শুক্রবারের সকাল!!
4 comments
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
শুক্রবারের সকাল টা এক এক মানুষের কাছে এক এক রকম হয়ে থাকে। কেউ ঘুমিয়ে কাটায় কেউ হাঁটতে বের হয় কেউ বা তার কাজে। সাধারণত ঢাকা শহরে যারা থাকে পুরো সপ্তাহ অফিসের যন্ত্রণার পরে এই দিনটা তারা একটু শান্তিতে ঘুমায়। এইজন্যই শুক্রবার অর্ধেক টা বেলা ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা থাকে। তবে আবার অনেকেই আছে যারা সকালে উঠেই হাঁটতে বের হয়। নভেম্বরের শুরু থেকেই প্রকৃতির পরিবর্তনের একটা আভাস পাওয়া যায়। না পুরোপুরি শীত হয়তো পড়ে না। কিন্তু শীতের অনূভুতি পাওয়া যায়। নভেম্বরের দ্বিতীয় শুক্রবারের কথা। ঐদিন আমার ইউনিভার্সিটি তে পরীক্ষা ছিল। সত্যি বলতে পুরো একটা দিন ছুটি অনেকদিন আমি কাটায় না। কারণ শুক্রবার আমার ক্যাম্পাসে যাওয়া লাগে। এবং সারা সপ্তাহ অফিসে সময় চলে যায়।
বৃহস্পতিবার রাতেই আমি রামপুরা চলে গিয়েছিলাম আমার ভাইয়ার বাসায়। আমি যেখানে থাকে সেখান থেকে অনেক টা দূরে রামপুরা। যাইহোক রাত টা ভাইয়ার বাসায় ছিলাম। আমার ইউনিভার্সিটি তেজগাঁও তে। রামপুরা থেকে হাতিরঝিল হয়ে হেঁটে গেলে ঐ মোটামুটি ৩০ মিনিটের মতো লাগে। আবার হাতিরঝিল চক্রাকার বাসেও যাওয়া যায়। কিন্তু শুক্রবার সকালে আমি হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এটার কারণ একেবারে নিরিবিলি থাকে সকাল টা মানুষের আনাগোনা কম থাকে। এবং হাতিরঝিল জায়গাটার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে বেশ সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ অবলোকন করা যায়। এই জায়গাটা ঢাকার অন্য জায়গা থেকে বেশ আলাদা।
আমার প্রথম পরীক্ষা ছিল সকাল দশটায়। কিন্তু ইউনিভার্সিটি তে গিয়ে কিছুক্ষণ পড়তে হবে এইজন্য আমি আট টার একটু আগে ভাইয়ার বাসা থেকে বের হয়। ভাইয়ার বাসা থেকে কিছুটা হেঁটে গেলেই হাতিরঝিল। হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। না অন্যদিনের মতো মানুষের আনাগোনা নেই ভীড় নেই। কারো সাথে ধাক্কা লাগছে না। অনেকেই হাঁটতে এসেছে। কেউ বা গ্রুপ ভিওিক যোগ ব্যায়াম করছে। এবং চমৎকার রোদ ঝলমলে সকাল। সবমিলিয়ে চমৎকার লাগছিল চারিদিক টা। তবে যারা হাঁটতে এসেছিল সবার বয়স ৫০ এর বেশি। আমার বয়সী বা যুবকদের খুব একটা চোখে পড়েনি। সাধারণত অনেক রাত জেগে তারা ঘুমাচ্ছে। আমি হলেও সেটাই করতাম। ।
তবে দেখলাম বেশ কিছু বাচ্চা এসেছে তাদের বাবার সাথে। তাদের বয়স এই ৫-৮ বছর হবে। তারা আবার খুব আগ্রহী। কিন্তু কে জানে সময়ের সাথে এই আগ্রহ হারিয়ে যাবে না। এসব দেখতে দেখতে হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে আমি এগিয়ে গেলাম। আমি এগিয়ে গেলাম আমার ইউনিভার্সিটির দিকে। অনেকদিন পরে অবশ্য সকালে ঐভাবে হেঁটেছিলাম। যদিও হাঁটার উদ্দেশ্যে আমি বের হয়নি। কিন্তু সবমিলিয়ে দারুণ কেটেছিল আমার সকাল টা। এই ব্যস্ত শহরের অধিকাংশ মানুষ হয়তো জানে না শুক্রবারের সকাল টা ঠিক কেমন। বিকেলে যে হাতিরঝিলে মানুষের ভীড়ে চলাচল করা যায় না সকালে সেটা থাক পুরোপুরি ফাঁকা জনশূণ্য।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Comments