গল্প: মা বাবার স্বপ্ন।

fasoniya -

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। মা বাবার স্বপ্ন এই গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে ভূতের গল্প পড়তে সব থেকে বেশি ভালো লাগে কারণ সে ধরনের গল্প গুলোর মধ্যে অনেক বেশি কৌতূহল জাগে। তাছাড়া সবাই গল্প শেয়ার করে সেই গল্পগুলো পড়েও খুবই ভালো লাগে। আজকে আমি নতুন আরেকটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি হচ্ছে মা বাবার স্বপ্ন। একটা বাচ্চা দুনিয়াতে আসার পর তাকে নিয়ে তার মা-বাবার অনেক বেশি আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন থাকে। আজকে সেরকম একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

খুবই সুন্দর একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এই গল্পের যে বাস্তবে রূপ রয়েছে সেটা আমাদের আশেপাশে অনেক দেখতে পাওয়া যায়। তাদের পরিবারের তারা স্বামী-স্ত্রী দুজন এবং তাদের একটা ছেলে রয়েছে। কৃষি কাজ করে তার সংসার চালান কোনভাবে। কিন্তু তাড়াতাড়ি যখন ছেলে হয় তারা তাদের ছেলেকে নিয়ে অনেক বেশি স্বপ্ন দেখে। ছেলে একদিন অনেক বড় হবে ভালো কিছু করব। ছেলেকে তার অনেক ভালোবাসতেন সেজন্য তারা ছেলেকে অনেক আদর যত্নে মানুষ করতেন। তিনি মাঠে রোদে পুড়ে কৃষিকাজ করতেন কিন্তু ছেলেকে রোদে যেতে দিতেন না। ছেলেটার মা ও ছেলেটার প্রতি অনেক বেশি যত্নবান ছিল।

তাদের দুজনেরই স্বপ্ন ছিল ছেলেটাকে অনেক বেশি লেখাপড়া করে একজন মানুষের মত মানুষ তৈরি করবেন। তাদের মত কৃষিকাজ করে তার জীবনটা যাতে না ঘটে সে ব্যবস্থা করবেন। সেই লক্ষ্যে ছেলেটাকে ভালো করে পড়াশোনাও করাতেন। ছেলেটার লেখাপড়া অনেক ভালো ছিল। লেখাপড়া ভালো ছিল বিধায় স্কুলের তার প্রতি অনেক বেশি আন্তরিক ছেলে। এবং পড়াশোনা নিয়ে সব রকমের সাহায্যে ছেলেটাকে স্কুলের ওই স্যার করে থাকতেন। স্কুলের সে অনেক বেশি ভালো রেজাল্ট করে। এরপর মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং স্কুলের শিক্ষকের সহযোগিতায় শহরে পড়তে যাওয়ার কথা চিন্তা করেন এবং সেই লক্ষ্যেই সে শহরে যায় পড়ালেখা করতে।

তাদের স্বপ্ন ছিল শহরে গিয়ে ছেলে লেখাপড়া করে বড় অফিসার হবে বড় চাকরি করবে। পরবর্তীতে তারাও ছেলের সাথে গিয়ে শহরে থাকবে। ছেলে শহরে যায় পড়াশোনা করতে। এদিকে বাবা সারা জীবন কষ্ট করে ছেলের পড়াশোনার খরচ এবং সবকিছুই চালিয়ে থাকে তার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। দিনের পর দিন যেতে থাকে কিভাবে অনেক বছর কেটে যায়। সে যে ছেলে শহরে গিয়েছিল লেখাপড়া করতে আর কোনদিনই ছেলে গ্রামে ফেরেনি মা বাবাকে দেখতে। এগিয়ে গ্রামের মানুষও অনেক কথাবার্তা বলতে। আর গ্রামের মহিলাদের অভ্যাস কমবেশি সবাই জানে কোন একটা কথা বলি সে কথা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বানিয়ে করা। এভাবেই গ্রামের মানুষ তাদের দুজনকে অনেক বেশি জ্বালাতন করতো। অনেক খারাপ কথা বলতো।

গ্রামের মানুষজন বলতে ছেলেকে পড়াশোনা করতে দিয়েছে ছেলের তো আর খোঁজই নেয় না ছেলে ভুলে গিয়েছে। গ্রামের মানুষের এত খারাপ খারাপ কথাবার্তা শুনে তো তাদের অনেক বেশি খারাপ লাগতো। কারণ তাদের একমাত্র ছেলে ছিল এবং তারা ছেলেকে নিজের প্রাণ চেষ্টা করি মানুষ করার চেষ্টা করছে। গ্রামের মানুষের কথাবার্তা শুনতে শুনতে একটা সময় তারাও হতাশ হয়ে পড়ে। এবং তারাও নিজেরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে থাকে যে ছেলেটাকে মনে হয় মানুষ করতে পারিনি। এত কষ্ট করে এত যত্ন করে ছেলেটাকে বড় করলাম শহরে পাঠালাম পড়াশোনা করার জন্য। এখন আমাদের খোজ খবরই নেয় না। আরো অনেক দিন কেটে গেল একটা সময় ছেলে হঠাৎ বাড়িতে এসে হাজির হলো। ছেলে লেখাপড়া শেষ করে চাকরি নিয়ে গ্রামে বদলি হয়ে নিজের এলাকায় কাজ করতে শুরু করে।

তখন ছেলেরে সফলতা দেখে মা-বাবা তো অনেক বেশি খুশি আর গর্ববোধ করে নিজেরা। তাদের এত এত বছরের পরিশ্রম সফল হয়েছে এত পরিশ্রম ছেলের পেছনে দেওয়া হলে ছেলে আজ মানুষের মত মানুষ হয়েছে। তাছাড়া গ্রামের মানুষরাও তার ছেলেকে এবং তাকে অনেক বেশি সম্মান করে। আর যে মানুষগুলো তাদেরকে নিয়ে অনেক খারাপ কথা বলেছিল তারাও এখন তাদের প্রশংসা করে। এরকম প্রত্যেকটা মা-বাবার তাদের সন্তানকে নিয়ে অনেক বেশি স্বপ্ন থাকে। প্রত্যেকটা মা-বাবা ইচ্ছা তাদের সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হয়। হারিয়ে ছিল আমার আজকের গল্পটি আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজ কিছু গল্পটি ভালো লাগবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।