আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি ফুলের ফটোগ্রাফী শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
বর্তমান শীতকালে আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের ফুল ফুটতেছে। আসলে ফুল পছন্দ করে না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফুলের গাছ অথবা ফুল আমার কাছে খুবই ভালো লাগে দেখতে। আমি মাঝে মাঝে প্রায় বাজার থেকে ফুলের গাছ ক্রয় করে বাসায় নিয়ে গিয়ে রোপণ করে থাকি। ফুল আমাদের মনের প্রশান্তি এনে থাকে ক্ষণিকের জন্য। উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে গাঁদা ফুলের ফটোগ্রাফি। এটি অবশ্য থোকা গাঁদা ফুল না। এই গাঁদা ফুলের চারদিকে শুধু কয়েকটি পাপড়ি হয়ে থাকে। এই ধরনের গাঁদা ফুলের গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল দেখতে পাওয়া যায় যা দেখতে খুবই সুন্দর দেখায়। এই ফুলের ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম আমার চাচার বাসায়। আমার চাচার বাসায় কয়েকটি গাছ রোপন করেছে আমার চাচাতো বোন।
এবার উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি। আমি মনে করি ভালোবাসার ফুল হচ্ছে গোলাপ ফুল , কারণ বেশিরভাগ মানুষই তার প্রিয়জনকে এই ফুল দিয়ে থাকেন। গোলাপ ফুল কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে এরমধ্যে লাল বর্ণের গোলাপ আমার কাছে জনপ্রিয়। এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম বাজারের মধ্যে। সেখানে ফুলের গাছ বিক্রি করার জন্য এক লোক ভ্যানে করে বিভিন্ন প্রকারের ফুলের গাছ নিয়ে এসেছিল। সেখানে আমি বিভিন্ন প্রকারের ফুল দেখতে পেয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ফটোগ্রাফি শেষে আমি একটি গোলাপ গাছ ক্রয় করেছিলাম সেখান থেকে।
উপরে যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে চন্দ্রমল্লিকা ফুলের ফটোগ্রাফি। এই চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বিভিন্ন জাত রয়েছে। আমি অবশ্য তিন প্রকারের এই ফুল দেখেছি এর মধ্যে হচ্ছে হলুদ, সাদা এবং বেগুনি চন্দ্রমল্লিকা। বর্তমানে এই শীতের মৌসুমে এই ফুল প্রচুর পরিমাণে ফুটতেছে। এই ফুল দীর্ঘদিন গাছের মধ্যে থাকে গোলাপ ফুলের মত দুদিন পর ঝরে যায় না। এক্ষেত্রে এই ফুল বাসায় রোকন করা যেতে পারে এতে করে দীর্ঘদিন সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে।
এবার যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটিও এক ধরনের চন্দ্রমল্লিকা ফুলের ফটোগ্রাফি। এই ফুল হালকা বেগুনি রঙের এবং মাঝে হলুদ বর্ণ মিশ্রিত। যা দেখতে আমার কাছে অসাধারণ লেগেছিল। আপনারা চাইলে এই ফুলের গাছ বাসায় রোপন করতে পারেন। এতে করে বাসার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বাজারে ফুলের দোকানে এসব বিভিন্ন রঙ বেরঙের ফুলের গাছ ক্রয় করতে পারবেন। সেদিন মনে হয়েছিল যেন সব ফুলের গাছ ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাই কিন্তু আমার কাছে সেদিন তেমন টাকা ছিল না। আসলে মানুষ সৌন্দর্যের পাগল।
উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে লালপাতা গাছের ফটোগ্রাফি। এই গাছটি আমার কাছে নতুন মনে হয়েছিল ।এই গাছটির নাম আমার অজানা ছিল। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম চাচা এই ফুল গাছের নাম কি ? তিনি আমাকে দুটি নাম বলেছিলেন একটি হচ্ছে লালপাতা আরেকটি হচ্ছে পয়েন্টসেটিয়া। এই ফুল গাছের মূলত পাতাতেই সৌন্দর্য। এই গাছে অবশ্য ছোট ছোট ফুলও দেখতে পাওয়া যায়। সেই দিন চাচার দোকানে আমি বেশ কয়েকটি ফুলের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সবগুলোই ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে লাল জবা ফুলের ফটোগ্রাফি। এই ফুলকে আমরা কম বেশি সবাই চিনি। গ্রামগঞ্জে এই ফুল গাছ কমবেশি সবার বাসাতেই দেখতে পাওয়া যায়। এই ফুলও বিভিন্ন বেরঙের হয়ে থাকে। এর মধ্যে লাল ফুলটি বেশি জনপ্রিয়। আমার চাচার বাসায় এই ফুলের বড় একটি গাছ রয়েছে। এই ফুল ১২ মাসেই ফুটতে দেখা যায়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাওয়ার সময় এই ফুল ছিড়ে হাতে করে নিয়ে যায়। কয়েকদিন আগে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা এই ফুল ছেড়ার সময় আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। আজ এ পর্যন্তই ,সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
</div>
Device | Tecno spark 20c |
---|---|
Camera | 50 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness