নোটিফিকেশন বন্ধ হলেই সব শেষ!!

emon42 -

আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ১৩ ই এপ্রিল , ২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



স‍‍্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকে মোটামুটি একটিভ আছি। মোটামুটি প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা সময় কাটে এখানে। তবে বেশি আসক্ত না। প্রতিদিনই কারো না কারো বার্থডে উইস পোস্ট চোখে পড়ে। ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা অনেকের জন্মদিনে তার টাইম লাইনে করা অন‍্যদের একের পর এক পোস্ট আমার চোখে পড়তে থাকে। মনে হয় আসলেইসলেই এরাই তো বন্ধু। বন্ধুর জন্মদিন মনে রেখেছে উইস করেছে ভাবা যায়। তবে আমি আমার একটা পরিষ্কার কথা জানিয়ে দেয়। আমি কাউকে উইস করি না কখনো। সত্যি বলতে কখনোই স্ট‍্যাটাস দিয়ে কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই না। তবে যারা আমার খুবই কাছের বন্ধু বা কাছের মানুষ তাদের কে ইনবক্সে উইস করি। এতোটুকুই আমার দৌড়। আমি এইসব স্ট‍্যাটাস দেওয়াই অভ‍্যস্ত না। এগুলো জাস্ট আমার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়।

গতকাল ১২ ই এপ্রিল আমার জন্মদিন ছিল। হ‍্যা গতকাল। এটা আমার তৈরি করা না। আমার জন্ম সনদ আমার সার্টিফিকেটে এই দিনই আছে। এবং আমার মায়ের ভাষ‍্যমতেই এই দিনেই আমি জন্মগ্রহণ করি। এবং সবচাইতে মজার বিষয় গতকাল আমাদের ছোট দাদা ব্ল‍্যাকস দাদারও জন্মদিন ছিল। ব‍্যাপার টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। যে আমাদের দুজনেরই জন্মদিন একদিনে। তো আজ থেকে কয়েকদিন আগে। আমি সিদ্ধান্ত নেয় আমার ফেসবুক প্রোফাইলে আমার জন্মদিন টা হাইড করে রাখব। যেন কারো কাছে ফেসবুক থেকে নোটিফিকেশন না যায় । এবং আমি সেটাই করি। আমি মূলত এটা ইচ্ছা করেই করি। আসলে আমি দেখতে চেয়েছিলাম আমার জন্মদিন টা আদেও কেউ মনে রেখেছে কীনা। আমার তো কত বন্ধুই আছে। ফেসবুক নোটিফিকেশন দিলে তো যে কেউ দুইটা কথা লিখে দিতে পারে। কিন্তু এখন দেখি কে কে উইস করে।



আমি আবার উদ্ভট চিন্তার মানুষ। সেইরকমই কাজ করি। ফাইনালি আমার জন্মদিন আসে। পুরো দিনটা অতিবাহিত হয়ে যায়। ফেসবুক নোটিফিকেশন তো আগেই অফ করেছি। কীভাবে যেন আমার প্রত‍্যাশা অনুযায়ী সব ঠিক হয়ে যায়। হ‍্যা আমি একটা বার্থডে উইসও পাইনি। না পেয়েছি কোন পোস্ট না পেয়েছি কোন ম‍্যাসেজ। ফেসবুক নোটিফিকেশন দিলে হয়তো গোটা ১০-২০ উইস ম‍্যাসেজ স্ট‍্যাটাস পেতাম। কিন্তু অফ করে রাখায় একটাও পাইনি। অর্থাৎ আমার জন্মদিন টা কেউ মনে রাখেনি। মানুষ এখন এতোটা ব‍্যস্ত একজনের জন্মদিন মনে রাখবে এতো সময় কোথায়। তবে যদি বিশেষ কেউ জীবনে থাকে তবে আলাদা কথা। কিন্তু আমার সেই বিশেষ কেউ ও নেই। এই হলো কারণ। আমার খুব একটা খারাপ লাগছে না বরং ভালো লাগছে। এমনটা যে শুধু আমার ক্ষেত্রে হয়েছে ব‍্যাপার টা সেটা না।

আজ আপনি ফেসবুকে আপনার জন্মদিনের নোটিফিকেশন অফ করে রাখুন। দেখুন তো কতজন আপনাকে উইস করে। ঠিক কতজন আপনাকে নিয়ে স্ট‍্যাটাস দেয় আপনাকে টেক্সট করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। সংখ্যা টা খুবই কম হব খুবই কম। অনেকের ক্ষেএে তো আমার মতো একজনই জুটবে না উইস করার মতো। এটাই আমাদের বতর্মান জীবন। কত বন্ধু কত শুভাকাঙ্খি সব ঐ ফেসবুকের জন্য ফেসবুকের মধ্যে। প্রকৃতপক্ষে বাস্তব জীবনে আমি আপনি একা। ফেসবুকে বন্ধু হওয়া খুব সহজ। তবে এর বাইরে বন্ধু হয়ে পাশে থাকা বেশ কঠিন কাজ কিন্তু। আমাদের এই ছোট জীবনে আমরা অনেক মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করি। একবার ভেবে দেখুন একসময় আমাদের কত আপনজন কত কাছের মানুষ ছিল কতজন। কিন্তু এখন তারা আর নেই। তাদের সাথে দেখা হয় না কথা হয় না। মাসে বা বছরেও একবার কথা হয় না। জীবন টা সত্যি কত অদ্ভূত কত রোমাঞ্চকর।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।