অকৃতজ্ঞ!!

emon42 -

আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শুক্রবার, ১৩ ই ডিসেম্বর,২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



আমার লাইফের একেবারে সাধারণ নিয়ম আছে। আমি কখনোই কারো ক্ষতি করি না। যতটা পারি কাউকে সাহায্য করি। আমি কখনোই চাই না আমার জন্য কারো বিন্দুমাত্র ক্ষতি হোক। অথবা আমার কথায় কেউ কষ্ট পাক। যদি আমি বুঝতে পারি কোন কথা কোন ব‍্যক্তিকে কষ্ট দেবে আমি কখনোই সেই কথাটা বলি না। অথচ তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে অপমান অপদস্ত করে যায়। মোটামুটি সহ‍্য করে নেয়। অধিকাংশ সময় তাদের কথায় আমি কান দেয় না বা গুরুত্ব দেয় না বলতে পারেন। আমি আরেকটা ব‍্যাপার খুব মেনে চলি। মানুষের দোষ আমি গোপন রাখি। কারো কোন দোষ বা সিক্রেট আমার জানা থাকলে আমি কখনোই সেটা অন‍্যদের বলি না।

কিন্তু এতোকিছুর পরেও শেষে গিয়ে আমাকেই এগুলোর স্বীকার হতে হয় । একটা মানুষ কতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে কতটা বিবেকহীন হতে পারে এটা আমি কয়েকদিন আগে বুঝতে পেরেছি। আমার সাথে মানুষ টার পরিচয় তিন বছর আগে বলা যায়। এরমধ্যে আড়াই বছর আমাদের সম্পর্ক ছিল অনেক গভীর। এই সময়ে ঐ মানুষ টার পাশে আমি যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছি আর কেউ দেয়নি। এমনকি তার পরিবারের সদস‍্যরাও না। এই সময় টা মানুষ টার সাথে আমি এতোটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম সে তার সব কথায় আমার সাথে শেয়ার করত। অতীত বর্তমান সবকিছু। যেগুলো আমি ছাড়া আর কেউ জানে না। এমন কি তার পরিবারের মানুষও না।



একটা পর্যায়ে গিয়ে সেই মানুষ টা আমাকে বলেছে তুমি আমার এতো সাহায্য করো আমি তোমার ঋণ শোধ করব কীভাবে। আমি হেসে বলতাম ঋণ শোধ করা লাগবে না শুধু কখনও অস্বীকার করো না। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় মানুষ টা এতোটা বদলে গিয়েছে যেটা আমার চিন্তার বাইরে। জানি না অর্থ মান সম্মান কিসের মোহে সে বদলে গিয়েছে। তার এই পরিবর্তনে আমি যতটা না দুঃখ পেয়েছি তার চেয়েও অনেক বেশি অবাক হয়েছি। মোটামুটি প্রায় ৪-৫ মাস যোগাযোগ ছিল না তার সঙ্গে। কয়েকদিন আগে একটা ঘটনাচক্রে যোগাযোগ হয়। তবে সেখানে সে আমাকে নিয়ে যে মন্তব্য গুলো করেছে ঐ তৃতীয় মানুষ টার কাছে সেটা আমার কাছে রীতিমতো অপমানজনক ছিল। আমি আমার কান কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ইনি কী সেই মানুষ যাকে আমি চিনতাম।

তার কথার প্রতিবাদ আমি করতাম না। কিন্তু দেখলাম তক্ষণাৎ কিছু না বললে আমি পুরোপুরি মিথ‍্যাবাদী প্রমাণিত হয়ে যাব। আমার কাছে অসংখ্য প্রমাণ ছিল। তার কিছু যখন তাদের দেখালাম তাদের বুঝতে কিছু বাকি থাকল না। কিন্তু তারপরও সে সবকিছু অস্বীকার করল। মূহূর্তের জন্য আমার এতোটা রাগ হয়েছিল যে ইচ্ছা করছিল কিছু একটা অঘটন ঘটিয়ে দিতে। আমি চাইলেই তার পুরো জীবন টা মূহুর্ত্তের মধ্যে অন্ধকারে পরিণত করতে পারি। চাইলেই তার বাকি জীবন শেষ করে দিতে পারি। কিন্তু সেটা আমি কখনোই করব না। আমার পরিবার আমাক ঐ শিক্ষা দেয়নি। তবে নিজের উপকারের এমন ফলাফল আমি কখনোই প্রত‍্যাশা করিনি। মানুষ এতো টা অকৃতজ্ঞ হতে পারে সেটা আমার চিন্তার বাইরে ছিল। তবে পৃথিবী টা গোল। একদিন তার কাজের কর্মফল সে নিজেই পেয়ে যাবে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।