সময় চলে যায়, কিন্তু স্মৃতি থেকে যায়!!

emon42 -

আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



স্টিমিট প্লাটফর্মে জয়েন করেছিলাম ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে। তখন ইংরেজিতে লেখালেখি করতাম। না প্রথম কিছুদিন বাংলায় লিখেছিলাম। কিন্তু দেখলাম বাংলায় লিখলে সাপোর্ট পাওয়া যায় না। আর কী করার বাধ‍্য হয়ে ইংরেজিতে লিখতাম। এভাবে প্রায় একবছর হয়ে গেল। তারপর একদিন আমার কাছের এক বড় ভাই আমার কাছে আমার বাংলা ব্লগ এর লিংক দেয়। সঙ্গে সঙ্গে জয়েন করে ফেলি। কমিউনিটিতে গিয়েই দেখি পরিষ্কার করে লেখা যারা বাংলায় ব্লগিং করেন এই প্লাটফর্ম তাদের জন্য। বিশ্বাস করেন ঐ লেখাটা দেখে আমি সাপোর্ট এর কথা চিন্তাও করিনি। শুধুমাত্র বাংলায় লিখতে পারব ভেবেই অনেক খুশি হয়েছিলাম। তারপর জয়েন হলাম আমার বাংলা ব্লগের ডিসকোর্ড সার্ভারে সেটা ঐ ২০২১ সালের ৫ ই জুলাইয়ের দিকে।

দেখি আমার মতো আরও অনেকে রয়েছে। সেখানে চ‍্যাটিং করছে আড্ডা দিচ্ছে। এরমধ্যে একজন ছিল তার নামটা বেশ আলাদা ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানতে পারি উনিই এই কমিউনিটির ফাউন্ডার আমাদের দাদা। যাইহোক আস্তে আস্তে উনার সঙ্গে পরিচয় হয়। উনি তখন কমিউনিটিতে ডিসকোর্ডে অনেক সময় দিতেন। আমার মনে আছে প্রথম দিকে উনার সঙ্গে বেশ অনেক আড্ডা দিয়েছি ডিসকোর্ডে। উনি উনার অনেক অভিজ্ঞতা আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে উনার ইচ্ছা গুলো আমাদের কে বলতেন। বেশ মজার একজন মানুষ ছিলেন। বিশেষ করে আড্ডা দিতে একেবারে উস্তাদ ছিল। যদিও এখন উনি ঐভাবে আর ডিসকোর্ডে সময় একেবারেই দিতে পারেন না। কারণ উনার ব‍্যস্ততা বেড়েছে কাজ বেড়েছে চাপ বেড়েছে। যাইহোক এরপর উনি ডিসকোর্ডে যুক্ত করলেন দুইটা নতুন ফিচার একটা হলো ডিজে পার্টি যেখানে গান শোনা যেত এবং অন‍্যটা আড্ডাঘর। আগে প্রায়ই আড্ডাঘরে আড্ডা হতো কিন্তু এখন আর সেরকম হয় না।



ধীরে ধীরে অনেক ইউজার আসতে থাকে আমার বাংলা ব্লগে। কমিউনিটির সদস‍্য সংখ‍্যা বাড়তে থাকে। দাদা তখনই নিয়ে আসলেন লাজুক খ‍্যাককে। শুধুমাত্র আমাদের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। লাজুক আসার মজার একটা ঘটনাও আছে। আমার মনে আছে দাদা বলছিলেন আপনারা পারেন লাজুক খ‍্যাককে ফিড করান। লাজুক খ‍্যাক আপনাদের জন্য ভালো একটা কিছু। তখন না বুঝলেও পরেরদিন সেটা বুঝি। প্রথমবার লাজুক খ‍্যাক এর ভোট পাওয়ার যে কী অনূভুতি সেটা আমার এখনো মনে আছে। উনি প্রতিনিয়ত বলতেন স্টিমিটে বাঙালিদের খারাপ অবস্থা সম্পর্কে। যদিও এর জন্য আমরা বেশ দায়ী আছি। কিন্তু উনার ইচ্ছা ছিল স্টিমিট প্লাটফর্মে বাঙালিদের একটা অবস্থান তৈরি করা। উনি চাইতেন আমার বাংলা ব্লগ যেন স্টিমিট এর সেরা কমিউনিটি হয়। এর জন্য যা করা দরকার সেটাই উনি করেছেন। এবং আজ আমার বাংলা ব্লগ স্টিমিট প্লাটফর্মের সেরা একটা কমিউনিটি।

এতোটা আসা মোটেও সহজ ছিল না। এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে দাদার কন্ট্রিবিউশন অসাধারণ মনোবল এর জন্য। উনার প্রতি আমরা সবাই অনেক কৃতজ্ঞ। কারণ আমরা যারা একটা সময় স্টিমিটে সাপোর্ট এর জন্য এই দোয়ার থেকে ঐ দোয়ারে যেতাম তারাই আজ নিয়মিত সাপোর্ট পাচ্ছি শুধুমাত্র ঐ মানুষটার জন্য। এই মানুষটা সম্পর্কে কিছু বলার নেই আমার। আমার ঠিক কী বলা উচিৎ সেটাও জানি না। উনি অসাধারণ একজন ব‍্যক্তিত্বের একজন মানুষ। উনার সম্পর্কে লিখে শেষ করা যাবেনা। আজ সেই মানুষ টা আমাদের দাদার জন্মদিন। @rme দাদা আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনার প্রতি আমার অনূভুতি লিখে শেষ করা যাবে না। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে এবং আপনার পরিবার কে সবসময় সুস্থ‍্য রাখুক ভালো রাখুক।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।