিন্তাভাবনা সেটা করতে দেয় নাই কিংবা আমরা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছি। সুতরাং আমার কথাগুলো যে সময়গুলো সামনে আছে এবং যে সুযোগটা গ্রহণ করার সুযোগ আছে সেটা কেন হাতছাড়া করবো? সেটা কেন আগামীকালের আশায় নষ্ট করবো? বর্তমানকে যদি ভালোভাবে উপভোগ করতে না পারেন আগামীকাল কোনভাবেই উপভোগ্য হবে না, এটাই নির্মম বাস্তবতা, আপনি মানেন কিংবা না মানেন!
যাইহোক, আজকে আরো একটা স্বাদের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। হ্যা, অবশ্যই কিছুটা ভিন্নভাবে। কারন ভিন্নভাবে কিছু করার নামই হলো স্বাদের ষোলআনা আর এই কাজটা আমি বরাবরের মতো দক্ষতার সাথে করার চেষ্টা করি। চেষ্টা মানে সময়গুলোকে উপভোগ্য রাখার সুযোগ তৈরী করা। আশা করছি আজকের রেসিপিটিও আপনাদের নিকট ভালো লাগবে। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
পাঙ্গাস মাছ
টমেটো
পেঁয়াজ
কাঁচা মরিচ
ধনিয়া পাতা
লেবু পাতা
হলুদ গুড়া
মরিচ গুড়া
আদা রসুন পেষ্ট
জিরা গুড়া
ধনিয়া গুড়া
তেল ও
লবন।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল গরম করেছি। তারপর পেঁয়াজ কুচি ও কাচা মরিচ দিয়েছি তার সাথে সকল মসলা এবং হালকা পানি দিয়ে কষা করেছি।
তারপর টমেটো স্লাইস দিয়েছি এবং মসলাগুলোর সাথে মিক্স করে পুনরায় কষা করেছি।
এরপর পাঙ্গাস মাছের মাথার অংশগুলো দিয়ে মসলার সাথে মিক্স করে নিয়েছি, তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি।
তারপর ঢাকনা সরিয়ে প্রয়োজন মতো পানি দিয়েছি, কিছু সময় এভাবে রান্না করে তারপর লেবু পাতা ছিড়ে দিয়েছি।
পানি শুকিয়ে আসলে অর্থাৎ ঝোল কমে আসলে কাঁচা মরিচ ও ধনিয়া পাতা কুচি করে দিয়েছি এবং কিছু সময় পর নামিয়ে নিয়েছি।
হয়ে গেলো আজকের ভিন্ন স্বাদের পাঙ্গাস মাছের রেসিপি। এভাবে মাছের মাথা দিয়ে প্রায় আমি রান্না করে থাকি কারন খেতে কিছুটা ব্যতিক্রম লাগে মানে স্বাদের লাগে।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।