আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি মোটামুটি ভালো আছি। বাড়িতে আসার পর যেন অলসতা টা একেবারে ঘিরে ধরেছে। দেখতে দেখতে কয়েকটা দিন যেন খুব দ্রুতই কেটে গেল। যদিও ৫ দিনের একটা লম্বা ছুটি কাটিয়ে গেলাম বাড়িতে। অনেকদিন পর আবার নিজের শহরের সেই প্রকৃতি সেই দৃশ্যপট দেখে বেশ ভালো লাগল। সবকিছু যেন আগের মতোই আছে তবুও কোথায় যেন কিছু একটা নেই। আজ আমি আপনাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নেব। আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
- এটা হলো কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর গেট। এক বছর আগেও আমি এই কলেজের শিক্ষার্থী ছিলাম। এবং আজ আমি এখানকার সাবেক শিক্ষার্থী। কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম সনদপএ তুলতে ঐসময় আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। আর কখনোই শিক্ষার্থী হিসেবে এই গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারব না। এটা ভাবলেই কেমন একটা অনূভুতি হচ্ছে।
- ২০১৯ সালের আগষ্ট থেকে চার বছরের যাএা শুরু হয়। এবং সেটার শেষ এবং গতবছর। চারটা বছর বেশ দারুণ কেটেছে আমার। সত্যি বলতে ভালো খারাপ অনেক অনূভুতির সাক্ষী হয়েছি এই ইনস্টিউটে। এখনও সবাইকে অনেক মনে পড়ে। গতদিন যখন এই চার বছরের পরিশ্রমের ফল সেই সনদপএ টা হাতে পেলাম তখন ভালো লাগার থেকে খারাপই বেশি লাগছিল। আমি আর এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী না এটা ভেবে।
- আমার ক্যাম্পাসের মধ্যে সবচাইতে পছন্দের জায়গা ছিল এই মাঠ। অনেক টা সময় কাটিয়েছি এই মাঠে। কখনও ক্রিকেট কখনও ফুটবল আবার কখনও ক্লাসের ফাঁকে আড্ডা সবকিছুই করেছি এই মাঠে। গতদিন যখন গেলাম মাঠে বতর্মান শিক্ষার্থীরা ফুটবল খেলছিল। ওদের দেখে সেই পুরাতন সময় টা স্মরণে চলে আসলো।
- আমার ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনে যাওয়ার লেন এইটা। এইরকম চারটা লেন বা পথ আছে আমার কলেজে। এই পথে ঢুকতেই গেটে রয়েছে দারুণ একটা বাগানবিলাস ফুল গাছ। এটাকে আবার অনেকে গেট ফুল গাছও বলে। বেশ সুন্দর লাগছিল দেখতে।
- এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম হাইওয়ে থেকে। হাইওয়ের এই অংশটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। কারণ দুই পাশে গাছপালা। হাইওয়ে হলেও জায়গাটা একটা নিরিবিলি। না আছে কোন কোলাহল গাড়ির শব্দ না আছে মানুষের ভীড়। বেশ লাগছিল এই জায়গাটা।
- এটা হলো মীর মোশারফ হোসেন সেতু। সাহিত্যিক মীর মোশারফ হোসেনের নাম তো সবাই শুনেছেন। উনার বাড়ি কিন্তু আমাদের এই কুমারখালী - কুষ্টিয়াতে। উনার নামেই এই সেতুর নামকরণ করা। ঐদিন কুষ্টিয়া যাওয়ার পথেই এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলা।
- ৮ নভেম্বরের কথা। ঐদিন ছিল আমার প্রথম সেমিষ্টারের শেষ পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ করে একটু উৎফুল্ল ছিলাম আমি। আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু পরিকল্পনা করে বিকেলে হাতিরঝিলে হাঁটতে গিয়েছিলাম। এবং ঐসময় আমি ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছিলাম। বিকেল টা বেশ দারুণ কেটেছিল হাতিরঝিলে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
Facebook
Twitter
You Tube
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।