জেনারেল রাইটিংঃ কাজে কোন লজ্জা নাই লজ্জা হচ্ছে অলসতায়

emonv -

আজ - শুক্রবার

২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অক্টোবর ১১ ২১, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন

আজকে আমি আপনাদের মাঝে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ নিয়ে কথা বলব সেটা হচ্ছে কাজ। আমাদের সবারই প্রায়ই জীবিকা নির্বাহের প্রধান উপায় হচ্ছে কাজ এ কাজের উপরে ভিত্তি করে আমরা জীবনের সবকিছু করে থাকি। তবে সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা খুবই অলস তবে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে তার ভিতরে আমিও আছি। 😐 আসলে সত্যি বলতে মাঝে মাঝে এমন অলস হয়ে যাই যে পরবর্তীতে নিজের উপরেই অনেক রাগ উঠে তবে যখন নিজের স্বপ্নের কথা ভাবি ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চাই এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করি তখন ঠিকই আবার কাজে বসে যাই। আবার সমাজে একশ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা নিম্ন পর্যায়ের যে কাজগুলো রয়েছে সেই কাজগুলোকে দাম দিতে চায় না। এটাও সত্যি অনেক দুঃখজনক একটা বিষয়। আসলে সত্যি বলতে সমাজে উচ্চ পর্যায়ের কাজ এবং নিম্ন পর্যায়ের কাজ এই দুইটা মিলেই একটা ব্যালেন্স রয়েছে আছে যার কারণে আমাদের সমাজটা সুন্দরভাবে অতিবাহিত হয়। সমাজের সবচেয়ে বর্তমানে নিম্ন পর্যায়ের যে কাজগুলোকে দেখা হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জুতা সেলাই করার কাজ। তবে আমরা যদি একটা জিনিস লক্ষ্য করি সেটা হচ্ছে তারা যদি জুতা সেলাই না করতো তাহলে আমরা কোথায় যেতাম? কোন কিছু সম্পর্কের মতামত দেওয়ার পূর্বে আমার মনে হয় নিজেকে ওই স্থানে রেখে তারপরে নিজেকে প্রশ্নটা করা উচিত এটা সঠিক কিনা ভুল।

source

সমাজের দিনমজুর,রিকশাচালক ভ্যান চালক এরা রয়েছে বলেই আমরা নির্দ্বিধায় এখান থেকে ওখানে চলাফেরা করতে পারি। তাদের উপরে ভর করেই আমরা আমাদের জীবনে উপরে উঠছি এই বিষয়টা অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত। এ কথাগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার পিছনে একটা ঘটনা রয়েছে চলুন আপনাদের সেই ঘটনাটি শেয়ার করি। আমাদের এলাকায় একটা ছেলে রয়েছে নাম হচ্ছে রাসেল। ওকে নিয়ে মোটামুটি আমি অনেক পোস্ট করেছি অর্থাৎ পোস্টের অনেক অংশই ও আমার সঙ্গে ছিল তো ও পেশায় একজন দিনমজুর। ও একটা হার্ডওয়ার্কের দোকানে থেকে তার জীবিকা নির্বাহ করে থাকে, ওকে প্রতিদিন ওখান থেকে ৪০০ টাকা করে দেয়া হয়। তো তার কাজ হচ্ছে সকাল আটটার দিকে চলে যাওয়া এবং সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাড়িতে আসা। তাদের কাজগুলো তেমন একটা কঠিন নয় শুধুমাত্র কাস্টমার হ্যান্ডেল করা তবে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে তাদের কাজ করার সময় সীমা অনেক বেশি অর্থাৎ সকাল আটটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত এটা কিন্তু অনেক বড় একটা সময়। তো অন্য দিকে আরেকটা ছেলে রয়েছে সে অনলাইনে কাজ করে এবং মাসে ভালো টাকা ইনকাম করে। কিন্তু আমি একদিন লক্ষ্য করলাম যে একজন বাড়ির পাশের আন্টি রাসেলের সঙ্গে একটু রুড ব্যবহার করছে। কিন্তু অন্যদিকে তার সাথে যেই ছেলেটা রয়েছে তার সঙ্গে খুব ভালো আচরণ করছে।

source

অর্থাৎ ওখান থেকে আমি বুঝতে পারলাম যে হ্যাঁ রাসেলের কাজটা ছোট বলে হয়তো বা তার সঙ্গে এমন ভাবে ব্যবহার করতে পারছে। আজকে যদি সেই একটা বড় পর্যায়ে থাকতো তাহলে কখনোই এভাবে কথা বলতে পারত না। কাউকে অসম্মান করতে হলে কিন্তু কয়েকটা কথাই যথেষ্ট মানুষের কথা এবং অঙ্গভঙ্গি দেখেই বোঝা যায় যে সে আপনাকে সম্মান করছে নাকি তাচ্ছিল্য ভাবে নিচ্ছে। তো এই বিষয়টা দেখে আমার খুবই খারাপ লাগলো ওই জন্য আজকে আমি এই পোস্টটা করলাম যে আমাদের সমাজে এই শ্রেণীর মানুষগুলো কেন জানিনা মানুষকে শুধুমাত্র কাজের ভিত্তিতে ছোট বড় করে এটা খুবই খারাপ লাগে আমার কাছে। আমি নিজে কখনো কাউকে ছোট করতে পছন্দ করি না কারন আমার মনে হয় যে সমাজের যারা কাজ করে খায় তারাই হচ্ছে আসল হিরো।‌🔥 আর যারা অলস তারাই এই সমাজের বোঝা। তাই আমি বলতে চাই যে কাজ করার মধ্যই আসল সম্মান লুকিয়ে রয়েছে অলসতাই আমাদেরকে অন্ধকার কুয়োর দিতে ঠেলে দিচ্ছে। তাই অবশ্যই আমাদের কাজ করতে হবে এবং অলসতা থেকে দূরে থাকতে হবে। এবং সেই সাথে আমার মনে হয় সবাইকে এমন মাইন্ডসেট আনার প্রয়োজন যে সবাই যেন সবাইকে সম্মান করে।

source

কারণ হচ্ছে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব আমরা যদি একে অপরকে সম্মান না করি তাহলে পশু এবং আমাদের মধ্যেও আমার মনে হয় তেমন একটা পার্থক্য থাকে না। আমি দেখেছি অনেক বড়,বড় মাপের মানুষ মানুষকে অনেক সম্মান করে। কিন্তু যারা ছোট ,ছোট মানুষ তারাই দেখা যায় সুযোগ পেলে মানুষকে অসম্মান করে এটা খুবই খারাপ লাগে। আমার লাইফেও আমি এমন একটা তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এসেছি তবে আজকে এই পোষ্টের আমি আর অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করছি না তাহলে হয়তো বা পোস্টট অনেক বেশি লম্বা হয়ে যাবে। আমি চাই আপনাদের মাঝে ছোট ,ছোট কিছু পোস্ট করি এবং পোস্টটা যেন সাজান গোছানো হয় এবং সবার বোধগম্য হয় তাহলে আমার সার্থকতা। জানিনা আমি কতটুকু আপনাদের মাঝে আউটপুট দিতে পারি তবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আপনাদের বিনোদন দেওয়ার জন্য। তবে যাই হোক আজকে একটা শিক্ষানীয় পোস্ট শেয়ার করলাম। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে আশা করি কমেন্টে জানিয়ে যাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে আমারই ব্লগটা উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

ব্লগার@emonv
ডিভাইসTecno camon 20
শ্রেণী ‌ভ্রমন পোস্ট
লোকেশনমেহেরপুর

🔚 সমাপ্তি

আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।


VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy