শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ৯২

fxsajol -
আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

..
এই শব্দগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অতি পরিচিত শব্দ। এমন কথা প্রায়ই শোনা যায় আশেপাশের অনেকের মুখে। কেউ বলে এটা একটা রসিকতা, আবার কেউ বলে এটা বিষণ্নতা। আমাদের জীবনে কিসের অভাব? কেউ কেউ বলবে আমি চাইলেও করতে পারতাম না। কেউ বলবেন আমি এমন একটা পোস্ট চেয়েছিলাম আর পাইনি। কারো কাছে সব আছে। টাকার অভাব নেই, থাকার জায়গা নেই, খাবার নেই। তারপরও দিন শেষে 'আমার কিছু ভালো লাগে না' কথাগুলো লেগেই থাকে।

খুব মেধাবী মেয়ে। যাকে শিক্ষক মাঝে মাঝে বলতেন, 'প্রাইমারির বদলে হাইস্কুলে পড়া উচিত ছিল।' এই অল্প বয়সেই মেয়েটি সঠিক তাজবীদ সহ পুরো কুরআন মুখস্থ করেছিল। মেয়েটির নাম বারআহ। তার মতোই তার পরিবার ছোট ছিল এবং ধর্মীয় শিক্ষায় আলোকিত ছিল। তার বাবা-মা দুজনেই ডাক্তার ছিলেন যারা জীবিকার সন্ধানে সৌদি আরবে এসেছিলেন।

For Photos I use:


Camera
Iphone 12 Mini
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

বারাহর দিনগুলো হাসি-আনন্দে কেটেছে। হঠাৎ একদিন মেয়েটির মায়ের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা শুরু হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেল তার মায়ের ক্যান্সার হয়েছে। ততক্ষণে তা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সামান্য বারআহকে জানাতে হবে। যদি না হয়, হয়ত একদিন বারাহ হঠাৎ জেগে উঠবে এবং দেখবে যে তার মা চলে গেছে। তাই মা বললেন, 'বরাহ, আমি সেই আকাশের উপরে স্বর্গে যাব; কিন্তু আমি চাই যে আপনি প্রতিদিন মুখস্ত কুরআন পাঠ করুন। কারণ, এই জীবনে কুরআন ছাড়া আর কিছুই আমাদের রক্ষা করতে পারে না।' ছোট বারআহ তার মায়ের কিছুই বুঝতে পারেনি। কিন্তু সে খুব ভালো করেই অনুভব করতে পারছিল যে মায়ের শরীর ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে। এই অনুভূতি তীব্র হয় যখন তিনি দেখেন তার মাকে স্থায়ীভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ছোট্ট মেয়েটি প্রতিদিন তার মায়ের সাথে দেখা করতে যেত, এবং তার বাবা তাকে নিতে না আসা পর্যন্ত পুরো পরিদর্শনের সময় তার পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত করত। একদিন হাসপাতাল থেকে বাবার ফোন আসে। জানা গেছে, মায়ের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বাবাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে। তাই বাবা বার'আকে স্কুল থেকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন; কিন্তু হসপিটালে এসে হঠাৎ তার মনে হল যে, বারাহর মায়ের অবস্থা যদি খুব খারাপ হয়, আর বারাহার সামনেই যদি সে মারা যায়, তাহলে ছোট্ট মেয়েটি এই কষ্ট সহ্য করতে পারবে না। তাই বার'আকে গাড়িতে রাখার পর বাবা চোখ মুছতে মুছতে মায়ের কেবিনের দিকে ছুটলেন। হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হল, চারিদিকে ধোঁয়া আর ধুলোর মেঘ। বারআহ গাড়ি থেকে নেমে কাঁদতে লাগল। এই ছোট্ট পাখির চোখের সামনেই একটি দ্রুতগামী গাড়ি তার বাবাকে পিষে দিল

না, গল্প এখানেই শেষ নয়। বারাহর পিতার মৃত্যুর খবর তার মায়ের কাছ থেকে গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৫ দিন পর মাও বরাহ একাকী এই নিষ্ঠুর পৃথিবী ছেড়ে জান্নাতে চলে যান। বাবা-মায়ের বন্ধুরা ভেবেছিল মিশরে তার আত্মীয়দের খোঁজ করবে, যাতে তারা এই অনাথ মেয়েটির যত্ন নিতে পারে।

কিছু পরীক্ষা ও চেকআপের পর এই ছোট্ট পুতুলটির ক্যান্সার ধরা পড়ে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ছোট্ট এই পুতুলটি বলে উঠল, 'আলহামদুলিল্লাহ, এখন আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারব।' সবার বিস্ময়ের সীমা ছিল না। একের পর এক বিপদ এসে পড়ল এই ছোট্ট মেয়েটির উপর, কিন্তু কত ধৈর্য আর সন্তুষ্টির সাথে সে আল্লাহর সিদ্ধান্ত মেনে নিল।

বারাহর গল্প মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। একজন সৌদি তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তিনি মেয়েটিকে যুক্তরাজ্যে পাঠান। সময় গড়ানোর সাথে সাথে মেয়েটির সারা শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা মেয়েটির পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। মেয়েটি আগের মতই ধৈর্য ও সন্তুষ্টির সাথে তার প্রভুর সিদ্ধান্ত মেনে চলল

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊
সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ