কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সুস্থতা সত্যি অনেক বড় একটা নেয়ামত, আমরা যখন অসুস্থ হয়ে যাই তখনই কেমল আমরা সেটাকে কঠিনভাবে বিশ্বাস করি। যেমন দাঁত থাকা অবস্থায় কোন কিছুতেই আমাদের গুরুত্ব থাকে না কিন্তু যখনই দাঁত পড়ে যায় তখন বেশ গুরুত্ব দেই এবং অন্যদেরও উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করি। তখন অন্যরা সেই একই কাজ করে থাকেন নিজের দাঁত না হারানো অব্দি কারো কথার কোন গুরুত্ব দেন না। বাস্তবতা সত্যি অনেক বেশী কঠিন, আমরা যতটা চিন্তা করি তারচেয়েও কঠিন। যখন আমরা এমন কোন কঠিন পরিস্থিতিতে আটকে যাই তখনই কেবল বিশ্বাস করি বাস্তবতা আসলেই কঠিন। আমাদের জাগতিক বিষয়গুলো সত্যিই এমন, আটকে না গেলে কিছুই বিশ্বাস করতে চাই না।
যা কাছে আছে কিংবা যা পেয়েছি সেগুলোকে কখনোই আমরা গুরুত্ব দিতে চাই না বরং যা পাইনি কিংবা অপ্রত্যাশিতভাবে যা কাছে আসেনি সেগুলোকেই সর্বদা অধীক গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের এই অপূর্ণতা কখনোই পূর্ণতা পায় না কিংবা পাবেও না, এটাই সবচেয়ে বড় এবং নির্মম বাস্তবতা। হৃদেয়র গভীরে থাকা কারো শূন্যতা কিংবা না পাওয়ার কিছুর অপূর্ণতার অনুভূতিকেই আজকের কবিতার মূল উপজিব্য বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। কিছুটা ভিন্নভাবে অপূর্ণতার বিষয়টিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যথারীতি আশা করছি আজকের কবিতাটিও আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে পড়ে দেখি-
কখনো কখনো শূন্যতা
এনে দেয় হৃদয়ের পূর্ণতা,
স্বপ্নগুলো যদিও থাকে অপূর্ণ
অপ্রাপ্তির বিষাদে হৃদয় থাকে সম্পূর্ণ।
পাশে থাকা বিষয়গুলোকে
মনে হয় খুবই অযাচিত সামান্য,
অধরা কল্পনাগুলোর আঘাতকে
মনে হয় খুবই অভিলাষিত নগণ্য ।
কখনো কখনো উত্তাল সমুদ্র
হয়ে যায় খুবই অভদ্র,
আবেগে ভেসে থাকা আবিষ্কার
মুহুর্তে ডুবিয়ে করে তিরস্কার।
হৃদয়ে জাগ্রত কামনাগুলোকে
মনে হয় খুবই কাংখিত চাওয়া,
নিরাসক্ত প্রভাহীন সময়গুলোকে
মন হয় খবুই অবাঞ্ছিত পাওয়া।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।