আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কোর সাফারি পার্ক যেন সাফারি পার্কের মধ্যে আরেক সাফারি পার্ক। এইটা নিয়ে আমরা সবাই এক্সাইটেড ছিলাম। কারণ তার পূর্বে আমরা শুধু টিভি এবং ইউটিউবেই দেখেছি ঐটা। প্রথমেই চলে গেলাম টিকিট কাটতে। কিন্তু টিকিট কাটতে গিয়ে হয়ে গেল এক মজার ঘটনা। টিকিট কাউন্টারে সুন্দর করে লেখা আছে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ টাকা তবে অবশ্যই স্টুডেন্ট আইডি কার্ড থাকতে হবে। এবং সাধারণ মানুষের জন্য ১৫০ টাকা। কিন্তু আগেই বলেছি আমি আইডি কার্ড নিয়ে যায়নি। কিন্তু আমার অন্য বন্ধুদের কাছে ছিল। ওরা কোর সাফারি পার্কের টিকিট সংগ্রহ করল মাএ ৫০ টাকা দিয়ে কিন্তু আমার লাগল ১৫০ টাকা। ঐ মূহূর্তে আমার মনে হচ্ছিল আমার জীবনে লাভ লস নাই আমার লাইফ টাই লস হা হা।
আমি আপনাদের বলব যদি আপনারা স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন কোথাও ঘুরতে গেলে অবশ্যই আইডি কার্ড নিয়ে যাবেন। এরপর আমরা টিকিট দেখিয়ে বাসে গিয়ে উঠে বসি। বাসগুলো খুব একটা বড় না। অনেক টা মাইক্রোবাস এর সাইজের। আমরা সবাই চেষ্টা করেছিলাম জানালার পাশে বসার। যেন বাইরে টা ভালো করে দেখা যায়। আমাদের সাথে আরও অন্য পর্যটক রা ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস ছেড়ে দিল। আমরা প্রথমে দেখব শিম্পাঞ্জি এর বাসস্থান। অর্থাৎ জায়গাটা শিম্পাঞ্জি এর জন্য বরাদ্দ। একটা শিম্পাঞ্জি দূরে শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। সেটা মোটামুটি ভালোভাবে পরিলক্ষিত হলো। এরপর আমাদের বাস এগিয়ে গেল। কিছুদূর যেতেই বাস থেমে গেল। বাইরে তাকিয়ে দেখলাম অনেক বড় সাইজের কোন একটা প্রাণী। কিন্তু সঠিক ভাবে চিনতে পারছিলাম না।
পরবর্তীতে বাসের মধ্যে একজন লোক ছিল সাফারি পার্কের। উনি বলল ঐটা নাকী আফ্রিকান হরিণ। আফ্রিকান হরিণ যে অতো বড় হয় আমার জানা ছিল না। এবং দেখতে একেবারে অন্যরকম। এরপর আবার বাস চলতে শুরু করল। বেশ কিছুদূর যাওয়ার পরে বাস থেমে গেল। একটা মাঠের মধ্যে অনেক গুলো গরু ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এগুলো কোন সাধারণ গরু না। বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত প্রায় নীল গাই। প্রথমবারের মতো এই নীল গাই দেখলাম। এরপর আবার বাস চলতে শুরু করল। চারিদিকে শুধু গাছপালা আর জঙ্গল। মাঝখানে সুন্দর ছোট রাস্তা দিয়ে আমাদের বাস এগিয়ে যাচ্ছে। বেশ ভালোই লাগছিল। এরপর আমরা চলে গেলাম বনের রাজার রাজত্বে।
বনের রাজা কে সেটা নিশ্চয়ই আপনাদের জানা আছে। ওখানে যেতেই সবাই বেশ সতর্কতার সাথে বাইরে তাকিয়ে আছে সিংহ দেখবে। আমরাও তাকিয়ে আছি। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর হঠাৎ বাস থেমে গেল। দূরে পুকুরের ধারে শুয়ে আছে সিংহ। না ফোনের ক্যামেরায় ভালোভাবে দেখা না গেলেও চোখ দিয়ে মোটামুটি ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল। সিংহ টা শুয়ে ছিল। সিংহ টা কে বেশ বয়স্ক মনে হলো। প্রথমবার এভাবে সিংহ দেখার অনূভুতি টাই আলাদা। তারপর আবার আমাদের বাস চলতে শুরু করল। এরপর ফুরিয়ে আসলো আমাদের সেই অপেক্ষার প্রহর। এবার আমরা চলে আসলাম রয়েল বেঙ্গল টাইগারের রাজত্বে। এবং অপেক্ষা করতে থাকলাম তার দেখা পাওয়ার জন্য।।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।