কক্সবাজার- অনুভূতির সতেজতায় আনন্দ ভ্রমণ (পর্ব-২)

hafizullah -

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জীবনকে আরো বেশী সুন্দর ও গতিশীল রাখার চেষ্টা করছেন। সফলতা আসুক বা না আসুক প্রচেষ্টাগুলোকে কখনো নির্জীব হতে দেয়া যাবে না, কারন বলা যায় না কোন প্রচেষ্টার মাঝে সফলতা লুকিয়ে আছে আর কোন প্রচেষ্টার মাঝে ব্যর্থতা। ঐ যে একটা কথা আছে না, যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো ........। বলা তো যায় না, এইখানে কিন্তু অনেক কিছু লুকিয়ে আছে যদি আমরা সেটা বুঝতে সক্ষম হই তাহলে।

যাইহোক, কথা না বাড়িয়ে মূল কথায় ফিরে আসি। আজকে অনুভূতির সতেজতায় আনন্দ ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো, প্রথম পর্বে অবশ্য বলেছিলাম আসনের অনাকাংখিত অসুস্থ্যতার বিষয়টি, যতই চেষ্টা করি না কেন তাকে কোনভাবেই কাইত করতে পারি নাই। যার কারনে যাওয়ার সময়টা খুব বেশী সুখকর হয়নি আমাদের জন্য। না না না পুরো চাপটা সুমন ভাইয়ের উপর দিয়ে গিয়েছিলো। যেহেতু আমি সুমন ভাইয়ের সীটে আর সুমন ভাই আমার সীটে বসেছিলেন। আর যেহেতু রাতের যাত্রা ছিলো তাই ফটোগ্রাফি করার খুব একটা আগ্রহ ছিলো না আমার মাঝে, তবে সেদিন আকাশ বেশ পরিচ্ছন্ন ছিলো এবং চাঁদের অবস্থাও বেশ উজ্জ্বল ছিলো। ফাঁকে ফাঁকে সুমন ভাই ঠিকই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলেন।

তবে সকালের দিকে মানে ভোর সকালের সময় যখন সূর্য উদয় হওয়ার সময় হয়, তখন দারুণ একটা পরিবেশ তৈরী হয়েছিলো। প্রকৃতি যেন রঙিন হয়ে আমাদের স্বাগতম জানানোর চেষ্টা করছিলো। দৃশ্যটা সত্যি অনেক বেশী মুগ্ধকর হয়ে উঠে যখন আমরা কর্ণফুলী নদী পার হই। চারপাশের দৃশ্যগুলোর সৌন্দর্য এবং হৃদয়ে ছড়ানো মুগ্ধতা সত্যি বলে বুঝানো যাবে না। তাই সাথে সাথে নিজের অস্ত্র মানে স্মার্টফোটটি বের করে ফটাফট কয়েক রাউন্ড শট নিয়ে নিই। অবশ্য এই ক্ষেত্রে সুমন ভাই সহযোগিতা করেন, তিনি নিজেও কয়েকটি শট নিয়ে দেন। পুরো টীম অবশ্য তখন দফায় দফায় শট নেয়া নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। শুধু যে আমাদের টীম সেটা বললে ভুল হবে বরং জানালার পাশে যাদের সীট ছিলো সবাই চেষ্টা করেছিলেন নিজেদের ফোনে কিছু মুহুর্ত ক্যাপচার করার।

মাঝে মাঝে এমন হয় যে, সাধারণ দৃশ্যের মাঝে অসাধারণ কিছু খুঁজে পাওয়া যায়, ভালো লাগার একটা অন্য রকম অনুভূতি হৃদয়ে তৈরী হয়ে যায়। সকালের প্রকৃতি এবং বাহিরের পরিবেশটা অনেকটাই তেমন ছিলো। যতই দেখছি ততোই যেন মুগ্ধতা অনুভব করছি। ভালো লাগা কিংবা ভালোবাসা যেটাই বলেন না কেন, দারুণভাবে জাগ্রত ছিলো তখন। নদীর বুকে বেশ কিছু পরিমানে নৌকা ছিলো, যার কারনে রং ছড়ানো লাল আভা দারুণ একটা পরিবেশ তৈরী করেছিলো। পানির রংটা আরো বেশী নীল ও আকর্ষনীয় মনে হয়েছিলো।

কর্ণফুলী নদীর উপর রেললাইনের সেই ব্রিজটি পার হওয়ার পর আরো ঘুম আসেনি, কারণ তার কিছুটা সময় পরই সূর্যের কিরণ নিজের তেজ প্রকাশ করতে শুরু করে এবং পরিবেশটা ধীরে ধীরে উষ্ণ হতে থাকে। অবশ্য তখনও সুমন ভাই দারুণ দারুণ দৃশ্য ক্যাপচার করায় ব্যস্ত ছিলেন। আর আমি সময়ের অপেক্ষা, কখন ট্রেন কক্সবাজার পৌঁছাবে আর আমরা কাংখিত স্টেশনে নামবো। কারন কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনটি বেশ আকর্ষণীয় ও দেখার মতো ছিলো। সেটার কল্পনার সাথে সাথে বাস্তবে দেখার আগ্রহটা দ্বিগুণ হতে থাকে, আর ট্রেন ছুটে চলেছিলো কাংখিত গন্তব্যে।

তারিখঃ এপ্রিল ০৪, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ কর্ণফুলী নদী, চট্টগ্রাম।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah



আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।



|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||