জেনারেল রাইটিংঃ শীতের হাওয়া

emonv -

আজ - বৃহস্পতিবার

২৫, অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন

গত দুইদিন ধরে আমাদের এলাকাতে রোদ উঠেনি চারিদিকে শুধু কুয়াশা আর কুয়াশা। আর এই কুয়াশাতে চারিদিকে দৃশ্যগুলো অদ্ভুত রকম সুন্দর লাগে বিশেষ করে আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে সেটুকু উপলব্ধি করতে যান সে ক্ষেত্রে এটি আরো বেশি ভালো লাগবে। তবে দুর থেকে এখন প্রকৃত সুন্দর্য উপলব্ধি করা একটু কষ্টদায়ক হয়ে গেছে কারণ দুই তিন মিটার দূরেই চোখ পড়লেই শুধু কুয়াশা দেখা যায়। শুধু কুয়াশা না সেই সাথে রয়েছে শীতকালীন ঠান্ডা হওয়া, ঠান্ডা হাওয়া এতটাই ঠান্ডা যে হাত এবং বরফের মত হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় হাতে তো শক্তি পাওয়া যায় না। বিগত দুইদিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম তারপরে ওখানে গিয়ে দেখলাম যে সত্যি ওদিকের আবহাওয়া অনেকটাই ভিন্ন কারণ আপনারা যদি ঢাকার অঞ্চলে থাকেন তাহলে এদিকে তেমন একটা ঠান্ডা পড়ে না মোটামুটি অল্প কুয়াশা রয়েছে তবে আমি সূর্য বিহীন একটা দিনও এখন পর্যন্ত দেখিনি। কিন্তু যখন আমি বাড়িতে গেলাম তখন দৃশ্যটা পুরোটাই ভিন্ন ওইদিকে তো বললামই দুইদিন রোদ উঠে নাই যেটা নতুন একটা এক্সপেরিয়েন্স ছিল।

source

আমাদের এই অঞ্চলগুলোতে তো তাও কম শিত পরে আমি শুধু ভাবি যে যারা বরফের এলাকাতে থাকে তারা কি পরিমান ধৈর্য নিয়ে বসবাস করে। কারণ ওদিকে তো সারাদিন তুষার পরে এবং বরফে সবকিছু জমে যায় তারা হয়তো বা খাবারের স্বাদ করে নিতে পারে না কারণ আমরা সবাই জানি যে যদি কোন খাবার বরফে শক্ত হয়ে যায়। তবে সেই খাবার তেমন কোন স্বাদ পাওয়া যায় না তবে কৃত্রিম উপায়ে যদি আগুনের তাপে দিয়ে খাওয়া যায় আর বরফ গুলিয়ে গরম করা যায় তবে সেটা ভিন্ন বিষয় তবে টাকা জিনিসের স্বাদটা কিন্তু সবসময় অন্যরকম এবং স্পেশাল হয়ে থাকে। বিশেষ করে যেরকম আমাদের খেজুরের রস। আমাদের গ্রামে শীতের সময় খেজুরের রস অনেক বেশি বিখ্যাত খেজুরের রস খাওয়ার জন্য আমরা দীর্ঘদিন যাবত অপেক্ষা করে থাকি। যখন আর সকালে ভোর বেলায় খালি পেটে লাল, লাল টাটকা খেজুরের রস খাওয়া যায় তখন অনুভূতিটা সত্যিই অসাধারণ হয়ে থাকে। আর সবচেয়ে ভালো বিষয় হচ্ছে এই খেজুরের রস থেকে খাঁটি খেজুরের গুড় তৈরি করা হয় যেটা শীতকালীন পিঠা পুলিতে ব্যবহার করা হয় এবং পিঠেপুলেট স্বাদ আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।

আমি এমনিতেই ব্যক্তিগতভাবে শীতকালে পিঠাপুরি গুলো অনেক বেশি পছন্দ করি যেমন ভাপা পিঠা চিতই পিঠা বকুল পিঠা সহ অনেক ধরনের পিঠার শীতকালে বিখ্যাত। গ্রাম অঞ্চলে এটাই হচ্ছে সুবিধা যে প্রত্যেক দিন বিভিন্ন রকম পিঠাপুরি তৈরি করা হয় এবং সেগুলো অনেক দিন যাবত আমরা খেয়ে থাকি। সব যেই সুন্দর বিষয় কি জানেন যখন প্রচুর পরিমাণে শীত পড়ে এবং বাহিরে কোন জায়গায় আগুন জালানো হয় এবং আগুন পোহাতে পোহাতে যখন এই নিত্য নতুন সুস্বাদু পিঠাগুলো খাওয়া হয় তখন অনুভূতিটা অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। আপনাদের সবাইকে শীতকালীন পিঠাপলী খাবার দাওয়াত রইলো আপনারা যদি আমার এলাকার আশপাশে হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই দেখা করবেন ইনশাল্লাহ শীতকালীন পিঠা পলি খাওয়াবো। শীতকালে সব যে কষ্টদায়ক বিষয় হচ্ছে গোসল করা। যদিও আমি গোসল ছাড়া একদিনও থাকতে পারি না তবু গোসল করতে গিয়ে অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যায় যদি গরম পানি না করা হয়। তবে প্রতিদিন তো গরম পানি করার সৌভাগ্য হয় না তাই ঠান্ডা পানি দিয়েই গোসল করতে হয়।

আসলে গোসল করার সময় যখন ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগে তখন যে কিরকম একটা অনুভূতি হয় যাদের লেগেছে তারা হয়তো বা এটি উপলব্ধি করতে পারবেন। তবে সব মিলিয়ে আমার শীতকালীন সময় গুলো খুব ভালই লাগে কারণ হাজার হোক আমাদের ছয়টা ঋতু নিয়ে আমাদের এই সুন্দর দেশ আমরা তো ছয়টা ঋতুর মধ্যে ছয়টা ঋতুই পেয়ে থাকি তবে অনেক অঞ্চলে এই ঋতু নিয়ে ভিন্নতা রয়েছে কারণ যেরকম কিছু কিছু অঞ্চল রয়েছে শুধুমাত্র দুই থেকে তিনটা ঋতু পেয়ে থাকে। যেমন শীত বর্ষা এবং গ্রীষ্ম তবে মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমরা এই সুন্দর পৃথিবীর অনেক কিছুই অনুভব করতে পারি। শীতকালে এছাড়া অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে যেমন লুডু খেলা তিন থেকে চারজন মিলে একটি জায়গাতে বসে লুডু খেলতে এবং সেই সাথে বাদাম খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আপনাদের কি এমন কোন অভিজ্ঞতা রয়েছে যদি থেকে থাকে তাহলে আশা করি কমেন্টে জানিয়ে যাবেন। তো সবকিছু নিয়েই এটাই ছিল আমার শীতকালের অনুভূতি।

ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে আমার ছোট্ট এই ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো আপনাদের মাঝে খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আমি হাজির হব ইনশাল্লাহ ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

ক্রোমব্লগার@emonv
ডিভাইসTecno camon 20

🔚 সমাপ্তি

আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।


VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy