"কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি"

green015 -

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।আশা করি রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।

কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি:

বেশ অনেকদিন ধরেই জমিয়ে শীত পড়ছে।তার উপরে সকাল হতেই ঘন কুয়াশার দেখা পাওয়া যায়, যতই বেলা বাড়ে ততই যেন কুয়াশা সাদা গাড় রঙের আকার ধারণ করে।আর এই শীতে শুধু ভাজাপোড়া জাতীয় জিনিস খেতে মন চায়।শীতে চায়ের সঙ্গে ভাজাপোড়া খেয়ে যেন আলাদা একটা তৃপ্তি অনুভূত হয়।আসলে এই কলার থোরের পকোড়া আগে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি।এই প্রথমবারের মতো তাই পকোড়া রেসিপি তৈরি করলাম।আমি এখানে আমাদের বাড়ির বিচিকলা গাছের থোর নিয়েছি।যাইহোক এটি তৈরির পর দেখতে যেমন অনেক সুন্দর ও লোভনীয় লাগছিলো তেমনি খেতেও দারুণ মজার হয়েছিল।যদিও এর স্বাদ অনেকটাই টক জাতীয়।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----

উপকরণসমূহ:

1.কলার থোর- 2 হাত পরিমাণ
2.গরম মসলা গুঁড়া- 1/3 টেবিল চামচ
3.বেসন - 1 কাপ
4.লবণ- 1 টেবিল চামচ
5.হলুদ-1/2 টেবিল চামচ
6.শুকনো মরিচ গুঁড়া-1/2 টেবিল চামচ
7.জিরা গুঁড়া- 1 টেবিল চামচ
8.পাঁচফোড়ন-1/3 টেবিল চামচ
9.পেঁয়াজ কুচি-2 টি
10.কাঁচা মরিচ কুচি-4 টি
11.সাদা তেল-1/2 বাটি

প্রস্তুত-প্রণালী:

ধাপঃ 1


প্রথমে আমি কলার থোর নিয়ে নিলাম।যেটা দেখতে অনেকটা লম্বা বাল্বের মতো মনে হচ্ছিলো।

ধাপঃ 2


এরপর কলার থোরের গা থেকে আশ ছাড়িয়ে ধুয়ে নিলাম ভালোভাবে।তারপর কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ নিয়ে সবগুলো উপকরণ একে একে কুচি করে নিলাম।

ধাপঃ 3


তো আমি এইভাবে কুচি করে নিয়েছি বটির সাহায্যে হাত দিয়ে।

ধাপঃ 4


এখন অল্প পরিমান লবন ও হলুদ কুচি করা থোরের উপর দিয়ে দিলাম।

ধাপঃ 5


এরপর থোরগুলি ভালোভাবে হাত দিয়ে চটকে নেব,যাতে থোরগুলো নরম হয়ে যায়।

ধাপঃ 6


তো আমি থোরগুলি চটকে নিয়েছি এভাবে করে।

ধাপঃ 7


এখন থোরের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।

ধাপঃ 8


এরপর বেসন নিয়ে নিলাম এবং সঙ্গে সমস্ত গুঁড়া মসলার উপকরন নিয়ে মিশিয়ে নিলাম।

ধাপঃ 9


তো আমার থোরের বেটার তৈরি করে নেওয়া হয়ে গেল।

ধাপঃ 10


এখন একটি পরিস্কার কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে গরম করে নিলাম।

ধাপঃ 11


এখন অল্প অল্প বেটার নিয়ে গরম তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম।

ধাপঃ 12


এবারে পকোড়াগুলি নেড়েচেড়ে বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।

শেষ ধাপঃ


সবশেষে একটি পাত্রে তুলে নিলাম পকোড়াগুলো।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি"

পরিবেশন:


এখন এটি গরম গরম পরিবেশ করতে হবে টমেটোর সস দিয়ে কিংবা এমনি।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও টেস্টি হয়েছিল।


আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি বর্ধমান ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি,ইতিহাস বিষয় নিয়ে।বর্তমানে আমি ওখানেই অধ্যয়নরত আছি।এখানে বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।এছাড়া আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।


আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।