.
শাইখ আবদুল মুহসিন আল আহমাদ একটি সত্য ঘটনা বলেছিলেন। ঘটনাটা ঘটেছিল আবহাতে। মাগরিবের সালাত শেষ করে মেয়েটি নিজের বিয়ের জন্য কনেসাজে সেজেছিল। মুখে মেকআপ পরল, গায়ে জড়িয়ে নিল অসম্ভব সুন্দর সাদা গাউনটিও। কিন্তু যখন ইশার আজান তার কানে এল, তখন তার খেয়াল হলো যে তার অজু নেই।
মেয়েটি তার মাকে বলল –
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
‘মা, ইশার সালাত পড়তে হলে আমাকে অজু করতে হবে।' কথাটায় মা যেন একেবারে আকাশ থেকে পড়লেন আর বললেন—
‘মাথা খারাপ হয়েছে কি তোমার? মেহমানরা এসে গিয়েছে। তোমাকে দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। তা ছাড়া এখন এই মেকআপের কী করবে তুমি? অজু করতে গেলে কি আর থাকবে এই সাজ?' এটুকু বলে একটু থামলেন তিনি। তারপর আবার রাগান্বিত কণ্ঠে বললেন
‘দেখ, আমি তোমার মা। এখন সালাত আদায় না করতে আদেশ দিচ্ছি আমি তোমাকে। যদি তুমি আমার কথা না শোনো, তাহলে আল্লাহর কসম আমি খুব রাগ করব।' মেয়েটা
শান্ত স্বরে বলল-
*আল্লাহর কসম মা, আমি সালাত আদায় না করে এখান থেকে এক পাও নড়ব না৷ বেরই হব না। মা, তুমি নিশ্চয় জানো, সৃষ্টিকর্তার অবাধ্যতা করে কোনো সৃষ্টির আনুগত্য করা যায় না, জানো না বলো?' জবাবে মা বললেন-
‘সাজগোজ ছাড়া নিজের বিয়েতে গেলে মেহমানরা কী বলবে! তোমাকে দেখতে মোটেই ভালো দেখাবে না। আর এটা নিয়ে পরে অনেক কথা বাড়বে।' মেয়েটা মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করল-
‘কিছু সৃষ্টির চোখে আমাকে দেখতে সুন্দর লাগবে না। তুমি কি এটা নিয়েই চিন্তিত মা? আর আমার সৃষ্টিকর্তার কী হবে? আমি যে সেটা নিয়েই চিন্তিত মা। আমার ভয় হয় আমি যদি এখন সালাত না পড়ি, তাহলে হয়তো আমি আল্লাহর চোখে সুন্দর হতে পারব না।’ এই বলে মেয়েটা অজু করতে শুরু করল আর সব মেকআপ ধুয়ে মুছে গেল। তাতে যে মেয়েটার কিছুই যায় আসে না।
মেয়েটা স্থিরভাবে সালাতে দাঁড়াল। আর প্রশান্তভাবে যখনই সিজদাহতে গেল, সে বুঝতে পারল এটাই তার শেষ সিজদাহ। সিজদাহরত অবস্থাতেই সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে চলে গেল।
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
একজন মুসলিমাহর জন্য এর চেয়ে সুন্দর সমাপ্তি আর কী হতে পারে? এই গল্পটা অগণিত মুসলিমের অন্তর ছুঁয়ে যায়। মেয়েটা তাঁকে ও তাঁর আনুগত্যকে সবার আগে স্থান দিয়েছে। তিনিও যে তাকে নিরাশ করেননি। প্রতিটি মুসলিমের অন্তর তো এমন সুন্দর সমাপ্তির জন্যও ব্যাকুল। মেয়েটি তো তার রবের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছিল, তিনিও মেয়েটিকে তাঁর কাছেই নিয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ!