আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট দিয়ে হাজির হয়েছি। তবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমাদের বাড়িতে থাকা কিছু বাজরিগার পাখিদের নিয়ে। আমার জানামতে আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের বাড়িতে কিছু পাখি রয়েছে। আপনাদের ভাইয়া মুস্তাফিজুর রহমান উনি পাখি পুষতে অনেক ভালোবাসেন। আর পাখি দেখতে খাবার দিতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। একদম প্রথমে উনি চারটি পাখি কিনেছিলেন। আর আজকে সেখান থেকে আমাদের অনেকগুলো পাখি হয়ে গেছে। তবে দুঃখের বিষয় আজকের সকালে যখন উনি খাবার দিতে যাচ্ছিলেন তখন গিয়ে দেখে একটি পাখি মারা গেছে। কথাটি শুনে আমারও বেশ খারাপ লাগলো। আমিও সাথে সাথে গিয়ে দেখলাম সত্যি একটি পাখি মারা গেছে। পাখিটি দেখতে সাদা ও নীল রঙের। পাখিটি যেহেতু মারা গিয়েছিল তাই আমি কোন ফটোগ্রাফি ধারণ করিনি।
আমি যখন আপনাদের ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম যে পাখিটা কেন বলেছে জানো। তখন উনি বললেন শীতের কারণে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে তাই। বর্তমান আবহাওয়াটা সবার জন্য অনেক খারাপ। সকালে বিকেলে শীত পড়ছে দুপুরে গরম এর মাঝে আবার হালকা বাতাস তারপরে আবার মাঝে মাঝে গরম লাগছে। আর এই সময়টাতে ই ছোট বড় সবাই খুব বেশি অসুস্থ হচ্ছে। আর এই প্রভাবটাই পাখিদের ওপরও করেছে। হয়তোবা পাখিটা অনেক অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল তাই মারা গিয়েছে। প্রতিদিন সকালে আমি যখন আবু রায়হানকে খাওয়ায় তখন পাখিদের কাছে দিয়ে যায়। পাখিগুলো কিচিরমিচির করে আবু রায়হান সেটা খুবই আনান্দের সাথে দেখে আর খাই। দুপুরেও একই ভাবে ওকে খাওয়ানো হয়। এখন তো আবু রায়হান পাখিগুলোর কাছে গেলে আরও বেশি কিচিরমিচির করে। আর এটা দেখে আবার খুবই ভালো লাগে। তাছাড়াও এই পাখিগুলোর বিভিন্ন রঙের হয়। এর জন্য পাখিগুলোর সৌন্দর্য আরো বেশি। আমাদের বাসায় অনেক মানুষ আসে শুধুমাত্র এই পাখিগুলো দেখতে।
গরমের আবহাওয়াটা চলে যাবার পর যখন থেকে শীতল আবহাওয়াটা আসতে শুরু করেছে তখন থেকেই পাখিগুলো যেন কেমন একটা করে। পাখিগুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এদের পর্যাপ্ত পরিচর্যা করতে হয়। যদি পাখিদের একটু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না দেওয়া হয় তাহলে এই শীতে অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই পাখিদের বিভিন্ন ধরনের খাবার দেয়া হয়। তার সাথে আপনাদের ভাইয়া পাখিদের বিভিন্ন ধরনের গাছের পাতা এনে দেয় এগুলো ওরা খায়। এবং প্রতিটি খাঁচার মধ্যে একটি করে পানির পর একটি করে খাবারের পট ও একটি সুন্দর মাটির হাড়ি দেওয়া আছে। হাঁড়ি গুলোর মধ্যে পাখিগুলো ডিম দেয় বাচ্চা তোলে। এবং রাত্রি বেলায় হাঁড়ি গুলোর মধ্যে ঘুমায়। সব মিলিয়ে পাখির খাওয়া দাওয়া ডাকাডাকি সবকিছুই আমার ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও এর পাশাপাশি আমাদের বাসায় রয়েছে রঙিন মাছের চাষ। যদি আগের তুলনায় এখন মাছ অনেকটাই কম। তারপরেও এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে অবশ্যই একদিন একটি পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করব। তবে বাজরিগার পাখি আপনাদের কেমন লাগে সেটা অবশ্যই জানাবেন । আশা করছি ভালো লাগবে। আজকে এখানে শেষ করছি।পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন, শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR