শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ৪০
3 comments
গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
শিশুরা কাদা মাটির মতো হয়। যেভাবে গড়তে চাইবেন ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে। তাই শিশুর কথায় কাজে বাবা-মাদের ছাপ পাওয়া যায়। একটা শিশু কী বলছে, কী করছে তার অনেকাংশই হয় বাবা মায়ের অনুকরণ। দুনিয়ার দূষণ শিশুর মনে প্রবেশের পূর্বেই তার মনে রবের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করে দিন। কিন্তু কীভাবে
শিশুকে তার রবকে চিনতে শিখান। আল্লাহর গুণাবলি তুলে ধরুন তার সামনে। ছোট মানুষ এসব বুঝবে না এমন ভেবে এড়িয়ে যাবেন না। আল্লাহর সুন্দর নামগুলো শিশুকে শেখান। আল্লাহর নামগুলো বাস্তব জীবনের সাথে মিলিয়ে শেখান। যেমন বলতে পারেন, ‘দেখেছ, আর-রাজ্জাক আজ আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে দিলেন।'
শিশুর কোনো কাজে খুশি হলে তার প্রশংসা করুন, তবে সেটিও রবের সাথে জুড়ে দিয়ে। বলুন, ‘আল্লাহ তোমাকে এই কাজটি করার তাওফিক দিয়েছেন। মাশাআল্লাহ।'
.
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
শিশুকে শুধু আল্লাহর কাছেই চাইতে শেখান। ছোট বড় সবকিছুর ব্যাপারে দোয়া করতে শেখান আপনার শিশুকে।
‘পচা কাজ করলে লোকে পচা বলবে।' এভাবে না বলে বলুন, ‘আল্লাহ তোমাকে খুব ভালোবাসেন, কিন্তু তুমি যদি পচা কাজ কর, তাহলে আল্লাহ খুব রাগ করবে।” * শিশুর প্রশ্নগুলো মন দিয়ে শুনুন ও সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর আল্লাহর সাথে সংযুক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
সর্বোপরি খুব বেশি করে দোয়া করুন, যেন আল্লাহ আপনার শিশুর অন্তরে তাঁর
প্রতি ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দেন।
আমাদের রব আমাদের কত্ত ভালোবাসেন। তিনি সব সময় অপেক্ষায় থাকেন, কখন তাঁর বান্দা ফিরে আসবে আর কখন তাওবা করবে। সুবহানআল্লাহ! হাদিসে আছে, কোনো মানুষ মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া উট ফিরে পেলে যেমন খুশি হয়, বান্দার তাওবাতে আল্লাহ তাঁর চেয়েও বেশি খুশি হন। তাই আমাদের হতাশ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেননা, আমাদের প্রিয় রব, আমাদের মালিক সুরা হুদ এর ১১৪ নং আয়াতে বলেছেন—
‘নিশ্চয় সৎকাজ অসৎকাজকে মিটিয়ে দেয়।'
ভুল হয়ে গিয়েছে? ফিরে আসুন। কোমর বেঁধে লেগে পড়ুন সৎকাজে। নিশ্চয় সৎকাজ অসৎকাজকে মিটিয়ে দেয়।
গুনাহ করে ফেলেছেন? আলহামদুলিল্লাহ, আপনি তো অন্তত বুঝতে পারছেন যে, গুনাহ হয়ে যাচ্ছে আপনার দ্বারা। কত মানুষ আছে এটুকুও বোঝে না। আপনি বুঝেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ফিরে আসুন। নিরাশ হবেন না। আপনার রব ক্ষমাশীল। আপনার রব তাওবাকারীকে ভালোবাসেন। তাওবা করুন। নিজের সাধ্যমতো সৎকাজ করুন। আপনার রবই বলেছেন—
‘নিশ্চয় সৎকাজ অসৎকাজকে মিটিয়ে দেয়।’
অনেকেই বলে, ‘গুনাহ করি, তারপর অনুশোচনা হয়। তাওবা করি। কিছুদিন পর আবারও গুনাহ করে বসি। আমি নিজেকে নিয়ে হতাশ।'
আপনাকে বলব, ভাই আমার হতাশ হবেন না। আল্লাহ আপনার এই তাওবা করাকে খুব ভালোবাসেন। হাদিসে তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই কথাটা বলেই দিয়েছেন। যতবার আপনার দ্বারা গুনাহ হয়ে যাচ্ছে, ঠিক ততবারই তাওবা করুন। ফিরে আসুন। সৎকাজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। কেননা, নিশ্চয় সৎকাজ অসৎকাজকে মিটিয়ে দেয়।
Comments