আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি মোটামুটি ভালো আছি। ঐ সবমিলিয়ে চলে যাচ্ছে দিনগুলো। যতই দিন যাচ্ছে সময় গুলো যেন বেশ দ্রুত অতিবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ সময় প্রবাহের গতি যেন অনেক বেড়ে গিয়েছে। এইতো সেদিন এই বছর টা শুরু হলো। দেখতে দেখতে নভেম্বর মাস চলে আসলো। আজকের দিনটা আগামীকাল অতীত হয়ে যাবে। ব্যাপার টা ভাবতেই যেন কেমন লাগে। যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে পুরাতন অ্যালবাম থেকে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নেব। আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
- এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করা ২০২২ সালে। তখন বর্ষাকাল চলছে। যদিও সেরকম পানি হয়নি। কিন্তু অসাধারণ মেঘলা ওয়েদার ছিল এবং এটা ফসলের ক্ষেত। কী অসাধারণ একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দেখলেই যেন প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। এখন আর এই দৃশ্যগুলো দেখতে পারি না। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে মন ভালো হয়ে যায়।
- সময় তখন বিকেল চারটা। আকাশে প্রচণ্ড মেঘ। কিন্তু বৃষ্টি নেই। এমন ওয়েদার আমার বেশ ভালো লাগে। ওয়েদার টা আরও ভালোভাবে দেখতে চলে গেলাম মাঠের মধ্যে। আহ সে যেন এক ভয়ংকর সুন্দর পরিবেশ। কী চমৎকার আবওহাওয়া চারিদিকে। সময় টা ছিল ২০২২ সালের জুন মাস।
- এই ফটোগ্রাফি টাও ধারণ করা ২০২২ সালে। এক বিকেলে আমি এবং আমার বন্ধু মাঠে বসে ছিলাম। এবং এই অসাধারণ দৃশ্য দেখছিলাম। আহ এটা যেন এককথায় স্বর্গ। এই ফটোগ্রাফি টা আমি যখনই দেখি আমি জীবনানন্দ দাশের ঘোড়া কবিতার লাইন মনে পড়ে যায়। মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জোৎস্নার প্রান্তরে।
- এইটা এক ধরেনর গাছ। সাধারণত বর্ষার সময় মাঠে চাষ করা হয়। এটার জীবনকাল কম। তবে যখন বড় হয় বেশ সবুজ এবং ঘন হয়ে থাকে। কী চমৎকার লাগছে না দেখতে। উপরে সুন্দর আকাশ এবং নিচে সবুজ এই ঘাসগুলো। সবমিলিয়ে এককথায় অসাধারণ।
- একটা সময় কুষ্টিয়া কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন ছিল আমার নিয়মিত গন্তব্য। ক্লাস শেষ করে ট্রেনের জন্য যেতাম। ট্রেন আসার আগ পযর্ন্ত স্ট্রেশনে আড্ডা দিতাম সব বন্ধুরা। আহ কী ছিল সেই সময় টা। এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করা কুষ্টিয়া কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে। জায়গাটা আমার অনেক পছন্দের।
- সকালে হাঁটার অভ্যাস আমার নেই। তবে সকালের প্রকৃতি আমার অনেক মিস করি। আমার চাচাতো ভাই রোহান বাড়িতে গেলে আমার হাঁটতে বের হওয়া হতো ভাইয়ার সাথে। একদিন ভাইয়ার সাথে হাঁটতে বের হয়ে এই চমৎকার অসাধারণ ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম। আহ কী চমৎকার এই সুন্দর প্রকৃতি টা।
- এটা হলো আমাদের গ্রামের ঈদগাহ ময়দান। ঈদের সময় বেশ সুন্দরভাবে সাজানো হয়। ২০২২ সালে কোন এক ঈদের আগে এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম। এখানে প্রকৃতির উপস্থিতি টাও দারুণভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল সময় টা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
Facebook
Twitter
You Tube
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।